অর্থ-বাণিজ্য
বৃহস্পতিবার থেকে পোশাক কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত: বিজিএমইএ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ সপ্তাহ আগে) ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৮:০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:২৫ অপরাহ্ন
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সহায়তার আশ্বাস পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বুধবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়ে চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নতুন সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এ সিদ্ধান্ত জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক শোভন ইসলাম প্রমুখ।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা রক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে। যার ফলে যেসব কারখানা আজকে বন্ধ ছিল, কালকে থেকে তা চালু হবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা দেবে। বিশৃঙ্খলা হবে না, এমন আশ্বাস পাওয়ার পর আমরা কারখানা খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও শিল্প পুলিশ নিজেদের মতো করে পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, বিক্ষোভের কারণে আজ ১৬৭ কারখানা ছুটি হয়ে গেছে। কয়েকটি কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা খুবই কম। বহিরাগত কারা হামলা চালাচ্ছে তাদের চেনে না বিজিএমইএ। এদের খুঁজে বের করার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। মাসের শুরুতে কারখানায় ঝামেলা হলেও বেতন দিতে দেরি হবে না।
এ সময় বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বহিরাগতরা এসে ঝামেলা করছে। পুলিশ নিজেই আছে অস্থিরতার মধ্যে। আজকের ওসি জানে না কালকে কোথায় বদলি হবে। আর্মির হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই। আবার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা থাকলেও তারা বর্তমানে দুর্বল। সব মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে আজকে রাত থেকে যৌথ অভিযান শুরু হবে।
তিনি বলেন, কারখানায় শ্রমিকেরা কাজ করছেন। ৫০-৬০ বহিরাগত লোক এসে হামলা করে গেট ভেঙে দিচ্ছে। এই গ্রুপে কিশোর গ্যাং, টোকাইসহ বিভিন্ন ধরনের মানুষ আছে। অনেক কারখানায় স্বেচ্ছাসেবীরাও নিরাপত্তার কাজ করছেন।
প্রসঙ্গত, সাভারের শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার অন্তত ৭০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের বাইপাইল থেকে জিরাবো পর্যন্ত সড়কের উভয়পাশের এসব কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
জানা গেছে, বুধবার সকালে আশুলিয়ার বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করলেও কাজ না করে বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে কর্তৃপক্ষ একে একে কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়।
২০০৯ সালে হাসিনার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের পোশাক কারখানা গুলোতে পুরুষ শ্রমিক নেয়া বন্ধ হয়ে যায়। পুরুষ শ্রমিকেরা নাকি আন্দোলন করে হাস্যকর অযুহাত কারখানা মালিকদের, তাই ৯০% কারখানায় পুরুষ শ্রমিক নেয়া হয়না এই বৈষম্য ঘোচানো দরকার। যে কারখানায় পুরুষ শ্রমিক নেয়া হবে না সেই কারখানার গেটে আন্দোলন চলবে,