বিশ্বজমিন
৩ সন্তানের মায়ের সঙ্গে প্রেম, যুবকের আত্মহত্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(৬ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ১২:০৬ অপরাহ্ন

তিন সন্তানের এক মায়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন পাকিস্তানের কোটরি এলাকার ২২ বছর বয়সী এক যুবক ফরিদ খান। ওই নারীর প্রেমে এতটাই মজে যান তিনি যে, এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। পিতামাতার অনুমতি চান বিয়েতে। কিন্তু তারা তার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করেন। অবশেষে কোটরি ব্রিজ থেকে সিন্ধু নদে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ফরিদ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পিতা ফুরকান খানের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কোথাও যাচ্ছিলেন উন্মত্ত এই প্রেমিক। কোটরি ব্রিজে যাওয়ার পর তিনি মোটরসাইকেল থেকে নামেন এবং কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই সেতৃু থেকে লাফ দেন পানিতে। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ বলেছে, প্রাথমিক অনুসন্ধান অনুযায়ী- ফরিদ খান ওই নারীকে বিয়ে করার জন্য বার বার তার পিতামাতার অনুমতি চাইছিলেন। এ নিয়ে তার পিতার সঙ্গে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। এই ক্ষোভ থেকে ফরিদ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তিনি পানিতে লাফ দেয়ার খবর পাওয়ার পর পুলিশ রেসক্যু ১১২২ টিম পাঠায় ঘটনাস্থলে। কিন্তু রাতের অন্ধকার ঘনিয়ে আসায় তারা সেদিনের উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখেন।
পরেরদিন সকালে প্রায় এক ঘন্টা খোঁজাখুঁজির পর ডুবুরিরা তার মৃতদেহের সন্ধান পান। তা উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিভিল হাসপাতাল জামশোরো’তে। সেখানে মেডিকেল ফর্মালিটিজ শেষে মৃতদেহ তার পিতামাতার কাছে হস্তান্তর করার কথা। তার পিতা পুলিশকে বলেছেন, পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও সে ওই মহিলাকে বিয়ে করতে গোঁ ধরে। পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি অধিক তদন্ত করে দেখছে এর সঙ্গে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা।
ওদিকে শুক্রবার সারহারির কাছে মাঠের মধ্যে যৌন নির্যাতনে বাধা দেয়ার কারণে ১৫ বছর বয়সী একটি বালককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার নাম প্রেমকুমার। সে ঘাস কাটতে মাঠে গিয়েছিল। সেখান থেকে দু’জন পুরুষ তাকে একটি টিউবওয়েলের কাছে নিয়ে যায়। যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। এতে বাধা দেয় সে। ফলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তারা। এমন দাবি করেছেন প্রেমকুমারের মা। তিনি ওই দুই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেছেন। তারা হলো রাওয়াল খেরিও এবং মুখতিয়ার ওরফে মাক্কো খেরিও।