বিশ্বজমিন
ক্রাউন প্রিন্সকে ট্রাম্প
রাতে আপনি ঘুমান কিভাবে?
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ দিন আগে) ১৪ মে ২০২৫, বুধবার, ১:২০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৮:১২ অপরাহ্ন

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প জানতে চাইলেন- রাতে আপনি ঘুমান কিভাবে? রিয়াদকে বিশ্বের বড় ব্যবসা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলায় ক্রাউন প্রিন্সের প্রশংসা করতে গিয়ে ট্রাম্প এমন অস্বাভাবিক প্রশ্ন করে বসেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
রিয়াদে বিশ্বের ব্যবসা বিষয়ক মোড়লদের সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে ট্রাম্প সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্সের এমন প্রশংসা করেন। তিনি সমালোচনাকে কাটিয়ে উঠে দেশকে একটি শক্তিশালী ব্যবসাকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ট্রাম্প প্রশংসা করেন। তিনি বলেন- ‘মোহাম্মদ, আপনি কি রাতে ঘুমান? কিভাবে ঘুমান? কি অসাধারণ কাজ। তিনি আমাদের কারো মতো পছন্দ বাছাই করেন এবং তা কাজে পরিণত করেন। তিনি এটা করেন সারারাত। তা হলো- কিভাবে আমি এটাকে আরও ভাল করতে পারবো। যারা এভাবে পছন্দ বাছাই করে তা কাজে পরিণত করতে পারেন না, তারা আপনাকে প্রতিশ্রুতির ভূমিতে নিয়ে যেতে পারবেন না।’ ট্রাম্পের এমন ভূয়সী প্রশংসায় ক্রাউন প্রিন্সের মুখে হাসি খেলে যায়। দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান। সৌদি আরবে যে পরিবর্তন এসেছে তার জন্য ক্রাউন প্রিন্সের প্রশংসা করে ৭৮ বছর বয়সী আমেরিকার এই প্রেসিডেন্ট বলেন- সৌদি আরবের উত্থান সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সমালোচকরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু আপনি সেটা মাত্র আট বছরে করে দেখিয়েছেন। সমালোচকরা ভুল এটা প্রমাণ করে দিয়েছে সৌদি আরব। তাকে (ক্রাউন প্রিন্স) আমি ভীষণ পছন্দ করি।
এক পর্যায়ে এই দুই নেতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সূত্রের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে এমনটা ইঙ্গিত দিয়ে ট্রাম্প ঘোষণা করেন- সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যিপ এরদোগানের অনুরোধে আমি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি। ক্রাউন প্রিন্সের জন্য আমি আর কি করতে পারি! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তব্যে সৌদি আরবকে বিশ্বের কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি মানবাধিকার নিয়ে যে উদ্বেগ তার কোনো উল্লেখ করেননি। যেমন, ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যাকাণ্ড। ওই হত্যায় মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম জড়িয়ে যায়। তবে বিশ্লেষকরা বলেন, অগ্রগতির অংশ হিসেবে নারীদের অধিকার প্রসারিত করেছেন ক্রাউন প্রিন্স। কিন্তু ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন অব্যাহত আছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতায় বাধা আছে।
পাঠকের মতামত
ওআইসি জোটভুক্ত মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এক হয়ে দ্রুত একশান নেয়া জরুরি।
গাজার গণহত্যার জন্য মুসলিম বিশ্ব খোভে আছে তাই ইসরাইলের প্রেসক্রীবশানে ট্রাম মুসলিম দেশ সফর করছেন। খাতির দেখাচ্ছেন ইসরাইলে যাবেন না নেতানিয়াহূর সংগে কথা বলবেন না ।বোকাচোদা মুসলমানরা কি খুশি ।আরালে আছে দুটি কৌশল এক সৌদির কাছে অস্ত্র বিক্রি দুই গাজা খালি করা ।গাজা কেমনে খালি করবে? এত বোমা মারে খাদ্য বন্ধ করে তার পরে ও তারা সরেনা কারণ এত মানুষ কে কি হত্যা করা সম্ভব? না তাহলে ?মুসলিম দেশ গুলো কে বুঝানো যে তোমরা কিছু লোকদের যায়গা দাও । ট্রাম্প মূলত নেতানিয়াহূর পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন ।
ফিলিস্তিন এ এতো হত্যা কান্ড হচ্ছে সেটা নিয়ে কোন আলোচনা নাই,
প্রতিশ্রুত ভূমি বলতে কি বুঝিয়েছে ট্রাম্প.... এটা কে প্রশংসা না ভেবে গভীর ভাবে ভাবা উচিৎ..... এটা গ্রেটার ইসরাইলের ইংগিত.......