বাংলারজমিন
ভারতে পালানোর সময় যুবলীগ নেতা আটক
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
৩ নভেম্বর ২০২৪, রবিবারসিলেট তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর পথে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক যুবলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতকাল দুপুরে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ ছাত্র আন্দোলনে হবিগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত রিপন শীল হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে। সেখান থেকে তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃত নোমান হোসেন জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়নের হাজী সেলিম উদ্দিনের ছেলে। তাকে গত শুক্রবার সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় সন্দেহজনক ভাবে আটক করে বিজিবি। পরে পুলিশ বিজিবিকে জানায় তার বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় একটি মালা রয়েছে। সেদিন রাতেই তাকে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে সদর থানা তাকে আন্দোলনে নিহত রিপন শীল হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায়।
গত ৪ঠা আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের প্রথম দিন দুপুর ১২টায় হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের সামনের রাস্তায় হাজারো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেন। তারা টাউন হলের দিকে এলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়দের দাবি, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে রীপন শীল গুরুতর আহত হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রিপন শীলের মা রুবি রানী শীল এ ঘটনায় গত ১৫ই আগস্ট সদর মডেল থানায় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন এমপি আবু জাহিরসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হবিগঞ্জ শহরে গুলিতে নিহত রিপন শীল হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে নোমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর প্রয়োজন পড়লে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে।
দেহ ছে কারবারডা! বেডায় যাইবো বইনের হয়ুর বাড়ি, গিয়া উঠছে নিজের হয়ুর বাড়ি!!!