ঢাকা, ৯ মে ২০২৫, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৬ হিঃ

অনলাইন

সহযোগীদের খবর

ট্রাম্পকার্ড তরুণ ভোটার

অনলাইন ডেস্ক

(১ মাস আগে) ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ৫:২৯ অপরাহ্ন

mzamin

যুগান্তর

‘ট্রাম্পকার্ড তরুণ ভোটার’-এটি দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল বা জোটের জয়-পরাজয় নির্ধারণ তরুণ ভোটাররাই হবে ট্রাম্পকার্ড। দেশে তরুণ ভোটার তিন কোটি চার লাখ সাত হাজার। তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৯ বছর। মোট ১২ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ভোটারের মধ্যে ২৪ দশমিক ৪২ শতাংশই তরুণ। এদের বড় অংশই শিক্ষার্থী। এদের অধিকাংশই ফ্যাসিস্টদের বাধায় আগে ভোট দিতে পারেনি। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এদের বড় অংশ প্রথমবারের মতো চাপমুক্তভাবে ভোট দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এরা শুধু ভোটের ফল নয়, দলগুলোর প্রার্থী মনোনয়নের ধারা পালটে দিতেও ভূমিকা রাখতে পারে। এসব বিষয় মাথায় রেখে নির্বাচনে জয়ের জন্য তরুণদের ভোট টানতে নানা ছক কষছে বিএনপি, জামায়াতসহ অন্য দলগুলো। একই সঙ্গে পালন করছে নানা কর্মসূচি, নির্ধারণ করছে কৌশল। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

নির্বাচন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা জানান, অতীতে যেসব নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছিল, সেগুলোতে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে জয়-পরাজয় নির্ধারিত হয়। এবার নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দল বা জোট তরুণদের ভোট বেশি টানতে পারবে, নির্বাচনে তারাই ভালো ফল পাবে। তারা আরও জানান, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে এবার নতুন এক পরিবেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেসব নাগরিক ভোট দিতে পারেননি, এ নিয়ে তাদের ক্ষোভ আছে। তাদের সবাই এবার ভোটকেন্দ্রে যাবেন।

তারা পছন্দের প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন। এতে নির্বাচনে একদিকে ভোট পড়ার হার বাড়বে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কমিশন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। তেমনি রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে জয় পেতে অগ্নিপরীক্ষায় পড়তে হবে। দলগুলোকে প্রার্থী বাছাই থেকে শুরু করে মনোনয়ন দেওয়া পর্যন্ত তরুণদের পছন্দ আগ্রহ-অনাগ্রহের বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। এতে নতুন এবং তুলনামূলক কম বয়সি প্রার্থীর সংখ্যা বাড়তে পারে।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল তরুণদের ৫ শতাংশ ভোট পেলে সে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের চেয়ে ১০ শতাংশ এগিয়ে যাবে, এটাই ভোটের সরল হিসাব। আর তিন কোটি তরুণ তো বিরাট সংখ্যা। যদিও তাদের মধ্যে রাজনৈতিক কিছুটা বিভাজন রয়েছে, তবুও তরুণ ভোটাররা আগামী নির্বাচনে ফলাফল নির্ধারণে বিরাট ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, তরুণরা শুধু নির্বাচন নয়, রাজনীতিতেই ফ্যাক্টর হিসাবে আভির্ভূত হয়েছেন। ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে প্রকাশ্য নেতৃত্বে ছিলেন তরুণরা। বুলেটের সামনে আবু সাঈদসহ যারা বুক পেতে দিয়েছেন তাদের প্রায় সবাই বয়সে তরুণ। তারা একটি ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। তারা সম্মুখযোদ্ধা। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতি ও নির্বাচনে তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব বেড়েছে। ৫ আগস্টের পর সরকার ও দেশের রাজনীতি সংস্কারের দাবি উঠেছে। সেই দাবির সঙ্গে শুধু তরুণরা নয়, অনেক মধ্যবয়স্ক ও বয়স্কদেরও সমর্থন রয়েছে। প্রথাগত রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জনআকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয়েছে।

