প্রথম পাতা
লন্ডন বৈঠক, জামায়াত কেন অতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার
১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার
প্রফেসর ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যকার ঐতিহাসিক লন্ডন বৈঠকের পর বাংলাদেশের রাজনীতির চিত্রনাট্য অনেকখানি বদলে গেছে। তবে, এই সময়ের বহুল আলোচিত রাজনৈতিক সংগঠন জামায়াতে ইসলামী যারপরনাই বিক্ষুব্ধ হয়েছে। হতাশ তো বটেই। নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি ক্ষুব্ধ হবে এটার কারণ সবার জানা। তাদের রাগের কারণ হতে পারে বিএনপি ক্ষমতার ভাগ বসাতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ক্ষুব্ধ হওয়ার কারণ কী? কেউ কেউ বলছেন- এতদিন তো জনশ্রুতি ছিল জামায়াতই সরকারের চালিকাশক্তি। বাস্তবে তার আলামতও ছিল। সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডার নেহায়েত কম নয়। প্রশাসন তো একচেটিয়া তাদেরই নিয়ন্ত্রণে। শীর্ষ পদগুলো তাদের কব্জায়। সরকারের নীতিকৌশল নির্ধারণে ভূমিকা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এসবের পরও জামায়াতের কেন সরকারের সঙ্গে বিএনপি’র বৈঠক বা সমঝোতা পছন্দ না। বিবৃতির ভাষা দেখে অনেকেই হতবাক হয়েছেন।

লন্ডন বৈঠকের পর জামায়াতের মূল্যায়ন সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী। দলটি বলছে, এতে করে নাকি প্রফেসর ইউনূস নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। বাস্তব অবস্থা কি তাই? জামায়াত বলতে পারতো কী এমন ঘটলো সরকারপ্রধান উল্টো স্রোতে হাঁটতে শুরু করলেন। এক সপ্তাহ আগে যেখানে বিএনপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন তাও বিদেশের মাটিতে বসে। বাংলাদেশের অর্ধশতাধিক দলের মধ্যে শুধু একটি দল নির্বাচন চাইছে। এ নিয়ে তর্ক হতে পারে এবং হচ্ছে। কিন্তু জামায়াত বিবৃতি দেয়ার মধ্যেই তাদের অবস্থান সীমাবদ্ধ রাখেনি। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক পর্যন্ত বয়কট করেছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের ভেতরে জামায়াতের শেয়ারহোল্ডারদের বিরামহীন প্রচেষ্টার পর বুধবার ঐকমত্য কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল পাঠায়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ৫ই আগস্টের পর নিষিদ্ধ থাকা দলটি বাংলাদেশি রাজনীতির মূল কেন্দ্রে উঠে আসে। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ জামানের মুখে জামায়াতের নামটি আগে উচ্চারিত হয়। অনেকেই নানা অংক করতে থাকেন। যদিও পরে জানা গেছে, এটা কোনো কৌশলের অংশ নয়। মুখ দিয়ে অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বুলেটের মতো এই দলের নামটি উচ্চারিত হয়েছিল। যেভাবেই দেখা যাক না কেন, এটাও কম প্রাপ্তি ছিল না। এর সুযোগ কিন্তু জামায়াত নিয়েছে পদে পদে। বিএনপিকে ঘায়েল করার জন্য নিরন্তরভাবে ছুরি চালিয়েছে। বিশেষ করে চিকিৎসক কাম রাজনীতিবিদ শফিকুর রহমান আলাদা অবস্থান তৈরি করেছিলেন তার বক্তৃতা, বিবৃতি এবং আচরণের মাধ্যমে। এটা ছিল চলমান রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

