বিশ্বজমিন
গাজায় এক নারী চিকিৎসকের ৯ সন্তানকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
(৪ ঘন্টা আগে) ২৫ মে ২০২৫, রবিবার, ৫:১৮ অপরাহ্ন

গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসকের নয় সন্তানকে হত্যা করেছে ইসরাইল। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির শিশু বিভাগের প্রধান আহমেদ আল-ফাররা। গাজার দাক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে অবস্থিত নাসের হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ওই চিকিৎসক। যার নাম আল নাজ্জার। শুক্রবার তার বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এতে গোটা বাড়িতে আগুন লেগে যায় এবং ওই চিকিৎসকের ১০ সন্তানের মধ্যে নয় জনই নিহত হয়েছে। বিলম্বে পাওয়া এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, যারা নিহত হয়েছে তাদের বয়স সাত মাস থেকে ১২ বছর। অর্থাৎ সকলেই শিশু। নিহত শিশুদের নাম- সিদার, লুকমান, সাদিন, রেভাল, রুসলান, জুবরান, ইভ, রাকান এবং ইয়াহিয়া। ইসরাইলের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন আল নাজ্জারের স্বামী। বুকে ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। বোমার প্রবল আঘাতে নাজ্জারের স্বামীর মাথার খুলি ভেঙে গেছে। বর্তমানে তাকে নাসের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দম্পতির বেঁচে থাকা একমাত্র শিশুটির নাম আদম। যার বয়স ১১ বছর। তাকেও নাসের হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহমেদ আল-ফাররা। আল জাজিরাকে তিনি বলেছেন, এমন হামলা অকল্পনীয়। এতে নাজ্জার কতটা ব্যাথিত হয়েছেন আপনারা তা কোনোভাবেই কল্পনা করতে পারবেন না। তবুও তিনি বেঁচে থাকা স্বামী ও সন্তানের কাছে রয়েছেন। এমন পরিস্থিতি গাজার মানবতার পক্ষে আওয়াজ তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। এমন বোমা হামলারও নিন্দা জানিয়েছেন তিনি। আহমেদ আল-ফাররা বলেছেন, সন্তান হারিয়ে এখন বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন নাজ্জার। তাই আমি বলব দয়া করে পৃথিবীবাসী যেন তার সন্তানদের পক্ষে আওয়াজ তোলে।
নাজ্জারের বাড়ি লক্ষ্য করে ভয়াবহ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রানেসসকা আলবানিজ। বলেছেন, অবরুদ্ধ উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের নতুন গণহত্যার দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে, যা দুঃখজনক। হামাসের অভিযোগ, নতুন করে আবারও হাসপাতালের কর্মীদের লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। ইচ্ছাকৃতভাবে এসব হামলা চালাচ্ছে তারা। যাতে উপত্যকার বেসামরিক এবং তাদের পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। যদিও বরাবরের মতো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তেল আবিবের বাহিনী। দাবি করেছে, সন্দেহজনক একটি স্থানে হামলা চালিয়েছে তাদের সৈন্যরা। হামলার আগে সেখান থেকে বেসামরিক লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। আর বেসামরিকদের নিহতের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বিভাগ।