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম এগিয়ে নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত সোমবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন হবে। দেশে নির্বাচনি আবহ বিরাজ করছে। নির্বাচনে অংশ নিতে গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলও গঠন করেছে। আরও কিছু নতুন দল গঠন হতে যাচ্ছে। পাশাপাশি নির্বাচনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ করছে অন্তর্বর্তী সরকার।

নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মতে, এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। অতীতে দেশে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হছে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে। এসব নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে কমবেশি ১০ শতাংশ ভোটে জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয়েছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশির ভাগ দল অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ নিলেও রাতের ভোট হিসাবে খ্যাতি পাওয়া ওই নির্বাচন গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। কাজেই এসব নির্বাচনে জয় বা পরাজয়ের ভোটের হিসাব কোনো কাজে আসবে না।

প্রথম আলো

দৈনিক প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম ‘দুবাই থেকে অবৈধভাবে এসেছে ৩২ হাজার কোটি টাকার সোনা’। খবরে বলা হয়, সংযুক্ত আরব-আমিরাত (দেশটির প্রসিদ্ধ শহর দুবাই) প্রতিবছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ সোনার বার রপ্তানি করে। দেশটি থেকে সোনার বার রপ্তানির শীর্ষ ১০ গন্তব্যের একটি বাংলাদেশ। অবশ্য বাংলাদেশের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, আবর আমিরাত থেকে বাংলাদেশে সোনা আমদানি হয় খুব সামান্য।

দুই দেশের সোনা-বাণিজ্যের হিসাবে এই গরমিলের কারণ, বেশির ভাগ সোনার বার আসে ‘অবৈধভাবে’। অবৈধ সোনা-বাণিজ্যের কারণে বাংলাদেশ রাজস্ব হারায়। অন্যদিকে অপরাধ ও চোরাচালানে ব্যবহার করা হয় অবৈধভাবে আসা সোনা।

জাতিসংঘের পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইএসসিডব্লিউএ) তথ্যভান্ডারে থাকা হিসাব অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৬৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলারের সোনা রপ্তানি করেছে বাংলাদেশে। তাদের এই তথ্যের সূত্র জাতিসংঘের পণ্য বাণিজ্যের তথ্যভান্ডার ইউএন কম ট্রেড ও আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, এই ১০ বছরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বৈধ পথে মাত্র ৮২ লাখ ডলার মূল্যের সোনা আমদানি হয়েছে। অর্থাৎ ৩৬৫ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সোনা বৈধভাবে দেশে ঢোকেনি।

কালের কণ্ঠ

‘হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক’-এটি দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর শিথিলতায় দেশে আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করছে মাদকের ব্যবহার। গত কয়েক মাসে মাদকসেবীর সংখ্যা অন্তত ২০ লাখ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন। হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক। সেই সঙ্গে মাদক ব্যবসায় দেশ থেকে অর্থপাচারও বাড়ছে।

২০২৩ সালের জুনে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আংকটাড (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, প্রতিবছর শুধু মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বর্তমানে পাঁচ হাজার ৮৪১ কোটি টাকারও বেশি) পাচার হয়ে যায়। অবৈধ মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থপাচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম এবং এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদক সেবন এখন প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। কোনো রাখঢাক নেই।

কিন্তু এর নিয়ন্ত্রণে কার্যত সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢিলেঢালা অবস্থা আর পুলিশের শিথিলতার কারণে সারা দেশে প্রায় অবাধে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের মাদক।

সমকাল

দৈনিক সমকালের প্রধান শিরোনাম ওয়ার্ডে প্রশাসক নিয়োগে তৎপরতা বিএনপির ‘না’। প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে সরকারের মাধ্যমে 'প্রশাসক' নিয়োগে তৎপরতা চালাচ্ছে নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রশাসকদের তালিকাও তৈরি করছে তারা।

