বাংলারজমিন
থানচিতে অভিযানের পরও বন্ধ হয়নি অবৈধ ইটভাটা
থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবারঅনুমোদনহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকার দায়ে বান্দরবানের থানচিতে সাঙ্গু ব্রিকফিল্ড (এসবিএম) নামক অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসন দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হলেও বন্ধ হয়নি কার্যক্রম। চলছে ইটভাটার প্রস্তুতি সবধরনের কার্যক্রম। জানা যায়, অবৈধভাবে চালু করার সাঙ্গু ব্রিকফিল্ড (এসবিএম) ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রথম দফায় উপজেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ইট প্রস্তুত ও পরিবেশ ক্ষতি হওয়ায় ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১০ ও ২০১৩ ধারা মোতাবেক এসবিএম নামক ইটভাটাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত ৩ লাখ টাকা জরিমানা, ৫৫০ ঘনফুট কাঠ জব্দ, প্রায় ১০ লক্ষাধিক প্রস্তুত করা কাঁচা ইট ও ১ লক্ষাধিক পোড়া ইট পানি দিয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। তৃতীয় দফায় চলতি মাসের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ দেখতে পান বলে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশাসন জানান।
এই নিয়ে সরজমিন দেখা যায়, থানচি-আলীকদম রোড পূর্বে মংগক হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণে বৌদ্ধ বিহার, পশ্চিমে উষামং হেডম্যান পাড়া ও উত্তরে ফায়ার সার্ভিসের মাঝামাঝি এলাকায় সাঙ্গু ব্রিকফিল্ড (এসবিএম) নামের একটি ইটভাটার অবস্থান। সেখানে চলছে পাহাড়ে মাটি দিয়ে ইট তৈরি কাজ। জ্বালানি হিসেবে পোড়ানো হচ্ছে বনের কাঠ। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তেমনি কালো ধোঁয়ায় কার্বন-ড্রাই অক্সাইড ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, চলতি মাসে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ইটভাটা বন্ধ করে দিলেও পরের দিন আবারো ইটভাটার কার্যক্রম শুরু করে দেয়া হয়েছে। সেখানে কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি করা হচ্ছে। কাটা হচ্ছে পাহাড়। দফায় দফায় অভিযানের পরও ইটভাটার কার্যক্রম চলছে প্রতিদিনের মতোই।
সাঙ্গু ব্রিকফিল্ড (এসবিএম) ইটভাটায় দায়িত্বে থাকার মো. জব্বর বলেন, ইটভাটায় ইট বেশি নেই, যা দেখছেন এটুকুই আছে। ইটভাটার সকল ধরনের কার্যক্রম চলমান আছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আবদুল্লাহ-আল-ফয়সাল বলেন, অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ বিরুদ্ধে থানচি ইটভাটা মালিক আপিল করায় স্থানীয় প্রশাসন হস্তক্ষেপ করতে পারছে না। তাই হাইকোর্ট এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।