ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

নির্বাচিত কলাম

সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ

বাংলাদেশ, আরাকান আর্মি ও আগামী দিনের ভাবনা

এম সাখাওয়াত হোসেন
২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবারmzamin

ভবিষ্যতে মিয়ানমারের কাঠামো যেমনই হোক বর্তমান কাঠামো থাকছে না। সেক্ষেত্রে আরাকান বা রাখাইন রাজ্য অধিক স্বায়ত্তশাসিত অথবা কনফেডারেটিং (সন্ধি দ্বারা মিলিত হওয়া) স্টেট যেটাই হোক বাংলাদেশকে এমন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। যত সময়ই লাগুক মিয়ানমার রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে বর্তমান অবস্থায় থাকবে না- তা নিশ্চিত। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাখাইন-এর কথা চিন্তা করে একদিকে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। অপরদিকে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেন্টমার্টিন, যত অনুপযুক্তই হোক নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি সহ  ছোট আকারে সদর স্থাপন করা যেতে পারে।

মাত্র কয়েকদিন পূর্বে উত্তর রাখাইনের পরিস্থিতির কারণে নাফ নদের মোহনায় সেন্টমার্টিনগামী বাংলাদেশি জলযানের উপর রাখাইন অঞ্চল থেকে ফায়ারিংয়ের কারণে বেশ কয়েকদিন সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসী প্রায় অবরুদ্ধ ছিল। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মিয়ানমার সরকারকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল। কাজ হয়নি- কারণ বর্তমানে বস্তুতপক্ষে উত্তর রাখাইনে বিশেষ করে বাংলাদেশ সংলগ্ন জেলা শহর মংডুর চারপাশে আরাকান আর্মির সঙ্গে তাতমাদোর সংঘর্ষের কারণে বাংলাদেশ সীমান্তে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সেন্টমার্টিনে তাদের অবস্থান দৃঢ় করেছে বলে তথ্যে প্রকাশ। অপরদিকে এই প্রথমবারের মতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন যে, স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয় থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে বিবদমান উভয় পক্ষ, অর্থাৎ তাতমাদের এবং আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সরকারকে বার্তা দেয়া হয়েছে নদে চলাচলকারী বাংলাদেশি নৌযানে পুনরায় গুলি ছুড়লে বাংলাদেশও পাল্টা জবাব দেবে। তিনি আরও বলেন যে, যে বার্তা তিনি অপর পক্ষ থেকে পেয়েছেন তা হলো চলাচলকারী নৌযানগুলোকে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে চলাচল করতে (নয়াদিগন্ত অনলাইন, ২০শে জুন ২০২৪)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ বক্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই প্রথমবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়, যার প্রাথমিক দায়িত্ব সীমান্ত সুরক্ষার, তার বক্তব্যে প্রকাশিত হয়েছে যে, তাতমাদো ছাড়াও আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়টি। তিন বছর থেকে মিয়ানমার রোহিঙ্গা বিষয় নিয়ে আমার বিশ্লেষণ ও বক্তব্যে এই তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যে, আমাদের দেশে আশ্রয়প্রাপ্ত মিয়ানমারের নাগরিক ‘রোহিঙ্গা’দের মিয়ানমার, রাখাইন অঞ্চলে ফিরে যাবার বিষয়টিতে আরও এক বড় শরিক হতে যাচ্ছে আরাকান আর্মি। তখনো অপারেশন ১০২৭ শুরু হয়নি। তবে আরাকান আর্মি সর্বাত্মক আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। অপারেশন ১০২৭ শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালে। যার অগ্র ভূমিকায় ছিল ‘থ্রি ব্রাদারহুড’ অ্যালায়েন্স এবং এই জোটের মূল শক্তি ছিল আরাকান আর্মি। যদিও মিয়ানমার বিগত ৭২ বছর কোনো না কোনো অঞ্চলে স্বাধিকার এবং বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে ভ্রাতী গোষ্ঠীভিত্তিক বিদ্রোহ চলছিল। বিশেষ করে শান রাজ্যে অন্যান্য বেশির ভাগ রাজ্যে রাখাইনের মতো তেমন তীব্র আকার ধারণ করেনি। কারণ আরাকান আর্মির গোড়াপত্তন হয় ২০০৯ সালে। প্রথমেই আরাকান আর্মি ধাক্কা খায় যখন ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর হটকারিতায় শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যা করা হয় (রোল এজেন্ট: লেখিকা নন্দিতা হাকসার)। এ ধাক্কা সামলে আরাকান আর্মি শক্তিশালী হয়ে গড়ে উঠে। বর্তমানে থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্স জোটের সর্ববৃহৎ ও শক্তি হিসেবে উত্থান হয়েছে। শুধু রাখাইনেই নয় শান প্রদেশ থেকে কাচিন পর্যন্ত এই থ্রি ব্রাদার অ্যালায়েন্স অপারেশন ১০২৭ শুরু করেছিল। বর্তমানে এসব অঞ্চলে তাতমাদোর অবস্থান খুব সুবিধাজনক নয়। তথ্য মতে আরাকানে শুধুমাত্র আরাকান আর্মি-ই দারুণ সক্রিয়-এক কথায় তাতমাদো (মিয়ানমার সামরিক বাহিনী) আরাকান আর্মির হাতে পুরোপুরি পরাজয়ের পথে।