তবে বিএনপিসহ অধিকাংশ দল প্রশাসক নিয়োগের বিরোধী। তাদের ভাষ্য, এনসিপিকে সুবিধা দিতেই এ আয়োজন; এটি মানা হবে না। 
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ সংশোধন করে অন্তর্বর্তী সরকার একটি কমিটি গঠনের বিধান যুক্ত করেছে। কমিটির সদস্যরা কাউন্সিলরের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন সহায়তা ও নাগরিক সেবা এনসিপি নেতাদের মাধ্যমে করতে এই তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। এ লক্ষ্যে সাক্ষাৎকার নিয়ে সম্ভাব্য প্রশাসকের তালিকা করার গুঞ্জনও রয়েছে। তবে গুঞ্জন ও অভিযোগ নাকচ করেছে এনসিপি।

দলটির সংশ্লিষ্ট নেতাদের বক্তব্য, সিটি নির্বাচনে স্থানীয় কারা সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন, ছায়া সরকারে কারা থাকবেন- সে তালিকা হয়েছে। বিএনপি সংসদের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ঘোর বিরোধী হলেও দলটির স্থানীয় পর্যায়ের কতিপয় নেতা তালিকায় নাম দিয়েছেন। আগে স্থানীয় নির্বাচন চাওয়া জামায়াতে ইসলামীর কয়েক নেতার নামও রয়েছে। এবি পার্টিসহ আরও

ইত্তেফাক

‘জুলাই-আগস্ট আন্দোলন: ১১০০ মামলা, চার্জশিট একটিতে’-এটি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, জুলাই-আগষ্ট আন্দোলন পরবর্তী সারা দেশে প্রায় ১ হাজার ১০০ মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলায় হত্যা, হত্যাচেষ্টা, হামলা ভাঙচুর, মারধর, অগ্নিসংযোগ, ভয়ভীতি প্রদর্শন, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দখলবাজির অভিযোগ করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর থেকে দায়ের করা এসব মামলায় লক্ষাধিক আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরো ২ লাখ। মামলা দায়েরের সাত মাস পর্যন্ত সারা দেশে আনুমানিক ১০ হাজার আসামি গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৫০০ আসামি বিভিন্ন মেয়াদে পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। রিমান্ড শেষে মাত্র একটি মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা একটি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পর গত ৯ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় জাতীয়তাবাদী ঘাট শ্রমিক দল ইউনিয়নের (রেজি নং-৩৮০৮) সভাপতি মনির হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মারধর, চাঁদাবাজি ও ভাঙচুরের অভিযোগে একটি মামলা করেন। কোতোয়ালি থানার সাব-ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন জুয়েল মামলাটি তদন্ত করেন। ছয় মাস ধরে তদন্ত শেষে গত ১৩ মার্চ তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

গতকাল এ ব্যাপারে চার্জশিট দাখিলকারী তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মহিউদ্দিন জুয়েল বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২৯ জনের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সেই অনুযায়ী আমি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি।

মামলার বাদী মনির হোসেন বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলন চলাকালে ৩ আগস্ট সদরঘাট এলাকার ওয়াইজঘাটে ৩০-৩৫ জন নেতাকর্মীসহ মিছিল বের করার সময়  ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি জাবেল হোসেন পাপন তার কপালের দিকে পিস্তল তাক করে মিছিল বন্ধ করতে বলে। ঐ সময় যুবলীগের আরো অনেক নেতাকর্মী আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এলাকায় থাকতে হলে তাদেরকে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।

