বাংলারজমিন
গুরুদাসপুরে ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৬
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবারনাটোরের গুরুদাসপুরে ধর্ষণ মামলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার নাজিরপুর গুচ্ছগ্রামের মতিউর বিশ্বাসের ছেলে চা দোকানি নজরুল ইসলাম ও প্রতিবেশী ইউপি সদস্য চামেলী খাতুনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। আহতরা হলেন- নজরুল (৫০), তার স্ত্রী সাহারা (৪৪), মেয়ে শারমিন (২৫), বোন মনোয়ারা খাতুন (৪২)। অপরপক্ষের চামেলী (৪৬) ও তার মেয়ে শাবানা খাতুন (৩০)। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে থমথমে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে নজরুলের মেয়ে শারমিন বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় ও যৌথবাহিনী বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছেন। চামেলী খাতুনের পক্ষেও অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
নজরুল জানান, সম্প্রতি ইসহাক সওদাগরের মেয়ে শিল্পী খাতুন তার ১১ বছর বয়সী কন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ এনে আমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি মিথ্যে হওয়ায় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে মীমাংসার আশ্বাস দেন চামেলী। কিন্তু কোনো কাজ না করেই আমার কাছে আরও ১ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। নজরুল জামিন লাভ করায় ক্ষিপ্ত হন চামেলী। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এর কিছুক্ষণ পর কুরবান আলী, তার ৩ ছেলে, শরিফুল ও সুমনের নেতৃত্বে নজরুলের বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালান চামেলী। স্থানীয়রা জানান, শুকুর আলীর মেয়ে চামেলী ভয়ংকর প্রকৃতির মহিলা। তিনি ও তার মেয়ে শাবানা এলাকায় নানাভাবে অনৈতিক কর্মকাণ্ড করেন। তাদের মান-সম্মানের ভয় নেই। যাকে তাকে যখন তখন যেকোনো মামলায় ফাঁসাতে মা-মেয়ে সিদ্ধহস্ত। তবে চামেলী খাতুন বলেন, বাদী শিল্পী খাতুন ধর্ষণ মামলা প্রত্যাহার না করায় নজরুল আমাকে চাপ দিতে থাকে। একপর্যায়ে ঘটনার দিন আমাদের ওপর হামলা চালায় নজরুল ও তার পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে থানার এসআই আবু হান্নান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।