বর্তমানে আরাকান আর্মির হাতে উত্তর রাখাইন অঞ্চলের রথিডং ও বুথিডং চীন রাজ্য সীমান্ত সংলগ্ন ভূ-কৌশলগত শহর, কালাদান নদী বন্দর পেলেঙ্গওয়া সহ নয়টি শহর এবং তৎসংলগ্ন শহরতলী দখলে রয়েছে। মাত্র কয়েক সপ্তাহ পূর্বে মাইয়ু নদী এবং মাইয়ু পাহাড়ের মধ্যাঞ্চল শহর বুথিডং আরাকান আর্মির দখলে রয়েছে এবং তাতমাদোর সৈনিকদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া  গেছে। বুথিডং আর এ অঞ্চলের বড় শহর টেকনাফ সীমান্ত সংলগ্ন মংডু শহরের যোগাযোগ সংযোগকারী। জোড়া সুড়ঙ্গ পথ বন্ধ হওয়াতে ওই শহরের প্রায় ১,৫০,০০০ বাসিন্দা যার মধ্যে সিংহভাগ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে পাহাড়ি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। তথ্যে প্রকাশ ওই শহরের বসতবাড়িগুলোর বেশির ভাগ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বাড়িঘর পোড়ানোর অভিযোগ দু’পক্ষই অস্বীকার করলেও আরাকান আর্মি সরকারি বিমান বাহিনীকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে। 

বুথিডং এবং মংডু শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াতে সীমান্তবর্তী বড় শহর মংডু শুধু উত্তর-পূর্বদিক থেকেই বিচ্ছিন্ন নয় বরং রাখাইন বা আরাকানের রাজধানী সিতওয়ের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন। স্মরণযোগ্য যে, ২০১৭ সালে এ অঞ্চল থেকেই বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তথাপি মংডুর বর্তমান চার লাখ জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সামরিক বাহিনী পরিচালিত ক্যাম্পে রয়েছে। তথ্যে প্রকাশ মংডু শহর যেহেতু ঘেরাওয়ের মধ্যে রয়েছে এবং আরাকান আর্মি  কোনো পর্যায়ে আক্রমণের প্রস্তুতিতে সেহেতু শহরের বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার আহ্বান জানালেও সামরিক জান্তা শহরে ব্যারিকেড দেয়ার কারণে জনসাধারণ আটকা পড়ে আছে। শহর হতে যে বের হওয়ার পথ রয়েছে সেগুলো সমুদ্রতট আর পশ্চিমদিকে বাংলাদেশ। এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৪০০ থেকে ৬০০টি মুরং পরিবার প্যাগোডার মধ্যে আটকা পড়েছে। স্মরণযোগ্য যে, বাংলাদেশের দক্ষিণ পার্বত্যাঞ্চলে এ সম্প্রদায়ের বাস।

ইতিপূর্বে রাখাইন রাজ্যের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত নাফ নদ বরাবর বাংলাদেশি নৌযানের পক্ষে কয়েকদিন সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি যার কারণ ওই অঞ্চলের মিয়ানমারের বর্ডার পুলিশের দুটি ঘাঁটি, ‘জওমাদা’র ময়য়াবদি বেস এবং তার দক্ষিণে আ লে থান বৌ সংলগ্ন মিন্তলু (গুরহঃ খঁঃ) এবং বর্ডার গার্ড-এর ৯ নং ব্যাটালিয়ন বেস আরাকান আর্মির দখলে। অনুরূপভাবে সিতওয়ে মান্ত সমুদ্র  সৈকত সড়কে প্রায় পুরোটাই আরাকান আর্মির দখলে। এর মধ্যে রয়েছে দক্ষিণে কুক পানু (কুধশ চধহ)  এবং ইন দিন (ওহহ উরহ) গ্রামগুলো যার সিংহভাগ বাসিন্দা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। অপরদিকে মান্ডু শহরের উত্তরের ৫নং বর্ডার পুলিশ ব্যাটালিয়নের বেস দখল করায় মান্ডুর পতন আসন্ন। সে ক্ষেত্রে ওই শহর এবং এসব অঞ্চলের রোহিঙ্গাদের হয় আরাকান আর্মির সঙ্গে সহাবস্থান অথবা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। এরই  প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এ পর্যন্ত সমুদ্রসীমা সংলগ্ন যেসব জায়গার উল্লেখ করা হয়েছে এসবগুলোই বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংলগ্ন। এরই কারণে প্রথমে কিছুদিন রাখাইন অঞ্চল থেকে গোলাগুলি এবং পরে মিয়ানমার নৌবাহিনীর উপস্থিতি এবং সেখান  থেকে ভারী অস্ত্রের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের কথিত হুঁশিয়ারি যা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা এবং সেন্টমার্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখতে অতীব প্রশংসনীয় ছিল বলে মনে করি।
তবে এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন শহর মান্ডু-এর পতন হলে সিতওয়ে হবে উত্তর রাখাইন দখলের শেষ পর্যায়ে; তবে সিতওয়ের পতন খুব সহজ কাজ হবে বলে মনে হয় না। যাই হোক মান্ডু পতনের সঙ্গে উত্তর আরাকানের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল আরাকান আর্মি তথা সংগঠনের রাজনৈতিক  প্ল্যাটফরম ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান (টখঅ) এ অঞ্চলে কর্তৃত্বে থাকবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চল অস্থিরতায় নিমজ্জিত হতে পারে। কাজেই বাংলাদেশের পূর্ব সীমান্ত এবং সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে সিতওয়ে দখল নিয়ে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে। 