ডা. শফিক একজন সজ্জন ব্যক্তি। জাসদ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা একজন রাজনীতিকের পক্ষে জামায়াতের কাণ্ডারি হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। যোগ্যতাবলেই তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক তার বক্তৃতা আর কৌশল দেখে রাজনৈতিক পণ্ডিতরা বলছেন, এটাই জামায়াত রাজনীতির চিরাচরিত ভুল। দলটি বরাবরই ভুল করে এবং অতীত থেকে শিক্ষা নেয় না। বিএনপিকে এখন তারা শত্রুর কাফেলায় ঠেলে দিয়েছে। অথচ কে না জানে তাদের জন্য বিএনপিকে গত ১৫ বছরে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। পশ্চিমা দুনিয়া তো শর্ত দিয়ে বসেছিল জামায়াতকে না ছাড়লে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এখন অবশ্য তারা ভিন্ন মূল্যায়ন করছে। জামায়াতের নেতাদের গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়া ছিল বাংলাদেশি রাজনীতির টার্নিং পয়েন্ট। এ নিয়ে অন্তহীন সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিএনপি। কোনো কোনো পর্যবেক্ষক বলছেন, বিএনপি’র সাম্প্রতিক আচরণ জামায়াতকে হতাশ করেছে। ডা. শফিকুর রহমান নিজেই অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে লন্ডন যান। রাজনীতি নিয়েও তাদের মধ্যে কথাবার্তা হয়। অতিথিপরায়ণ তারেক রহমান তার স্বভাবসুলভ আচরণ দিয়ে বৈঠকটিকে প্রাণবন্ত করে তোলেন। এই বৈঠকের পর বিএনপি’র তরফে কোনো ফলোআপ করা হয়নি। এতেই তারা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। লন্ডন বৈঠকের পর অতিপ্রতিক্রিয়া দেখিয়ে দলটি কী লাভ করলো। সমালোচকরা বলছেন, দলটি যতটুকু জায়গা করে নিয়েছিল, ততটুকু জায়গাই হারিয়েছে।

বলটা বিএনপি’র কোর্টে ঠেলে দিয়ে দূর থেকে খেলা দেখতে চাইছে। অনেকেই বলেন, এটাই নাকি জামায়াত রাজনীতির বিউটি। যাই হোক, লন্ডন বৈঠকের পটভূমি কী। এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। হিসাব-নিকাশেরও কমতি নেই। হয়তো আরও অনেকদিন চলবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটা এক স্মরণীয় এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনা। দেশি-বিদেশি নানা শক্তি এবং ভূ-রাজনীতির কৌশলের অংশ হিসেবেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এমনটাই বলা হচ্ছে। যদিও যৌথ বিবৃতি ছাড়া কোনো পক্ষ থেকেই আওয়াজ নেই। লন্ডন বৈঠকেই বাংলাদেশি রাজনীতির সবকিছুর ফয়সালা হয়ে গেছে এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। অতীতের মতো যেকোনো সময় চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ উঠতে পারে। ওলট-পালট হতে পারে সবকিছু। তবে, এই বৈঠক স্বৈরাচার ফিরে আসার পথকে আপাতত সিল করে দিয়েছে। বলটা যেহেতু রাজনীতিবিদদের কোর্টে সেজন্য তাদেরকেই বেশি ফাউল না করে খেলাটা শেষ করতে হবে। নাহলে সমূহ বিপদ সামনে অপেক্ষা করছে। হতাশা আরও হতাশার জন্ম দেয়। বাংলায় একটা কথা চালু আছে- রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। বিএনপি যে ভুল করেনি তা নয়, নিকট অতীতেও অনেক ভুল করেছে। জামায়াত নেতাদের ভুল পরামর্শেই ২০০৮ সালে বেগম খালেদা জিয়া সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। যার মূল্য দিতে হয়েছে অনেকদিন।
পাঠকের মতামত
নির্বাচন যত দ্রুত হবে, জামায়াতের ক্ষমতা তত দ্রুত খর্ব হবে। ৫%জনসমর্থকের দল ৫% জনগণের দলেই থাকতে হবে, এখনকার মতো১০০% এর দাপট নিভে যাবে। এটা বুঝতে পন্ডিত হওয়া লাগে না।
এই নিউজটাকে কি ভাবে মূল্যায়ন করবো। হলুদ না বস্তুনিষ্ট। পুরো নিউজ পড়ে মনে হলো নিলজ্জ দালালি।
আসল কথা হলো যোদ্ধের ফলাফল যে নির্ধারিত হয়েগেছে এটি জামায়াত বুঝে ফেলেছে। বঙ্গ ভবন লিজ দেয়া পাওয়ার বিষয়টি শুধু জামায়াত নয় আমজনতা ও বুঝে গেছে ।
One sided BNP report
মানবজমিন দালালীতে মেতে উঠেছে ।
Is it newspaper reporter's report or BNP paid report. Shameless reporter
Yellow journalism!
