বাংলারজমিন
সাতকানিয়ায় অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি: যৌথ বাহিনীর অভিযানে উদ্ধার
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অভিযান চালিয়ে অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে যৌথ বাহিনী। গত ১১ই জুন মধ্যরাতে উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নসহ বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৮ ঘণ্টা পর গতকাল ভোরবেলা অপহৃত জাহির উদ্দিন মিন্টু (৫২)কে উদ্ধার করা হয়। তিনি উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব গাটিয়াডাঙ্গা এলাকার আবদুল কাদেরের ছেলে। এর আগে গত ১১ই জুন রাত ৯টার দিকে উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বইক্যারপাড়া এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। জানা যায়, একই সময়ে জহিরের সঙ্গে তার ছোট ভাই মো. সোহেল (৩৫)কে অপহরণ করা হলেও পরে তাকে বাড়ি থেকে মুক্তিপণ নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা। গণমাধ্যমকে সোহেল বলেন, আমার ভাই মিন্টু ডলু নদী থেকে বৈধ ইজারাকৃত জায়গা থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে ভিটা ও গর্তকৃত জায়গা ভরাট করে থাকে। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার ভাইকে মোবাইলে এক ব্যক্তি বালু ভরাটের কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকায় আসতে বলে। সে অনুযায়ী আমি ও আমার ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে অপহরণকারীদের দেখানো জায়গায় গেলে তারা কিছু বুঝে উঠার আগেই ভাই ও আমাকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তারা আমাদের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবির টাকা দিতে আমার এক প্রতিবেশীর মোবাইল ফোনে কথা বলা শুরু করি। এ টাকা না দিলে তারা আমাদের জানে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। পরবর্তীতে তারা আমাকে ছেড়ে দিয়ে ভাইকে পশ্চিম দিকে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, অপহরণকারী দলের সদস্য সংখ্যা ৭-৮ জন হবে। তারা সবাই অস্ত্রধারী। তবে তাদের আমরা চিনতে পারিনি। পরে মুক্তিপণের টাকা দেয়ার লোভ দেখিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে ঘটনাটি জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কাঞ্চনা ইউনিয়নের স্লুইস গেট এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে আমার ভাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
সাতকানিয়া সেনাবাহিনী ক্যাম্পে দায়িত্বরত ক্যাপ্টেন পারভেজ বলেন, অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল। মুক্তিপণ প্রদানের আগেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান রয়েছে। সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, অপহরণের বিষয়ে পরিবারের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরপরই যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। পরে সাড়ে ৮ ঘণ্টার অভিযানে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।