যেহেতু আরাকান আর্মি জানা মতে, ন্যাশনাল ইউনিটি সরকারের এবং যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা অ্যাক্ট-এর সহযোগিতায় নেই; তাই সিতওয়ে নিয়ে একদিকে চীন-অন্যদিকে ভারতসহ পশ্চিমা শক্তি বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ভূ-রাজনীতিতে কতোখানি জটিলতা সৃষ্টি করবে তা দেখার বিষয় হবে। এ অঞ্চলে চীন-ভারতের দ্বন্দ্বের আভাস রয়েছে। সাধারণত ধারণা করা হয়, কিছু কিছু স্থানে প্রমাণিত যে, চীন আরাকান আর্মির পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে। অপরদিকে ভারতের ইকোনমিক জোন রয়েছে সিতওয়েতে কালাদান প্রকল্পের অংশ হিসেবে। স্মরণযোগ্য ভারত- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘কোয়াড’ (ছটঅউ)-এর প্রধান অংশীদার।
যাই হোক বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সঙ্গেই সীমান্ত রয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তের নিরাপত্তার সঙ্গে রাখাইন পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণের বিষয়টি অতীব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে স্থিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন এবং রাখাইনে এই গোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ অবস্থানের পূর্ব শর্তই হবে আগামীদিনের রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন থাকবে।

পরিস্থিতি বিশ্লেষণে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, ভবিষ্যতে মিয়ানমারের কাঠামো যেমনই হোক বর্তমান কাঠামো থাকছে না। সেক্ষেত্রে আরাকান বা রাখাইন রাজ্য অধিক স্বায়ত্তশাসিত অথবা কনফেডারেটিং (সন্ধি দ্বারা মিলিত হওয়া) স্টেট যেটাই হোক বাংলাদেশকে এমন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। যত সময়ই লাগুক মিয়ানমার রাষ্ট্র ব্যবস্থা যে বর্তমান অবস্থায় থাকবে না- তা নিশ্চিত।

বর্তমান ও ভবিষ্যৎ রাখাইন-এর কথা চিন্তা করে একদিকে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। অপরদিকে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হবে বিশেষ করে সমুদ্র নিরাপত্তা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেন্টমার্টিন, যত অনুপযুক্তই হোক নৌবাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি সহ  ছোট আকারে সদর স্থাপন করা যেতে পারে।

অপরদিকে শুধু বাংলাদেশের তরফ থেকেই আরাকান আর্মি অথবা ইউএলএ’র সঙ্গে সম্পর্কই নয় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফেরত পাঠাবার পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রেও যোগাযোগ বাড়াতে হবে বলে মনে করি। এ প্রসঙ্গে হালে প্রকাশিত আরাকান আর্মি তথা ইউএলএ প্রধান জেনারেল তোওমান ম্রাত নাইং-এর বিস্তারিত সাক্ষাৎকার দ্রষ্টব্য (চৎড়ঃযড়স অষড়.পড়স-২ লধহ. ২০২২)। একই কথা তিনি কিছুদিন আগেও ব্যক্ত করেছেন যে, রোহিঙ্গা সহ আরাকান-এর সকল বাসিন্দাদের, বাংলাদেশে অবস্থানকারীসহ মানবাধিকার সংরক্ষিত হবে।

যাই হোক শুধু বাংলাদেশকেই নয় আগামী রাখাইন যে কাঠামোতেই থাকুক বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে তাদের স্বার্থে। বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছাড়া আগামীর রাখাইনের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহায়ক হবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন তথা আরাকানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক সহাবস্থানের ইতিহাস।

লেখক: সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

পাঠকের মতামত

ইউএলএ বা আরাকান আর্মির সঙ্গে পূর্ব থেকেই সুসম্পর্ক বজায় রাখা বাংলাদেশের জন্য খুবই অপরিহার্য ছিল। সময় ফুরিয়ে যাওয়ার পূর্বেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।

Ahmad Zafar
২ জুলাই ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন

নির্বাচিত কলাম থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

নির্বাচিত কলাম সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status