কী ব্যাপার, আমার কমেন্ট ছাপা হয় না কেন? আমি বলছি, জামাত বিগত ৮৪ বছর ধরে কেবলই ভুল করে আসছে বারবার। তারা নিজেদেরকে অতিরিক্ত শক্তিশালী ভাবে।
প্রধান উপদেষ্টার পাকিস্তান সফরের সময় জামাতের আমীর সেখানে প্রধান উপদেষ্টার সাথে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক চায়।
জামাত ছাড়া অন্য সব দল সব ফেরেশতা । ফেরেশতার কোন ভুল হয় না। জামাত মানুষের দল তার ভুল স্বাভাবিক ব্যাপার। কাজের কথা বলুন । জাতি উপকৃত হবে।
২০০৮ সালে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে যেতে চাননি, কারণ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারচুপির আশ্রয় নেওয়া হবে তা তিনি জানতেন! কিন্তু জামায়াতের চাপে বিএনপি নির্বাচনে গিয়ে কুশিলবদের কারসাজিতে ৩০ সিট বন্টনে পেয়েছিল! পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জামায়াত নিজেদেরকে খুব বড় দল মনে করে! এমতাবস্থায় লন্ডন বৈঠকে জামায়াত গোস্যা করতেই পারে! তবে বোদ্ধা পাবলিক মনে করে, ভোটের মাঠে বিএনপি'র blessings চায় জামায়াত!
জামাতি ভাইদের একটাই সমস্যা, উনাদের হজমী শক্তি কম, কোনো কিছু বিপক্ষে গেলেই ঐখানে হুমড়ি খেয়ে পড়েন।।।
কাদা ছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে বর্তমান সরকার ও বিএনপির সাথে সহযোগিতা করে দেশ গঠনে সহায়তা করুন। 1947 থেকে 1971 পর্যন্ত জামায়াতে সমর্থিত সরকার কি করেছে তা বাংলাদেশের মানুষের জানা আছে। যারা বলে আওয়ামিলীগ দেখলাম, বিএনপি দেখলাম তারা আরো একবার ভাবেন স্বাধীনতা যুদ্ধ কেন হয়েছে? জামাতের ভুমিকা কি ছিল? আর জামাত কি করেছে? আর কি করবে?
এ আর নতুন কি? জামায়াতের রাজনীতি আপাদমস্তক ভুলের ভরা!
এই আর্টিকেল মনে হচ্ছে মিজা্ ফখরুল সাহেব লিখেছেন
এখানে জামাতি বটদের একযোগে ঝাঁপিয়ে পরে মন্তব্য দেখে হাসি পাচ্ছে ওরাও পলাতক আওয়ামীলীগের মানসিকতা পোষন করে দেখি !
আপনি তো বিএনপির দালালি করেছেন। জামায়াতের সাহায্য ছাড়া বিএনপি কি একবারও সরকার গঠন করতে পারতো? আর কে না জানে বিএনপি পদে পদে এ সরকারের কাজে বাধা সৃষ্টি করেছে। অথচ সেই বিএনপি এখন এ সরকারের শুভাকাংখী। এ সরকার অবশ্যই বিএনপিকে ক্ষমতায় আনবে। আর কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে না বা দিবে না। মনে রাখবেন বিএনপি এদেশে নব্য ফ্যাসিস্ট। আর সকল মিডিয়া বিএনপির দালালিতে ব্যস্ত। এমনকি পিনাকি, ইলিয়াছ ও কনক সরোয়ার এর মতো লোকেরা দেশের পক্ষ ভুলে বিএনপির পক্ষ নিয়েছে।
যৌথ বিবৃতি অবশ্যই নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়েছে। শিবির ও ছাত্রদের কারণে আজ আপনি মুক্তভাবে কলাম লিখছেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। আওয়ামী সরকারের ৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার কথা ভুলে যায়েন না। দলকানা রিপোর্টিং করে মানবজমিন-এর সুনাম নষ্ট কইরেন না
মন্তব্যগুলো দেখে মনে হলো জামায়াতের বিরুদ্ধে কোনকিছু লেখা হলে গায়ে আগুন জ্বলে মন্তব্যকারীদের
কমেন্টগুলো পড়ে জানতে পারলাম এই রিপোর্ট লেখার পরে জামায়াতের গায়ে জ্বালা ধরেছে
A well stated report . Jamat is always a opportunist party .
আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে প্রতিবেদনে কোন মিল নেই। বৈঠক নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নয় আপত্তি হচ্ছে প্রক্রিয়ার। একটা দলের দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা দ্বিতীয় সারির নেতার সাথে বৈঠক করে তা আবার যৌথ সংবাদ সম্মেলন যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। পতাকাতো এদের প্রয়াত নেতা অনেক আগেই তুলে দিয়েছে বাড়িতে গাড়ীতে। ৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন না ফেলে দলটির অস্তিত্ব বলতে কি কিছু থাকগো। ৯৬ এর একতরফা নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন? আবার স্বৈরাচার এরশাদকে সাথে নিয়ে ৪ দলীয় জোট কে করছে? ২০০৮ এর কথা লিখলেন? লজ্জা করে না যেদিন ২০০৬ এ যেদিন ক্ষমতা শেষ হবে সেদিন ২৭ জন এম পি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন এরা কারা? মান্নান ভূঁইয়াদের কথা লিখলেন না যে? এমন অনেক উদাহরণ আরও আছে। তবে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে দলীয় লোকদের বক্তব্য ছাপানো এটা কোন সাংবাদিকতার সংজ্ঞায় পড়ে? জামায়াত কারও রক্ত চক্ষুকে কখনো ভয় পায় নি ভবিষ্যতেও পাবে না ইংশাআল্লাহ্।
জনাব সাংবাদিক মহোদয় দেশের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে অনৈক্যের রিপোর্ট না করে কিভাবে সবাইকে একত্রিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সেই ধরণের ইতিবাচক রিপোর্ট করা খুবই যুক্তিযুক্ত ও কল্যাণকর হতো বলে আমি মনে করি। অযথা প্যাচাল বাড়িয়ে কার লাভ হবে!
very very partial report we dont expect from manobzamin
এটা একটি একপেশে দূর্বল বিশ্লেষণ। কাঁচা হাতের লিখা।
এই দেশে জামায়াতের অবদান অপরিসীম. জামায়াত ১৯৭১ পাকস্তানির সহযোগী একাত্তরে বর্বরতা ধর্ষণ হত্যা, ১৯৮১ জেনেরাল এরশাদের সাথে গোপন বৈঠক, ১৯৯৬ হাসিনার সহযোগী লগিবৈঠা বিএনপি কর্মী হত্যা। জামায়াত বরাবরই বাটপার।
রিপোর্ট টা পড়ে প্রথমে ভেবেছিলাম বিএনপির কোন রাজনৈতীক নেতার বক্তব্য! পরে দেখলাম না, এটা একজন স্টাফ রিপোর্টারের রিপোর্ট!! এটা কোন জাতের রিপোর্টার আমার বুঝে আসলোনা। রাজনৈতীক বিশ্লেষকরাও তো এরকম ভাষা ব্যবহার করেনা। মনে হলো ছাত্র দলের সভাপতি রাকিবের বক্তব্য পড়লাম। মানবজমিনকে এ বিষয় গুলো খেয়াল রাখা উচিত।
মানবজমিন পত্রিকার সাথে কি এই রির্পোট যায়? পুরো লেখাটাই পক্ষপাত মূলক।
জামাতও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো ক্ষমতালোভী। এখন তারা মধু পাচ্ছে বলেই নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।ভুলে গেলে চলবে না,এই জামাত এক সময় আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল।তারা আদর্শের কথা বলে যত্রতত্র বিক্রিত একটি রাজনৈতিক দল।
গদবাধা একচেটিয়া মন্তব্য করলেন। অথচ জামায়াত স্পষ্ট বলেছে বিএনপি'র সাথে বৈঠকে তাদের আপত্তি নেই, সরকারে থেকে একটা নির্দিষ্ট দলকে সাথে নিয়ে যৌথ বিব্রতি দেয়াতেই তাদের আপত্তি। দলকানা রিপোর্টিং করে মানবজমিন-এর সুনাম নষ্ট কইরেন না...... ।।।
পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বাংলার প্রতিটিা মানুষের আকাঙ্খা। প্রতিটা রাজনীতি দলের উচিৎ দায়িত্বশীল আচরন করা যেহেতু রাজনীতিটা হলো জনগণের কল্যাণের জন্য। সুতরাং বিএনপি ও জামাতের উচিৎ কাদাঁ ছুড়াছুড়ি না করে জনমানুষের কথা চিন্তা করে সামনের দিকে এগিয়ে জাওয়া।
জামায়াতে ইসলামী সরকারের সবরকম বৈষম্যমুলক আচরনের বিরুদ্ধে সুষ্পস্ট বার্তা দিয়েছে
সাংবাদিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে রিপোর্টে জামায়াতকে ছোট করেছেন, কিন্তু কেন তারা বৈঠক নিয়ে আপত্তি তুলেছে তা উল্লেখ করেননি। সরকারপ্রধান অন্য দলের সঙ্গে দেখা করতেই পারেন, কিন্তু যৌথ বিবৃতি দেওয়া ঠিক নয়—এ নিয়েই জামায়াতের আপত্তি। আর জামায়াতই সব সুবিধা পাচ্ছে বলে প্রচার করে সাংবাদিক আসলে ভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন।
লোভ সংবরণ করতে না পেরে জামাত বারবার ভুল করে এসেছে যার বলিদান হয়েছে জামাতের নামি-দামি শীর্ষ নেতারা বিশেষ করে ৯৬ সালের সেই ভুল থেকে শিক্ষা না নিলে তারা আবারও রাজনীতির আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ হবে।
পুরো লেখা পড়ার আর দরকার নেই। সাংবাদিক সাহেব পক্ষপাত দুষ্ট এটাই বুঝা যাচ্ছে। ”যৌথ বিবৃতী” কারা দেয়? কেন দেয়?
