বাংলারজমিন
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে ৫ দিনে ৪ জনের পা বিচ্ছিন্ন, থামছে না চোরাচালান
নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারবান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তসংলগ্ন মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ইউনুছ নামে এক রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণে তার ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটি গত ২৬শে জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীমান্ত পিলার মিয়ানমারের ‘লাল কাইন্দা’ এলাকায়। আহত যুবকের নাম ইউনুছ (২৫) কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এজাহার হোসেনের ছেলে। স্থানীয় সূত্র জানায়, আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরিত হলে ইউনুছ গুরুতর আহত হন। পরে সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা থেকে তার চিৎকার শুনে দু’জন বাংলাদেশি যুবক তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ জাফর ইকবাল জানান, মাইন বিস্ফোরণে একজন রোহিঙ্গা যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় সূত্র জানায়, গত পাঁচদিনে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে চারজনের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে। জানা যায়, বিস্ফোরণে পা বিচ্ছিন্ন হওয়াদের মধ্যে গত ২২শে জুন নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে আরাফাতুল ইসলাম (২৫)। ২৩শে জুন রাখাইন রাজ্যের মিডাক গ্রামের তংচংগ্যা, যিনি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। বিস্ফোরণে তার বাম পা উড়ে যায়। ২৫শে জুন রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সাবের মিয়ার ছেলে ওমর মিয়া (২৫), এ ছাড়া ২৬শে জুন রোহিঙ্গা যুবক ইউনুছ মাইন বিস্ফোরণে পা হারান। তবে এত মাইন বিস্ফোরণ ও আহতের ঘটনা সত্ত্বেও সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ হয়নি। স্থানীয়দের মতে, আরাকান আর্মি নির্ধারিত রুট এড়িয়ে বিকল্প রুটে যাতায়াত করতে গিয়ে মাইনের কবলে পড়ছেন চোরাকারবারিরা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত পাঁচদিনে চারজনের পা বিচ্ছিন্ন হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করলে এবং বিজিবি কঠোর অবস্থান নিলে এই ধরনের দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব।