শেষের পাতা
এবার এনবিআর’র ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠালো সরকার
স্টাফ রিপোর্টার
৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন চার কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তারা হলেন- কাস্টমসের শুল্কনীতির সদস্য হোসেন আহমদ ও ভ্যাটনীতির সদস্য ড. আব্দুর রউফ, আয়কর বিভাগের এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন ও কর কমিশনার শাব্বির আহমদ। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে (আইআরডি) এ নিয়ে পৃথক আদেশ জারি করা হয়।
চার কর্মকর্তার অবসরের আদেশে বলা হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। জনস্বার্থে তাদেরকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান প্রয়োজন হবে-এ বিবেচনায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮-এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা বলে তাদেরকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। তবে তারা বিধি অনুসারে অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন। এর আগে গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৮ ও ২৯শে জুন চট্টগ্রামের কাস্টম হাউস বন্ধ রেখে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি করায় মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
এদিকে এ বিষয়ে এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এনবিআর ঐক্য পরিষদের ব্যানারে কয়েক দিন আগে এনবিআরে যে আন্দোলন হয়েছে, এর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এসব কর্মকর্তাকে অবসর প্রদান করা হতে পারে। যদিও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছিলেন, কাজ করলে সমস্যা হবে না। এ ছাড়া আন্দোলনের পরদিন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান সবাইকে সবকিছু ভুলে রাজস্ব আহরণে মনোযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
পাঠকের মতামত
ঘুষ খোরদের ধর্মঘট করার সাহস চিরতরে বন্ধ করে দিন।
দেশের মানুষ চাকরি পাইনা, এদের অনেক তেল ধরসে। হারাম খাইতে খাইতে জিহবা বড়ো হয়ে গেসে। এগুলা রে বাদ দিয়া নুতুন নিয়োগ দেয়া হোক।