গদবাধা একচেটিয়া মন্তব্য করলেন। অথচ জামায়াত স্পষ্ট বলেছে বিএনপি'র সাথে বৈঠকে তাদের আপত্তি নেই, সরকারে থেকে একটা নির্দিষ্ট দলকে সাথে নিয়ে যৌথ বিব্রতি দেয়াতেই তাদের আপত্তি। দলকানা রিপোর্টিং করে মানবজমিন-এর সুনাম নষ্ট কইরেন না...... ।।।
মানবজমিনের কাছে প্রশ্ন, ২০০৮ সালে জামায়াতের কি ভুল পরামর্শ ছিলো বেগম জিয়ার প্রতি?
এটাতো বি এন পির দালালী হলো, একপেশে লেখা ! শুধু জামাত নয়, অন্য বড় সকল রাজনৈতিক দলই যৌথ ঘোষণার বিরোধিতা করেছে, মিটিং স্বাগত জানিয়েছে সকলে। একটি দলের সাথে সরকারের যৌথ ঘোষণা হয় কিভাবে?
জামায়াত সঠিক কাজটি করেছে। যৌথ বিবৃতি অবশ্যই নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হয়েছে। জামায়াত শিবির ও ছাত্রদের কারণে আজ আপনি মুক্তভাবে কলাম লিখছেন, বিএনপি নির্বাচনের জন্য পাগল হয়ে গেছে। আওয়ামী সরকারের ৪২ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা থাকার কথা ভুলে যায়েন না।
আপনার লেখার বিষয়বস্তুর সাথে প্রতিবেদনে কোন মিল নেই। বৈঠক নিয়ে জামায়াতের আপত্তি নয় আপত্তি হচ্ছে প্রক্রিয়ার। একটা দলের দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা দ্বিতীয় সারির নেতার সাথে বৈঠক করে তা আবার যৌথ সংবাদ সম্মেলন যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। পতাকাতো এদের প্রয়াত নেতা অনেক আগেই তুলে দিয়েছে বাড়িতে গাড়ীতে। ৯১ সালে জামায়াতের সমর্থন না ফেলে দলটির অস্তিত্ব বলতে কি কিছু থাকগো। ৯৬ এর একতরফা নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন? আবার স্বৈরাচার এরশাদকে সাথে নিয়ে ৪ দলীয় জোট কে করছে? ২০০৮ এর কথা লিখলেন? লজ্জা করে না যেদিন ২০০৬ এ যেদিন ক্ষমতা শেষ হবে সেদিন ২৭ জন এম পি মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন এরা কারা? মান্নান ভূঁইয়াদের কথা লিখলেন না যে? এমন অনেক উদাহরণ আরও আছে। তবে সাংবাদিকের ছদ্মবেশে দলীয় লোকদের বক্তব্য ছাপানো এটা কোন সাংবাদিকতার সংজ্ঞায় পড়ে? জামায়াত কারও রক্ত চক্ষুকে কখনো ভয় পায় নি ভবিষ্যতেও পাবে না ইংশাআল্লাহ্।
এটা মোটেও কোন "অতি প্রতিক্রিয়া" হয়নি, জামায়াত বরং নিজের কিছুটা ক্ষতি করে হলেও জাতির স্বার্থে, নিরপেক্ষ বিবেকের তাড়নায় ঐ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং যথোপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে - যা এমনকি বিএনপির জন্যও মঙ্গলজনক হয়েছে বলে মনে হয়।
