বাংলারজমিন
‘ফ্যাসিস্ট আমলে পুলিশ বাদী হয়ে ৬০ লাখ মিথ্যা মামলা করেছিল’
স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে পুলিশ বাদী হয়ে ৬০ লাখ ভুয়া ও মিথ্যা মামলা করেছে। সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে ক্রসফায়ার করেছে। ৭শ’ মানুষকে গুম করেছে। আইনের শাসনকে নস্যাৎ করেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী এনে বাংলাদেশের সংসদীয় গণতন্ত্র ও নির্বাচনব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে স্থায়ী রূপ দেয়ার স্বপ্ন বুনে তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল। গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে একটি স্বচ্ছ কাঠামোর রূপ দেয়া হয়েছিল। সে স্বপ্নকে বাংলাদেশের জুডিশিয়ারিকে ইন্টেলেকচুয়্যাল করাপশনের মাধ্যমে তা হত্যা করা হয়েছে। সে হত্যাকাণ্ডের মহা ভিলেন ছিলেন বাংলাদেশের জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার চিফ জাস্টিজ বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের দিনের ভোট রাতে করা হয়েছে। মানুষের ভোধিকার হরণ করা হয়েছে। মানুষের প্রতি অবিচারের বীজ বপন করা হয়েছে। খুনের রাজনীতি চালু হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম আমরা টেলিভিশনের মাধ্যমে সেই বিচার প্রক্রিয়া দেখাচ্ছি। দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য উন্মুক্ত করেছি। আমরা মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার অবশ্যই করবো। সেই বিচার প্রক্রিয়ায় যদি কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় যদি কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে। আমরা তাদেরও আইনের আওতায় এনে জনসম্মুখে ন্যায়বিচারের চেষ্টা করবো। এটা আমাদের প্রত্যয় ও অঙ্গীকার।
গতকাল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির ২নং বার ভবনের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। স্পেশাল পিপি এডভোকেট বকশী জুবায়ের আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজারের জেলা ও দায়েরা জজ মো. খাদেম উল কায়েস, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, মৌলভীবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জজ এনায়েত কবির সরকার, জেলা পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ, জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, পিপি এডভোকেট ড. আব্দুল মতিন চৌধুরী, জিপি এডভোকেট মামুনুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন প্রবীণ আইনজীবী শান্তিপদ ঘোষ, এডভোকেট সুনীল কুমার দাস, এডভোকেট নিয়ামুল হক, এডভোকেট আব্দুল ওয়াহিদ প্রমুখ।