বাংলারজমিন
কুড়িগ্রামে অতিবৃষ্টি-বন্যার পানিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারউজানের ঢল আর টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে কুড়িগ্রামের নদ-নদী অববাহিকার বাদাম, পটলসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। এতে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। এদিকে, বন্যার পানি নামার পর ক্ষতি নিরূপণ করে কৃষকদের পাশে থাকার আশ্বাস কৃষি বিভাগের। কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলে আবাদকৃত প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির ফসলের মধ্যে বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে ৩শ’ হেক্টর জমির সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। সরজমিন দেখা গেছে, হঠাৎ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। তাই পানিতে নেমেই অপরিপক্ব ফসল তোলেন অনেক কৃষক। আবার কোথায় পানি নেমে যাওয়ায় স্পষ্ট হচ্ছে ক্ষত চিহ্ন। আবার কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত করছেন পরিষ্কার। এক সপ্তাহ আগের বন্যার এমন চিত্র জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত নদ-নদীর অববাহিকার। কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে প্লাবিত হয়ে পড়ে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকা। এতে করে পানিতে তলিয়ে যায় একরের পর একর বাদাম, পটল, পাট, তিল, কাউন, মরিচ, আউশসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। কয়েকদিন পানিতে তলিয়ে থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে ক্ষেতের বেশির ভাগ ফসল। এসব এলাকার কৃষকরা বলছেন, এবার অসময়ের বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক এরশাদ আলী বলেন, অতিবৃষ্টি আর নদীর পানিতে আমার পটল ক্ষেতে পানি উঠে প্রায় এক বিঘা জমির সব পটল গাছ মরে গেছে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. মো. মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ফসলের ক্ষতি নিরূপণ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।