অনলাইন
ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে রিট
স্টাফ রিপোর্টার
(৮ ঘন্টা আগে) ১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান এবং এনবিআর-এর সাবেক সদস্য ড. মইনুল খানের অবৈধ সম্পদ, অর্থ পাচার ও দুর্নীতি তদন্ত চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগকারী এসএম মোরশেদের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সাগরিকা ইসলাম গত ১৪ মে এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর ডিভিশন বেঞ্চে শিগগিরই রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী।
রিটে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিটে দুদকের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর, দুর্নীতিবাজ ট্যাক্স ক্যাডার (রাজস্ব) কর্মকর্তা এবং বর্তমানে ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল করা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি দুদক। ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ স্নেহধন্য ড. মইনুল খান বিগত সরকার আমলে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। এসবের সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ করে দুদকে অভিযোগ দায়ের করলেও সংস্থাটি তার বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উপরন্তু ৫ আগস্টের পর তার বড় ভাই সাবেক জনপ্রশাসন সচিব ড. মাহবুব হোসেনের সহযোগিতায় রাতারাতি ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পোস্টিং নিয়ে নেন। অথচ মইনুল খান টানা শেখ হাসিনার শাসনামল জুড়ে ছিলেন দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এক কর্মকর্তা।
আরও বলা হয়, টানা ৪ বছর তিনি শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে ছিলেন। এ সময় তিনি দেশের সোনা চোরাচালানিদের সঙ্গে গোপন সখ্যতা গড়ে তোলেন। রাষ্ট্র স্বার্থ না দেখে তিনি ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষায় ছিলেন বেশি মনযোগী। রাষ্ট্রকে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত করে নিজ পকেটে ঢুকিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। যেসব স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার দর-দামে বনিবনা হতো না, তাদের বিরুদ্ধে ঠুকে দিতেন মামলা।