আমার তো মনে হয়েছে, জামায়াতের ঐ প্রতিবাদের অনুসঙ্গগুলো অত্যন্ত মূল্যবান, পরিমিত, সময়োপযোগী এবং ভদ্রজনোচিত। আপনি গণতন্ত্র মানতে চাইলে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আশা করলে, বস্তাপচা একদেশদর্শী অতীত থেকে দেশকে মুক্ত করতে চাইলে ঐ প্রতিবাদের তেমন খুব একটা সমালোচনা করতে পারবেন না।
ভীষণ একপেশে প্রতিবেদন।
জামায়াত বিএনপিকে সমর্থন না দিলে বিএনপি কোনদিনও ক্ষমতার মুখ দেখতো না। বিএনপির কারনে জামায়াতের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তারেক রহমানের এদেশের জন্য কোন অবদান নাই। তারপরেও এই প্রতিবেদক যেভাবে লিখেছেন তাতে মনে তিনি এই লেখার মাধ্যমে কোনদলের নিকট থেকে আশির্বাদ নিতে চান। সাংবাদিকরা কেন সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে ভয় পান বুঝে আসে না। আর প্রতিবেদকের লেখায় একটা জিনিস পরিস্কার এদেশের রাজনীতির প্রকৃতি চিত্র সম্পর্কে তার মোটেও কোন জ্ঞান নাই। আর জ্ঞান না থাকা বিষয়ে কোন প্রতিবেদন ছাপানো উচিত নয়।
লেখা টা পরে ভালো লাগলো তবে মনে হলো বিএনপির স্হায়ী কমিটির কোনো সদস্য এ লেখা টি লেখ লে ভালো হতো, এটাই বাংলাদেশের তথাকথিত বুদ্ধি জীবিদের সমস্যা যে তারা দল কানা,জামায়াতে ইসলামী লন্ডন বৈঠকে নিয়ে কোনো সন্দেহ বা প্রশ্ন করে নাই, প্রশ্ন হলো যৌথ বিবৃতি এবং সে টা লন্ডনে কেন?
এতে হ তাস হওয়া যাবে না ভোট পাবলিক দিবে, ওদের কে ঠান্ডা বানিয়ে রাখছে নির্বাচন কঠিন হবে।
যৌথবিবৃতি অনেক বড় ভুল। দু পক্ষের চুক্তি। মধ্যবর্তী সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে না। এখানে সরকার ভুল করেছে। ভুল ভুলই। এটাকে ইনিয়েবিনিয়ে জায়েজ করা যাবে না। সরকারের প্রেসে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি আবেগ সংবরণ করতে পারেননি। মিটিং কোনো সমস্যা নয়। বরং উপযুক্ত সময়ে মিটিং হয়েছে। সবচে বড় বিষয় হলো, বিএনপির সিনিয়র নেতারা এই মিটিংকে সহজভাবে নিতে পারেননি। তারা ডক্টর ইউনূসকে অপমানের ভাষায় আক্রমন করছেন। জামাত ভুল করলে জামাত সিট কম পাবে কিন্তু বিএনপি ভুল করলে সারা বাংলাদেশ হারবে।
টোটাল রিপোর্টটি 'স্টাফ রিপোর্টে'র নামে ব্যাক্তি মতামত তুলে ধরা হয়েছে। সম্পাদক তাঁর নিজের নামে চালিয়ে দিতে পারতেন। যাই হোক, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দর্শন ও কর্মপন্থা থাকে। তারা সেভাবেই এগুচ্ছে বলে মনে হয়। তবে জামায়াত এবার খুব ভেবে চিন্তে সঠিকভাবে রাজনৈতিক ময়দানে খেলছে। এর ফলও দেখা যাচ্ছে। আমি এপ্রিশিয়েট করি। গুড লাক জামায়াত।
এইটি একটিলেখা হলো?
রাজাকাদের বেশী রকম পশ্রয় দেয়া হচ্ছে। ৭১ এর ভুমিকার কথা তারা ভুলে গেলেও ১৮ কোটি মানূষ ভোলবে না।
জামাতেরে হাসিনার শয়তানে ধরেছে
ব্যাহুদা প্যাচাল।