অনলাইন
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের রেল-সড়ক অবরোধ, ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ
স্টাফ রিপোর্টার
(৬ মাস আগে) ২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

ছবি: জীবন আহম্মেদ
রাজধানীর সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে তারা মহাখালী ও খিলগাঁওয়ে রেলপথ অবরোধ করলে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
মানবজমিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মহাখালী রেল ক্রসিং ও খিলগাঁওয়ে রেললাইনের উপর যততত্র রিকশা ফেলে অবরোধ করে রেখেছে চালকেরা। আপাতত ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলেছি।’
এছাড়া মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।
সকাল ১০টার দিকে ট্রাফিক গুলশান ডিভিশনের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে জনস্বাস্থ্যের সামনে, আমতলীতে, মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সব রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করছেন। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকার সড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচল তিন দিনের মধ্যে বন্ধ বা বিধিনিষেধ আরোপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
ঢাকার জেলা প্রশাসক, দুই সিটি করপোরেশনের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের রুলসহ এই নির্দেশ দেয়া হয়। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা।
পাঠকের মতামত
এটা ঢাকা শহর থেকে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করার চেষ্টার মত ঘটনা হয়ে গেল।
এভাবে জন গণকে ভোগান্তি করার জন্য ব্যাটারী চালিত অটোরিকশাও বয়কট করাউচিত
ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা গুলো কে চালানোর জন্য একটা নিদিষ্ট এলাকা ভাগ করে দিতে হবে যাহাতে তারা কোনো ভাবেই মেইন রোডে উঠতে না পারে তাছাড়া এই যান গুলো যদি চালাতে দেওয়া না হয় তাহলে এইগুলো কেন আমদানি করা হলো ? কারণ এখন অনেক কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা নিজেদের খরচ মেইনটেইন করার জন্য অটো রিক্সা চালায় সুতরাং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট অনুরোধ রহিলো একটা সুন্দর সমাধান খুঁজে বাহির করার জন্য। যেহেতু দেশে চাকরির অভাব।
আমদানির অনুমতি দিবেন আবার রাস্তায় চলাচলের অনুমতি দিবেন না, এটা স্ববিরোধী। আমদানি বন্ধ করলেই তো সমাধান হয়।
রাজধানী ঢাকার প্রধান বাহন রিক্সা! অকল্পনীয়। এটা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারিগরি ত্রুটিহীন এই যান দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। এরা রাস্তায় কোনো ট্রাফিক আইন জানে না, মানে না। হঠাৎ করে ডান-বামে ঘুরিয়ে দেয়।
এই সব অরাজকতা আর মেনে নেয়া যায় না । কঠোর হস্তে দমন করা হউক ।
প্রাইভেট কার একজন মালিকের 10 থেকে 12টি তাহলে এগুলো কমাবে কে?
অটো অবৈধ তাই এদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া সরকারের অবশ্য কর্তব্য
এই ভাবে বন্ধ করা যাবেনা!!! খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানি বন্ধ করে দিতে হবে, রিক্সার নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইসেন্স সিটি করপোরেশন এর হাতে দিয়ে অবৈধ লেনদেন বন্ধ করতে হবে, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ অটো রিক্সা নিয়ম শৃঙ্খলের মধ্যে আনা যেতে পারে
অন্যায় আবদারের সঙ্গে কোনো আপস নয় ! রাজধানীর ব্যস্ত সড়কে এমন বিপজ্জনক যানবাহন চলতে পারে না!
