বিশ্বজমিন
বেআইনি আগ্রাসন বন্ধ না হলে তেহরান থামবে না, যুদ্ধবিরতির কোনো চুক্তি হয়নি: ইরান
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৮:৫২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৪:০৩ অপরাহ্ন

ইসরাইল ও ইরান যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এমন ঘোষণা সত্ত্বেও দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা অব্যাহত আছে। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছে, যুদ্ধবিরতি নির্ভর করছে ইরানের ওপর। অন্যদিকে ইরান বলছে, ইসরাইল যদি ‘বেআইনি আগ্রাসন বন্ধ’ না করে তাহলে তেহরানও হামলা বন্ধ করবে না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো চুক্তি হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। সোমবার রাতে আকস্মিকভাবে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে দুই দেশের যুদ্ধবিরতি। এর আগের কাতার ও ইরাকে থাকা মার্কিন সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে। কাতার দাবি করেছে তারা ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই নিষ্ক্রিয় করেছে। কিন্তু নিরপেক্ষ কোনো সূত্র থেকে বিষয়টি নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
ওদিকে কাতারে ইরানের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে এর নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ। ট্রাম্পের ঘোষণার পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘটি এক্সে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এখনও কোনো চুক্তি নিশ্চিত হয়নি। ওদিকে আল জাজিরার সাংবাদিকরা বলছেন, রাজধানী তেহরানে মঙ্গলবার খুব ভোরেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে ইরানের বিভিন্ন শহরে। এর অর্থ ইসরাইল হামলা অব্যাহত রেখেছে। এমন অবস্থায় ইসরাইলের হামলা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইরান হামলা বন্ধ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।
ওদিকে ইসরাইলের বিভিন্ন স্থানে সাইরেন বাজানো হয়েছে। ইরান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেখানে। ইসরাইলের উত্তর থেকে দক্ষিণ-সর্বত্রই এই সাইরেন বাজানো হয়েছে। ওদিকে আরেক রিপোর্টে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করেছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বার্তা সংস্থা এপি হোয়াইট হাউসের সিনিয়র একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরাসরি ও পরোক্ষ চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ। হোয়াইট হাউস থেকে দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শনিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা করেছে। এতে যুদ্ধবিরতিতে ইসরাইলকে রাজি করাতে সহায়ক হয়েছে। যুদ্ধবিরতিতে আসার ক্ষেত্রে কাতার সরকারও মধ্যস্থতার কাজ করেছে।
পাঠকের মতামত
যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা দিয়ে যখন আবারও ইরানে হামলা করা হয় তখন এটাকে কি বলা উচিৎ? একটা বিষয় খুব পরিস্কার তাহলো ইসরায়েল কখনো সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে পারবেনা কারণ ওরা জন্মলগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী এবং বিশ্বাস ঘাতক সুতরাং এদের ব্যপারে সাবধান।