বাংলারজমিন
সরাইল পিডিবি’র ট্রান্সফরমার সচলের ফি ৪২ হাজার টাকা
সরাইল (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল পিডিবি’র অধীনে শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়ায় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিকল ট্রান্সফরমার সচলের ফি বাবদ গ্রাহকদের গুনতে হয়েছে ৪২ হাজার টাকা। ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. ছন্দু মিয়া ও মিন্টু মিয়াসহ একাধিক গ্রাহক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আর অফিসের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ট্রান্সফরমার বিকল হলে সচল বা রিপ্লেসমেন্টের দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। এজন্য গ্রাহকদের কোন টাকা দিতে হবে না।
সরজমিন জানা যায়, দেওড়া গ্রামের ট্রান্সফরমারটি গত এক মাসেরও অধিক সময় ধরে মাঝে মধ্যে বিকল হয়ে যাচ্ছে। জোড়াতালি দিয়ে কোনো রকমে সচল করা হচ্ছে। গত ১০ই জুন মঙ্গলবার ট্রান্সফরমারটি বিকল হওয়ার পর আর সচল হচ্ছিল না। এ সুযোগে পিডিবি’র মাঠের ও অফিসের কিছু দালাল মনগড়া টাকা দাবি করে বসেন। অফিসের সঙ্গে কথা বলে ট্রান্সফরমারটি রিপ্লেসমেন্টের ফি ৪০ হাজার টাকা রফদফা করেন। বিকল হওয়ার প্রায় ৩৮ ঘণ্টা পর গত বুধবার বিকালে টাকা দেয়ার পর কাজ শুরু করেন পিডিবি’র লোকজন। বুধবার দিবাগত রাতে তারা ট্রান্সফরমার রিপ্লেসমেন্টের কাজ শেষ করে সেখানকার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রাহক বলেন, ৪০ হাজারের পর আবার লেবার চার্জ দিতে হয়েছে ২ হাজার টাকা। শাহবাজপুর ও শাহাজাদাপুর ইউনিয়নের ফিডারের দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী প্রকৌশলী মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে আছি। গত ৮-৯ তারিখ ট্রান্সফরমারটি বিকল হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি। ট্রান্সফরমার সচল বা রিপ্লেসমেন্টে গ্রাহক কোনো টাকা দিবে না। রিপ্লেসমেন্ট ও টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। সরাইল পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামীম আহমেদ বলেন, ট্রান্সফরমার নষ্ট হলে কর্তৃপক্ষ সক্রিয় অথবা রিপ্লেসমেন্ট করবে। গ্রাহকরা টাকা দেয়ার কোনো বিধান নেই। দেওড়ার ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ার পর রিপ্লেসমেন্টের ব্যবস্থা করেছি। ৪০ হাজার টাকা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। এই বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।