খেলা
একযোগে ৪২ ফেডারেশনের সভাপতিকে অপসারণ
স্পোর্টস রিপোর্টার
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবারদেশের ৪২টি ক্রীড়া ফেডারেশন ও এসোসিয়েশনের সভাপতিকে অব্যাহতি দিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গতকাল মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব হুমায়ুন কবিরের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন ২০১৮ এর ২২ ধারার ক্ষমতাবলে ৪২ ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতিদের এই অব্যাহতি দেয়া হয়। দেশে ৫৫টি ফেডারেশনেও এসোসিয়েশন বিদ্যমান। এরমধ্যে দাবা, কাবাডি ও ব্রিজের তিন সভাপতিকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। তিনটি ফেডারেশন ছিল সভাপতিশূন্য (শরীরগঠন, বুত্থান ও ইয়োগা)। পাঁচটি ফেডারেশন ও এসোসিয়েশনের সভাপতিদের বহাল রাখা হয়েছে। এগুলো হলো- হকি, সাঁতার, গলফ, বিলিয়ার্ড ও কিক বক্সিং। নাজমুল হাসান পদত্যাগ করায় নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদকে পেয়েছে ক্রিকেট বোর্ড। ২৬শে অক্টোবর নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দেশের রাজনীতির পট পরিবর্তন হয়। দেশের প্রায় সব বিভাগেই পরিবর্তন হচ্ছেন কর্মকর্তারা। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন আসছে ক্রীড়াঙ্গনেও। দেশের অধিকাংশ ক্রীড়া ফেডারেশন ও এসোসিয়েশনেই ছিলেন সরকার মনোনীত সভাপতি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পরেই দাবা, কাবাডি ও ব্রিজ ফেডারেশনের সভাপতিদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ৪২টি ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতিদেরও এবার অব্যাহতি দেয়া হলো। এরা হলেন- শুটিংয়ের লে. জেনারেল (অব.) আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, ব্যাডমিন্টনের ড. আবদুল মালেক, হ্যান্ডবলের একেএম নুরুল ফজল বুলবুল, জুডোর ফয়জুর রহমান বাদল, কারাতের ড. মোজাম্মেল হক খান, তায়কোয়ান্দো কাজী মোর্শেদ হোসেন, টেবিল টেনিসের মেজবাহ উদ্দিন, জিমন্যাস্টিকস শেখ বশির আহমেদ মামুন, বাস্কেটবলের ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আরচারির লে. জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা বেগম মাহাবুব আরা গিনি, বক্সিংয়ের মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক, বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের আবদুল করিম, বাশাআপের শেখ মো. মারুফ হাসান, রাগবির শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, ফেন্সিংয়ের এম শোয়েব চৌধুরী, বেসবল সফট বলের আলহাজ মো. সোলায়মান, প্যারালিম্পিক কমিটির ভেলরী এ টেলর, সার্ফিংয়ের কাজী ফিরোজ রশীদ, মাউন্টেরিয়ারিংয়ের মিজানুর রহমান মানু, চুক বলের আ জ ম নাছির উদ্দিন, সেপাক টাকরোর সাইদুর রহমান, জুজুৎসুর গোলাম ফারুক খন্দকার, প্যারা আরচারির কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল, ভারোত্তোলনের মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান, উশুর ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ক্যারমের জুনাইদ আহমেদ পলক, সাইক্লিংয়ের কবির বিন আনোয়ার, টেনিসের খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কুস্তির শাজাহান খান, রোলার স্কেটিংয়ের আবুল কালাম আজাদ, কান্ট্র্রি গেমসের ড. সাইখ সিরাজ, থ্রো বলের জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, ভলিবলের আতিকুল ইসলাম, স্কোয়াশ র্যাকেটসের মো. ফারুক খান, রোয়িংয়ের এডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার, আন্তর্জাতিক তায়কোয়ান্দোর বিএম মোজাম্মেল হক, ঘুড়ির ড. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, অ্যাথলেটিকসের তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, খিউকুশিন কারাতের ডা. দীপু মনি, খোখোর শাহ কামাল, মার্শাল আর্ট কনফেডারেশনের হাসানুল হক ইনু। দাবার বেনজির আহমেদ, কাবাডির চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও ব্রিজের জাহাঙ্গীর আলমকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
বেশী ভাল ভাল না।সাড়ে ১৫ বছরে ক্রীড়াঙ্গনও ধ্বংস করে দিয়েছে সরকারি দলের নেতা,আমলা,সংগঠকরা। এতো বিলম্ব কেন,জোর করে, আন্দোলন করে কেন এদের সরাতে হবে? এই নির্লজ্জ বেহায়ারা তো লজ্জা থাকলে সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গেই পদত্যাগ করে চলে যেতো।আর ক্রীড়া ফেডারশনের নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে রয়েছে সব চেয়ে বড় দূর্নীতিবাজ বিদেচ ভ্রমণকারীরা।যাদের কোন প্রয়োজন না থাকলেও বছরের পর বছর কোন কোন আকামের ক্রীড়া ফেডারেশনের সঙ্গে জড়িত থেকে পাসপোর্টের পাতা শেষ করে ফেলেছেন বিদেশ সফর করতে করতে।এদেরও অপসারণ করা দরকার।
সাবাশ ! বাঘের বাচ্চা। আগে সব পদত্যাগ করায়ে নিয়ে তারপর দেখা যাবে যে দুর্নীতি করেছে কি করে নাই। না করলে ফেরত (পদে)। দুর্নীতি করলে গারদ। পুতুর পুতুর করলে সরকার চলবে না। থাম্বস আপ ফর আসিফ। যাদের যা অভিযোগ আছে প্রয়োজনে সরাসরি গণশুনানি।