শেষের পাতা
ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচনের পক্ষে যুক্তি নাই
স্টাফ রিপোর্টারv
১ জুন ২০২৫, রবিবার
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন বিলম্বিত হওয়ার একটিও কারণ নাই। আপনার (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) সামনে যুক্তি নাই, কেন আপনি ডিসেম্বরের বাইরে গিয়ে নির্বাচন দেবেন, সেটার পক্ষে একটিও যুক্তি নাই। গতকাল রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে কৃষি বিপ্লবে জিয়াউর রহমানের অবদান’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিসেম্বর থেকে জুন, ডিসেম্বর থেকে জুন যেন আছর করেছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে, দেশের মানুষের দাবি। একটি কারণও নাই ডিসেম্বরের বাইরে নির্বাচনে যাওয়ার। সাংবাদিক বন্ধুদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা জাতির সামনে উন্মুক্ত করবেন যে, যদি ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি যুক্তিও তাদের কাছে থাকে, সেটা যেন তারা প্রকাশ করে।
আমরা বলেছি, সংস্কার নিয়ে যেগুলো আলোচনা হয়েছে, সেগুলো কম্পাইল করে জাতির কাছে প্রকাশ করেন। ২রা জুন আবার ডেকেছেন আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। ভাবটা আমরা বুঝছি এ রকম, আনুষ্ঠানিকতা-আয়োজনের কোনো কমতি নেই। কিন্তু কাজের কোনো খবর নেই। আবার ডেকেছেন দ্বিতীয় পর্বের আলোচনার শুভ উদ্বোধন হবে। কেন? উদ্বোধন ক’বার করতে হয়। এভাবে আাপনারা আমাদেরকে সংস্কারের কলা দেখাচ্ছেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, সংস্কার হবে, সংস্কার আমাদের প্রধানত এজেন্ডা, তার চাইতেও বেশি বিচার ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিল, সবাইকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে হবে, এটা আমাদের সর্বোচ্চ এজেন্ডা। কিন্তু নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষকে এই ডিসেম্বরের মধ্যে দেবেন বলে আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) আশ্বস্ত করেছিলেন আমাদের সামনে, পরবর্তীতে আপনি সরে গেলেন, সেই কাজটি ঠিক করেননি।
তিনি বলেন, একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তো, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই তো, বৈষম্যহীন একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যই তো, একটি শক্তিশালী সাংবিধানিক রাষ্ট্র পাওয়ার জন্যই তো, আমরা আমাদের সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্যই তো, আমরা রক্ত দিয়েছি, সংগ্রাম করেছি, অবিরাম আমরা নির্যাতিত হয়েছি, কারাবাসে গিয়েছি, আয়না ঘরে গিয়েছি কিসের জন্য? এই অধিকার আদায়ের জন্যই তো। সেই অধিকার আদায়ের কথা বললেই যদি আপনারা নারাজ হন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সেটা খুবই দুঃখজনক। সংস্কারের কথা বলে আর কতো বিলম্ব করবেন?
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
পাঠকের মতামত
পরিতাপের বিষয় হলো জেনারেল মইনকে নিযুক্তির পর হাসিনা সরকার অনেক বিষোদগার করেছেন তার নিয়োগ নিয়ে। তিনিই আবার মইন ইউর সঙ্গে আঁতাত করেন। জেনারেল মইন দুই ধরণের ব্যালট বাক্স সাজিয়েছিলেন। এক ধরণের বাক্স আগে ভর্তি করে বিকেল ৫টার পরে গণনা করা হয়েছিল। অবশেষে মইন হাসিনাকে নির্বাচিত সরকার হিসেবে ঘোষণা করেন।
দ্রুত নির্বাচন প্রয়োজন।
জনগণ গণহত্যাকারীদের বিচার ও ব্যাপক সংষ্কারের পর নির্বাচন চায়। এটাই ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন হওয়ার যথেষ্ট যুক্তি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বিনা ডিমের নির্বাচন, রাতের ভোটের নির্বাচন, আমি-ডামির নির্বাচন যারা পছন্দ করে এবং ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সুযোগ খুজে তরাই মূলত সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেই গাঁ জ্বালা করে।
নির্বাচনের কথা শুনলেই জঙ্গিদের জ্বলে!
ফালতু অযাচিত বেহায়াপনা কথা বলার জায়গা পাননা।
এই লোকটাকে দেখলেই "গুম/বিনোদন" মনে পরে।
The BNP leaders have lost touch with the grassroots of the party and the other people of Bangladesh. The BNP grassroots should disown and expel the current leaders and replace them with newly elected leaders.