নয়া দিগন্ত

দৈনিক নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রস্তুতি নিতে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ’। খবরে বলা হয়, দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধান উপদেষ্টা এ নির্দেশ দেন। এর আগে গত সোমবার এসপি ও তদূর্ধ্ব পুলিশ ১২৭ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই সভায় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সুবিধা ও অসুবিধার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। এসব সমস্যা সমাধানে কী করা যেতে পারে, তা নিয়ে গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সাথে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান উপদেষ্টা আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণসহ তৃণমূলপর্যায়ে যেসব পুলিশ কাজ করেন তাদের কল্যাণে কয়েকটি বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন।

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা হলো- ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সিলিং তুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেয়া হবে। পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের যেগুলোর কাজ ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হয়ে আছে সেগুলোতে অর্থ ছাড় করা হবে।

এ ছাড়া ভাড়া করা ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা। পুলিশের এসআই ও এএসআই র‌্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।

বণিক বার্তা

‘পারফিউম ব্যবসার আড়ালে দেশের সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে এনবিআর’-এটি দৈনিক বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, দেশে পারফিউম ব্যবসার আড়ালে সবচেয়ে বড় হুন্ডি তৎপরতার প্রমাণ পেয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অনুসন্ধান চালিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য পেয়েছে। হুন্ডি কারবারে অভিযুক্ত কোম্পানিটির নাম আল হারামাইন পারফিউমস। কোম্পানির মালিক সিলেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মাহতাবুর রহমান নাসির। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এ ব্যবসায়ী এখন গোল্ডেন ভিসার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) বসবাস করছেন।

এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের তথ্য অনুযায়ী, মাহতাবুর রহমান নাসিরের ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের ৮৬টি দেশে বিস্তৃত। বাংলাদেশ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে আল হারামাইন পারফিউমসের শোরুম রয়েছে। অন্যান্য দেশে তার দৃশ্যমান ব্যবসা মূলত আমদানি-রফতানির। যদিও অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মাহতাবুর রহমান নাসিরের পুরো ব্যবসায়িক নেটওয়ার্কই হুন্ডি তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ত। পারফিউম বা আমদানি-রফতানি ব্যবসার আড়ালে তার প্রধান ব্যবসা মূলত এক দেশের অর্থ অন্য দেশে পাচার করা।

এ ব্যবসায়ীর সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য অনুসন্ধানে সম্প্রতি সিআইসির একটি দল ইউএই যায়। দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদ ও অর্থ পাচারের তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পাশাপাশি অন্য যেসব দেশে তার সম্পদ রয়েছে, সেগুলোর তথ্য চেয়েও সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দেশে থাকা মাহতাবুর রহমানের সম্পদের বিষয়েও অনুসন্ধান চালিয়েছে সিআইসি। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সিলেটে মাহতাবুর রহমানের বাড়িতে দুই দফায় তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়ি থেকে ১০৪টি সম্পত্তির দলিলসহ অন্যান্য নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে বলে সিআইসি সূত্রে জানা গেছে।

আজকের পত্রিকা

দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ঢাকা থেকে বের হতেই পথে ভোগান্তির ভয়’। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদ্যাপনের স্বপ্ন নিয়ে রাজধানীবাসী যে আনন্দে ভাসে , তা উবে যায় ঘরমুখী যাত্রার শুরুতেই। এবার ঈদে বাড়ির পানে ছোটা মানুষ ঢাকা থেকে বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে তীব্র যানজটের মুখে পড়তে পারে। সড়কসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সেই আভাসই দিচ্ছেন। মহাসড়কে ওঠার পরও স্বস্তির আশা করতে পারবেন না ঢাকা -উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-সিলেট পথের যাত্রীরা। কারণ ওই দুই মহাসড়কে এখনো চলছে উন্নয়নকাজ। 

উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা রাজধানী থেকে বের হতেই গাবতলী, আমিনবাজার,বাইপাইল এলাকায় যানজটে পড়তে পারেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচল করা গাড়িগুলো কাঁচপুর ব্রিজের পশ্চিম ঢালে, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাবো বাসস্ট্যান্ড, ডেমরা সেতু, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস এবং ভুলতা মোড় পর্যন্ত যানজটের কবলে পড়তে পারে। তবে জট কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। আশার কথা শুনিয়েছেন ঢাকা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম আজাদ রহমান।

তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা থেকে বের হওয়ার রাস্তা সব জায়গায়ই ভালো আছে। যেখানে মেরামত দরকার, সেখানে মেরামতের কাজ চলছে। সড়কের সাইন, সিগন্যাল, রোড মার্কিংয়ে নতুন রং করা হয়েছে, যাতে সেগুলো দৃশ্যমান হয়। বিভিন্ন পয়েন্টে যেখানে যানজট হতে পারে, সেগুলো মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) করা হবে। গাবতলী থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত আগে যেরকম জ্যাম হতো, এবার তেমনটা হবে না। বাইপাইল এলাকায় গাড়িগুলো যেন ঠিকভাবে যেতে পারে তার জন্য লেন করে দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রায়ও সমস্যা হওয়ার কথা না। যানজটের জন্য ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট একটা বড় ফ্যাক্টর। সড়ক রিলেটেড (সম্পর্কিত) সব ধরনের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ঠিক থাকলে কিছু হবে না। তবে ঈদের সময় গার্মেন্টসগুলো একসঙ্গে ছুটি হয়ে গেলে ক্যাপাসিটিগত কারণে যানজট হয়।’

দেশ রূপান্তর

‘সুযোগে ছদ্মবেশে সক্রিয় আরসা’-এটি দৈনিক দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম। খবরে বলা হয়, মিয়ানমারের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যরা বাংলাদেশে দিনে দিনে সক্রিয় হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ছদ্মবেশে তাদের অবস্থানের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার সুযোগ নিয়েছে আরসা সদস্যরা। সাধারণ রোহিঙ্গা সেজে তারা জড়াচ্ছে নানা অপরাধে।

শুধু কক্সবাজার অঞ্চলই নয়, সেখান থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরের ময়মনসিংহ বা নারায়ণগঞ্জের মতো এলাকায় বিভিন্ন পেশার পরিচয়ে আরসা সদস্যদের লুকিয়ে থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর দেশের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবিয়ে তুলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোকে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিদ্যমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আরসা সদস্যদের বড় ধরনের নাশকতার শঙ্কাও রয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সক্রিয় আছে আরসার একাধিক গ্রুপ। তারা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে মাদক কারবার, ছিনতাই ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশে আরসা সদস্যদের সক্রিয় থাকার বিষয়টি বারবার অস্বীকার করা হয়। তবে মিয়ানমারের এই সশস্ত্র সংগঠনটির তৎপরতা নিয়ে সম্প্রতি পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ওই গোপন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে সক্রিয় আরসা সদস্যদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। 

ডেইলি স্টার

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম ‘Bureaucracy falters without clear direction’ অর্থাৎ ‘সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়ছে আমলাতন্ত্র।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সাত মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সিভিল সার্ভিস জড়তার মধ্যে ডুবে আছে।

বর্তমান সরকারের অধীনে গতিশীল প্রশাসনের জন্য প্রত্যাশা বেশি থাকলেও আমলাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলো ভীষণভাবে স্থবির রয়েছে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েক মাস ধরে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়েছে, যা প্রশাসনকে অস্থির করে তুলেছে।

তারা বলছেন, যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো পরিচালনা করছেন, তাদের কোনো দায়িত্ববোধ বা উদ্যম নেই, কারণ তাদের কোনো প্রমোশনের সুযোগ নেই।

এর ফলে প্রশাসনিক নির্দেশনা দিয়ে যা কিছু পরিবর্তন সম্ভব ছিল তা স্থবির হয়ে পড়েছে।

অনেকে মনে করেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে নিয়মিত সংস্কারগুলো খুব সহজেই করা যেত, কিন্তু সেগুলোও থেমে আছে।

অনলাইন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

অনলাইন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status