অনলাইন
মনোনয়ন বাণিজ্য-অর্থ পাচারের অভিযোগ
জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ২০ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:০০ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪১ অপরাহ্ন

সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য মনোনয়নে ঘুষ গ্রহণ ও দলীয় পদ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং পাচারের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার কমিশন থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জি এম কাদের) বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য মনোনয়নে ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করা হয়।
এই অর্থ গ্রহণের মূল সুবিধাভোগী তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের উল্লেখ করে অভিযোগে আরও বলা হয়, চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ না করায় অধ্যাপক মাসুদা এম রশীদ চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং তার স্থলে জি এম কাদেরের স্ত্রী শরীফা কাদের সংসদ সদস্য হন।
দুদকে আসা অভিযোগে আরও বলা হয়, জি এম কাদের জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হন এবং দলীয় পদবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ সংগ্রহ করেন, যা পরে বিদেশে পাচার করা হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট হলেও বর্তমানে ৬০০ থেকে ৬৫০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পদবাণিজ্যের প্রমাণ।
২০২৪ সালে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে দাখিলকৃত হলফনামা অনুযায়ী জি এম কাদেরের নামে নগদ ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা, ব্যাংকে ৩৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং ৮৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জিপ গাড়ি রয়েছে।
আর তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের নামে নগদ ৫৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, ব্যাংকে ২৮ লাখ ৯ হাজার টাকা এবং ৮০ লাখ টাকা মূল্যের তারও একটি জিপ গাড়ি রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে লালমনিরহাট এবং ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে।
গোপন তথ্যের কথা উল্লেখ করে দুদকের জনসংযোগ দপ্তর জানায়, জি এম কাদের সিঙ্গাপুর, লন্ডন, সিডনিসহ বিভিন্ন দেশে নামে-বেনামে সম্পদ পাচার করেছেন। দুদকের গোপন অনুসন্ধানে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করা হয়।
এজন্য তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য অনুসন্ধানের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
জি এম কাদের ১৯৯৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
পাঠকের মতামত
এই গৃহপালিত পার্টি এবং বাম এরা কি হাসুদিকে স্বৈরশাসক করতে সহায়তা করে নাই? একে গ্রেফতার করে ভালো ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হউক যে ভারতে যাওয়ার পর ভরত থাকে কি বলেছিল? এসে বলেছিল, বলা যাবে না।
গতানুগতিক হয়রানিমূলক রাজনীতি, কোন পরিবর্তন নাই। এই রাজনীতি করলে প্রফেসর ইউনুস অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কি দিতে পারবে?
এই চামচা দালালের কারনে দেশে গণতন্ত্র ধংস হয়েছে। তাকে কঠিন শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এইটা একটা ভারতের দালাল , ওরে ডিম থেরাপি দেয়া হোক ,
এসব অভিযোগের তদন্ত হোক বা না হোক পরের কথা। কিন্তু তার আগেই ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে তার জায়গা কেন কারাগারে হয়নি সেটাই জনমনে প্রশ্ন।