বিশ্বজমিন
রাফাল ভূপাতিতের ঘটনায় ভারত ও ফ্রান্সের দ্বন্দ্ব
মানবজমিন ডেস্ক
(১ দিন আগে) ২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৫:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৫ অপরাহ্ন

এবার রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়েছে ভারত ও প্রস্তুতকারী দেশ ফ্রান্স। সম্প্রতি পাক-ভারত সংঘাতে ভারতের ছয়টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে কমপক্ষে তিনটি রাফাল ছিলো বলেও দাবি করা হয়েছে। ফ্রান্সের তৈরি আধুনিক এই যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা নিয়ে বেশ আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। কেননা ভারতের কাছে থাকা সর্বাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর মধ্যে রাফালই সর্বোৎকৃষ্ট। যা দিয়ে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালানো হয়েছে। তবে সেগুলো ভূপাতিত করার দাবি করার পর থেকে এই যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন সমরবিদরা। এতে নাখোশ হয়েছে রাফালের প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডাসাল্ট। তারা মানতে নারাজ যে, যুদ্ধবিমানগুলোকে এত সহজে ভূপাতিত করা হয়েছে। তাদের দাবি ভারতীয় বিমান বাহিনীর ভুলের কারণেই রণক্ষেত্রে ধরাসায়ী হয়েছে এসব যুদ্ধবিমান।
আঞ্চলিক ও পশ্চিমা মিডিয়ার তথ্য মতে, পাকিস্তান এয়ারফোর্সের জে-১০ সি স্কোয়াড্রনগুলো দিয়ে ভারতের একাধিক যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করা হয়েছে। ফ্রান্স থেকে আমদানি করা তিন রাফালের সঙ্গে ভারতের একটি এসইউ-৩০এমকেআই, একটি এমআইপি-২৯ এবং একটি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সম্প্রতি যুদ্ধবিমান হারানোর কথা স্বীকার করেছেন ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ অনিল চৌহান। যদিও মোট কতটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দেননি তিনি। ব্লুমবার্গ টিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেন সেগুলো ভূপাতিত করা হয়েছে, কী ভুল হয়েছিলো সেই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, যুদ্ধবিমানের সংখ্যা নয়।
এদিকে ভারতের দাবির বিরোধিতা করেছে রাফাল প্রস্তুতকারক ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ডাসাল্ট। রক্ষণাবেক্ষণ এবং পাইলটের ত্রুটির কারণে যুদ্ধবিমানগুলো ভূপাতিত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্যারিসের। ডাসাল্টের অডিট টিমকে ভারতীয় রাফাল বহর পরিদর্শন করতে বাধা দিয়েছে দিল্লি। ফলে ফ্রান্সের আশঙ্কা আরও ঘনিভূত হয়েছে। কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কথা ভারতীয় বিমান বাহিনী উপেক্ষা করছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে ভারতকে দেয়া রাফালগুলো পরীক্ষা করতে চেয়েছে ডাসাল্টের পর্যবেক্ষরা। ভারতীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, নয়াদিল্লি আশঙ্কা করছে- যুদ্ধবিমানগুলোর দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর ওপর দোষ চাপাতে পারে ফ্রান্স।
সূত্র: জিও নিউজ।
পাঠকের মতামত
পাকিস্তানের এয়ারফোর্স অনেক আগে থেকেই অত্যন্ত চতুর আর মেধাবী। ওদের যদি জংগী আর অরথনৈতিক সমস্যা না থাকত ইন্ডিয়া এমনিতেই তো পাত্তা পায় না। ওরা কবে এতদিনে ইন্ডিয়া ভেংগে ফেলত ঠিক নেই। ইন্ডিয়ার অবস্থা এমন যে মুরগী দিয়ে তো হাল চাষ হয়না।
ভারত সিনেমা জগতে ভাল কিন্তু যুদ্ধে নয়। ভীত এবং নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য ব্যস্ত থাকে। মিথ্যা কন্টেন্ট তৈরীতে খুবই পটু। ১৯ সালে অভিনন্দনের কথা মনে আছে কাদের ? ওরা যাদের বন্ধু তাদের শত্রুর দরকার পড়ে না। রাশিয়াকে শেষ করে এখন ইউরোপের পিছনে লেগেছে। শুরু ফ্রান্স দিয়ে। ফ্রান্সের অস্ত্র ব্যবসা শেষ। অভিযোগ রাফালের যান্ত্রিক ত্রুটি। ইউরোপ মিডিয়াও ওদের সাথে পেরে উঠবে না প্রচারে । এ কথা নিদ্বিধায় বলা যায়।
ডাসাল্ট কোম্পানি দোষ ভারতের ঘাড়ে চাপাবে এটা স্পষ্ট। তা না হলে বিশ্ব বাজারে রাফাল বিক্রি করবে কীভাবে ? কিন্তু অডিট করতে দিতে চায় না কেন ? এর কারণ অডিটের প্রাথমিক কাজ হলো স্টক মিলানো। কয়টা আছে এখন এবং যুদ্ধের আগে কয়টা ছিল এটা বের করলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে। তাই অডিট করতে দিতে চায় না। তবে এত বড় ঘটনা খুব বেশীদিন আড়াল করে রাখতে পারবে না। এ যেন কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা।
মনে খুব দুঃখ খুব শখের রাফায়েল আজ পাকিস্তানিদের কাছে ধরাশই ইনশাল্লাহ একদিন মুসলমানদের কাছে ধরা সেই হবে ওই হিন্দুত্ববাদী মোদি যাকে গুজরাটের কসাই বলা হয়
লও ঠেলা । সব যায়গায় দাদাগিরি চলে না
ছাগল দিয়ে যদি হাল চাষ হত তাইলে কেউ গরু কিনত না। ভারতীয় বায়ু সেনা আগে মিগ চালানো ভালো করে শিখুক।
ভারতকে ফ্রান্স বিমান কিভাবে উড়াতে হবে, কিভাবে বোমা মারতে হবে সবকিছু শিখিয়েছে। কিন্তু কিভাবে ফেরত আসতে হবে সেটা পাকিস্তানি আর্মির উপর ছেড়ে দিয়েছে।
যুদ্ধে হেরেছি সেটি বড় কথা নয়, কেন হেরেছি সেটি বড় বিষয়। দাদারা, গবেষণা করতে থাকেন।
খেলা জমে গেছে