বাংলারজমিন
সুঁই ভেঙে যুবকের পায়ে পচন
চিকিৎসকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বাকির মিয়া (২৫) নামে এক শ্রমিককে ভুল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেই চিকিৎসক জাকারিয়ার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজনরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে হালুয়াঘাট স্থলবন্দর এলাকায় উক্ত প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর পরিবার বলেন, হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জাকারিয়া মূলত ডাক্তার নন। তিনি প্যারামেডিক্যাল কোর্স করা চিকিৎসকের সহকারী। চলতি বছরের ৭ই জানুয়ারি তারিখে আঙ্গুলের সমস্যা নিয়ে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন বাকির মিয়া। জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জাকারিয়া। যুবকের পায়ের নখ তুলতে হবে, এ কথা বলে অবশের ইনজেকশন দেন। ভুক্তভোগীর দাবি, তিনটি ইনজেকশন দেন উক্ত চিকিৎসক। একপর্যায়ে পা অবশ হলে নখ তুলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্যাডে ওষুধের ব্যবস্থাপত্র লিখে ছুটি দিয়ে দেন। বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর আঙ্গুলের কোনো উন্নতি না হওয়ায় আবারও যান জরুরি বিভাগে। ওষুধ খাওয়া চালিয়ে যেতে বলেন ডা. জাকারিয়া। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। একপর্যায়ে পায়ে পচন ধরতে শুরু করে।
তিনি জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্যে গত ১২ই এপ্রিল ময়মনসিংহ শহরের বিআরবি প্রাইভেট হাসপাতালে যান। সেখানে এক্স-রে রিপোর্টে ধরা পড়ে, আঙ্গুলের ভিতরে হাড়ের সঙ্গে ভাঙ্গা সুঁইয়ের অংশ লেগে রয়েছে। রোগীর দাবি, ডা. জাকারিয়া অবশের ইনজেকশন দেয়ার সময় ভাঙা সুঁইয়ের অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে রেখে দিয়েছেন। যা রোগীকে বলেননি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে বাকিরের পায়ের অগ্রভাগ কেটে ফেলতে হয়। এ ঘটনায় হালুয়াঘাট থানায় জাকারিয়াকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর মা বকুলী আক্তার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, এ ঘটনায় রোগীর পরিবারের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।