জুলাই নিয়ে সিনেমা প্রসঙ্গে যা জানালেন নির্মাতারা

জুলাই নিয়ে সিনেমা বানানোর কথা বলেছিলেন বেশ কিছু নির্মাতা। আওয়ামী দুঃশাসনের আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যে যেসব সিনেমার নাম শোনা গিয়েছিল, সেগুলো হলো- ‘আয়নাঘর’, ‘জুলাই গণ-আন্দোলন’। গণ-অভ্যুত্থানকে পর্দায় নিয়ে আসতে কাজ করতে চেয়েছিলেন কয়েকজন নির্মাতা। এর মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আটটি সিনেমা নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর ঘুরে-ফিরে ‘আয়নাঘর’ নামটি প্রাধান্য পেয়েছে। পরিচালক সমিতির শিডিউল খাতার তথ্য বলছে, বদিউল আলম খোকনের ‘ভয়ঙ্কর আয়নাঘর’, জয় সরকারের ‘আয়নাঘর’, বেলাল সানির ‘পরিবর্তন’, জাঁ নেসার ওসমানের ‘অন্ধকারের আয়নাঘর’- নামে ছবি নির্মাণের জন্য নাম নিবন্ধন করেছিলেন। এ ছাড়া, ৩৬ দিনে সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে ‘৩৬শে জুলাই’ শিরোনামে একটি সিনেমা বানাতে পরিচালক সমিতিতে নাম নিবন্ধন করেছিলেন রাশেদ শামীম স্যাম। ‘আয়নাঘর’ সিনেমার অগ্রগতি প্রসঙ্গে জয় সরকার বলেন, ‘আয়নাঘর’-এর কাজ গুছিয়ে এনেছি। সামনের বছর জানুয়ারিতে প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি মুক্তির পরিকল্পনা আছে প্রযোজকের। দু’দিন পর সিনেমাটি নিয়ে মিটিংও আছে প্রযোজকের সঙ্গে। ‘ভয়ঙ্কর আয়নাঘর’ নিয়ে বদিউল আলম খোকন জানিয়েছেন, সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘অনেক বড় ক্যানভাসে সিনেমাটি নির্মাণ করতে চাচ্ছি। তাই একটু সময় নিচ্ছি। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা চলছে, পাশাপাশি নতুন একটা সিনেমার কাজ ধরেছি। সেটি শেষ করে ‘ভয়ঙ্কর আয়নাঘর’-এর প্রি-প্রোডাকশন শুরু করবো। দেশব্যাপী সংস্কৃতির বিকাশ ও বিকেন্দ্রীকরণের কথা মাথায় রেখে জুলাই আন্দোলন নিয়ে সিনেমা বানানোর ঘোষণা দিয়েছিল খোদ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে দেশের আট বিভাগীয় শহরে কর্মশালা ভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের একটি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের কয়েকজন চলচ্চিত্রকারের কর্মশালা শেষ হয়েছে। একটি বিভাগের সিনেমা নির্মাণ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিচালক অনম বিশ্বাস।