বিশ্বজমিন
পারমাণবিক শক্তি অর্জনের কৃতীত্ব পিএমএলএন’কে দিলেন নওয়াজ
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ২:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১০ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর বানিয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএলএন)। এমন দাবি করে দলটির সুপ্রিমো ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বলেছেন, একই সঙ্গে চীনের সঙ্গে জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান যৌথভাবে তৈরি করেছে তার দল। বর্তমান ক্ষমতাসীন এই দলটি সম্প্রতি পারমাণবিক প্রযুক্তি সচল করার কৃতীত্বও দাবি করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ। এতে বলা হয়, নওয়াজ শরীফ এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যত পারমাণবিক বিজ্ঞানী ড. আবদুল কাদির খানের ভূমিকাকে ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করছেন।
পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচির জনক বলে পরিচিত ড. আবদুল কাদির খান। কিন্তু ক্ষমতাসীন পিএমএলএন বলছে, তিনি কোনো হিরো নন। এ বছর ২৮শে মে ইয়াওমে তাকবীর উদযাপনের সময় এক সাক্ষাৎকারে ড. আবদুল কাদির খান সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহকে। জবাবে তিনি ড. আবদুল কাদির খান সম্পর্কে বলেছেন- বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে অবদানের জন্য সম্মানীত পারমাণবিক ওই পদার্থবিদ। কিন্তু একজন জাতীয় বীর হিসেবে তাকে বিবেচনা করা উচিত নয়। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হিসেবে তৈরির কৃতীত্ব দিতে হবে নওয়াজ শরীফকে। তিনিই ১৯৯৮ সালে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন।
পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সাবেক প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর কথা স্বীকার করেন তিনি। কিন্তু বলেন, নওয়াজ শরীফের নেতৃত্বে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে আবদুল কাদির খানের বিধবা স্ত্রী হেনড্রিনা খান বলেছেন, পাকিস্তানে পারমাণবিক কর্মসূচির ব্যক্তিগত খরচ এখনও মিটানো হয়নি। এটা নিয়ে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তিনি বলেন, তখনকার সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের কাছ থেকে নিশ্চয়তা পাওয়ার পর পারমাণবিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তার স্বামী বলির পাঁঠা হতে রাজি হয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পরে ভেঙে দেয়া হয়। এসব নিয়ে লন্ডনে বক্তব্য রাখছিলেন নওয়াজ শরীফ। তিনি সেখানে তার সময়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে জোর দিয়ে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, চার বছর ধরে পাকিস্তানি রুপির মান স্থিতিশীল ছিল। প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা প্রায় ৭ ভাগ।
তিনি দাবি করেন দেশের সব ক্ষেত্রেই উন্নয়নে তার দলের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। দেশে ক্ষেপণাস্ত্র বিষয়ক প্রযুক্তি চালু করার কৃতীত্বও তিনি পিএমএলএনকে দেন। ১০ই মে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর এসব মন্তব্য করেন পাকিস্তানের তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তান দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়েছে। মিডিয়ার কাছে নওয়াজ শরীফ বলেন, পিএমএলএন আস্তে আস্তে দেশের অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) নেতৃত্বাধীন সময়ের নাম না নিলেও তিনি দেশের অবস্থা একেবারে খারাপ করে দেয়ার জন্য সাবেক সরকারকে দায়ী করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশে সবকিছু স্থিতিশীলতায় ফিরে আসছে। দেশের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। অর্থনীতি ভাল হচ্ছে।