ঢাকা শহরে সব মিছিল সমাবেশে বন্ধ করা হোক
সারা দেশে একসাথে ব্যাটারী চালিত রিক্সা বন্ধ না করে একদিন উত্তরা 15 দিনপর পুরান ঢাকা 15 দিনপর ধানমন্ডি , এভাবে বন্ধ করা উচিত । তার আগে ব্যাটারীর ভ্যাট বাড়িয়ে দেয়া উচিত ছিল । আন্দোলনের শক্তি কমিয়ে দেয়া উচিত ছিল । উদ্দেশ্যমুলক প্রজ্ঞাপন ।
শুধু নিয়ম করে দিলে হবে না নিয়ম ভঙ্গ করলে শাস্তিরও ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন আপস ও হবে না এগুলো বন্ধ করতে হলে কঠোরও হতে হবে। যার জন্য যা প্রয়োজন সব করা লাগবে। কোন সহানুভূতির প্রয়োজন নেই।
প্রতিটি অটোরিকশা থেকে বিদ্যুত বিভাগ, পুলিশ ও চাদাবাজের আয় মাসে এক হাজার টাকা । তাই পেছনে আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীরা কলকাঠী নাড়ছে । কঠিন হাতে দমন করা হোক । প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করা হোক । এতে পরিবেশ ও বিদ্যুত চুরি বন্ধ হবে ।
আমি একটা জিনিস বুঝি না এই সরকারের লোকজনের কি কোন বুদ্ধি নাই? প্রতিটা দিন এরা সুযোগ তৈরি কেন করে দিচ্ছে তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্যে? ট্যাকনিকাল হইলেই তো পারে। এসব ব্যাটারি উৎপাদন ব্যান্ড করে দিলেই ত হতো। আমরা সবাই জানি ব্যাটারি রিক্সা কতোটা রিস্কি রাস্তা ঘাটে। কিন্তু এভাবে বন্ধ করে উলটা জনগণের ভোগান্তি হচ্ছে এখন রস্তা বন্ধের কারণে।
এই অবরোধ শেষ হবে কবে।
এখানে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের অন্তরালে আওমী-র গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। সেনা বাহিনীকে সহযোগিতা করার জন্যে ছাত্র-জনতাকে এখনি এগিয়ে যেতে হবে পরিস্থিতি খারাব হওয়ার আগেই…
নানক এবং যুবলীগের নেতারা এই অটো রিকশার জনক এবং এই ব্যবসার ধারক ও বাহক। বিএনপির অবস্থান পরিষ্কার করা উচিত অটো রিকশা বন্ধের ব্যাপারে।
অটো রিকসা বন্দ করাই কি সমাধান? এই সময়ে এসে পায়ে চালানো রিক্সা অমানবিক। এদের একটা নিয়মের মধ্যে আনা দরকার। মেইন রোডে উঠতে পারবে না, পা চলোনো রিক্সায় যেন ব্যাটারি সেটাপ না করে । এছাড়াও পজেটিভ চিন্তা করেতে হবে। বন্দই একমাত্র সমাধান হতে পারে না।
প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। নরম কথায় কাজ হবে না। যারা নিজেদের ইচ্ছামতো সবকিছু করতে চাইবে, এদেশের জন্য তাদের কোন প্রয়োজন নাই।
বেটারিচালিত রিক্সা বন্ধের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত গাড়ি কমিয়ে আনতে হবে।
ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি। এটা পুরোপুরি বন্ধ করা উচিত।
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চলাচলে হাইকোর্টের বিধিনিষেধ যথাযথ। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি তা চলাচল বন্ধ করতে হলে অনতিবিলম্বে এই শিল্পে ব্যবহৃত মোটর, ব্যাটারী আমদানী নিষিদ্ধ ও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার রিচার্জ সম্পূর্ণ বেআইনী ঘোষণা করতে হবে।।
অটোরিকশা, ফুটপাত, মাদক ইত্যাদিতে অনেক অনেক অবৈধ টাকার খেলা-ধুলা হয়, মাঠের নিরিহ মানুষের পেছনে অনেক রাঘব-বোয়াল ও থানা জড়িত থাকে !! শুধু মাত্র এক আদেশে এগুলো সহজে বন্ধ করা যাবে না!! এগুলো বন্ধ করতে হলে বৃহৎ এবং সম্মানিত প্ল্যান লাগবে!!
সবার মাঝে এত অস্থিরতা কেন? আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মা কি এখনও সবার মাঝে ভর করে আছে?