অনলাইন
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন
ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়’ ডুবছে তাদেরই অর্থনীতি! ঢাকাকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি
মানবজমিন ডিজিটাল
(৮ ঘন্টা আগে) ১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ২:০৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:২৮ অপরাহ্ন

ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়’ নিজেদের অর্থনৈতিক বিপর্যয়কেই ডেকে আনছে বাংলাদেশের বর্তমান নেতৃত্ব এবং তাতে বাংলাদেশের নাগরিকের দুরবস্থা বাড়ছে বই কমছে না বলে সে রাষ্ট্রের সরকারকে বার্তা দিল সাউথ ব্লক। শেখ হাসিনাকে সরানোর পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ ক্রমশ বছর পূর্তির দিকে এগোচ্ছে। তার আগেই এই বার্তা।
সূত্রের মতে, ঘরোয়া ভাবে ছ’টি বিষয়কে নির্দিষ্ট করে বাংলাদেশের প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ত্রুটিরেখা তুলে ধরতে চাইছে সাউথ ব্লক। এক, ভারতের সঙ্গে কৃত্রিম সংঘাতের বাতাবরণ তৈরি করে বন্দর বন্ধ করে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ আটকে রাখা। দুই, যারা নিজেরাই ইতিমধ্যে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে, সেই পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিকল্প অর্থনৈতিক সুযোগসুবিধা চাইছে ঢাকা। তিন, দেশের মানুষকে অর্থনৈতিক ভাবে হাঁফ ছাড়ার সুযোগ না করে, ক্রমাগত রাজনৈতিক লাভের সন্ধান করে যাওয়া। চার, একের পর এক বস্ত্র শিল্প কারখানা বন্ধ হওয়া। পাঁচ, মুদ্রাস্ফীতি, ছয়, বেকারত্বের বৃদ্ধি।
গতকালই ঢাকায় পাকিস্তানের বিদেশসচিব আম্মা বালোচের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীমউদ্দিন। ১৫ বছর পর দু’দেশের মধ্যে এই বৈঠকের দিকে ‘নজর রাখা হচ্ছে’ বলে জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। নয়াদিল্লির বক্তব্য, যে পাকিস্তান সরকার নিজেই দেশবাসীকে রুটি খাওয়াতে পারে না, ভারত-বিরোধিতা দেখাতে গিয়ে তার উপর অর্থনৈতিক ভাবে নির্ভর করা মুর্খামি ছাড়া কিছু নয়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, বিদেশসচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে করাচি এবং চট্টগ্রামের মধ্যে সরাসরি নৌপরিবহনের বিষয়ে কথা পাকা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিমান যোগাযোগ চালু করা হবে বলেও স্থির হয়েছে। এই সামগ্রিক পদক্ষেপ নয়াদিল্লির সঙ্গে আগামী দিনের সম্পর্ক তিক্ত করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারত এবং বাংলাদেশ বাণিজ্যনীতির প্রশ্নে 'শঠে শাঠ্যৎ' পন্থা নিয়ে চলছে কি না, এ বার সেই প্রশ্ন ক্রমশ বড় আকার নিতে চলেছে। কয়েক দিন আগেই তৃতীয় দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ‘ট্রান্সশিপমেন্ট’ সুবিধা দেওয়া বন্ধ করেছে ভারত। এরপর ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সামনে এনেছে বাংলাদেশ। সাউথ ব্লক সূত্রের বক্তব্য, সুতো আমদানি বন্ধের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাকা। কিন্তু তারও আগে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতাভুক্ত তিনটি স্থলবন্দর এবং একটি স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করেছে ইউনূস সরকার। এর ফলে ভারতের বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাধাপ্রাপ্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেই দাবি করছে নয়াদিল্লি। বক্তব্য, এতে বাণিজ্যের ক্ষতিই শুধু নয়, দীর্ঘমেয়াদে লোকসান হবে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও।
গত কয়েক মাসে ঢাকার সাভার, আশুলিয়া, ধামরাই ও গাজীপুর মিলিয়ে ৬৮টি শিল্পকারখানা বন্ধ হয়েছে বলে খবর। এ ছাড়া আগামী মে মাস থেকে ছ’টি কারখানা বন্ধের ঘোষণা করেছে কেয়া গ্রুপ। বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর অধিকাংশই তৈরি পোশাক ও বস্ত্রের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনাদায়ী ঋণ নিয়ে কড়াকড়ি আরোপ করায় অনেক কারখানা বন্ধ হয়েছে৷ আবার ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ অনেক কারখানার মালিক আত্মগোপনে থাকায় বেশ কিছু কারখানা রুগ্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া, কিছু কারখানা উৎপাদন-ব্যয় বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না৷ এ সব কারখানার শ্রমিকদের অনেকেই কারখানা খুলে দেওয়া ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আন্দোলনের কারণে প্রায়ই বন্ধ থাকছে সড়ক-মহাসড়ক। ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি কমেছে বলে খবর।
পাঠকের মতামত
যেহেতু ভারত সরকারের সমালোচনা করছে বুঝতে হবে সরকার সঠিক পথেই আছে।
ওরে বাবা ! বাংলাদেশের বন্ধু সাজতে সরকারের ভুল ধরিয়ে দেয়ার চেষ্টা অভ্যন্তরীন বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ। আর এটা BAL কে প্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত।
উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক ধর্মান্ধ দক্ষিণ এশিয়ার ইজরায়েল ভারত। তোমাদের আমাদের দেশ নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নাই নিজের দেশ নিয়ে ভাবো!
Nowadays India's reaction is out of proportion and erratic. If we talk to Pakistan they think we have already become like Pakistan, if we talk to China, they think we already fell in a debt trap. Bangladesh believes in friendship to all, malice to none.
ভারতীয় সাউথ ব্লক যে ব্যাখ্যা করে বুঝাতে চেয়েছে যে বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতকে তোষামোদি না দেশের ক্ষতি করছে এবং বর্তমান আর্থিক অবস্থা খারাপ হচ্ছে।আসলে এব্যাখ্যা কি সঠিক। আমরা যদি সাধারণ ভাবে দেখি তবে দেখা যাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সকল ইনন্ডিকটরে বিগত জুলাই /২৪ তূলনায় অনেক ভাল অবস্থায় আছে।মুদ্রা স্ফীতি কমতেছে, রির্জাভ সন্তোষজনক, মুদ্রা বিনিময় হার স্থিতি অবস্হায় আছে, রফতানি সন্তোষজনক। অতএব ভারতীয় এ ব্যাখ্যা কোন গাঁজাখোর ও বিশ্বাস করবেনা এবং কল্পোনা প্রসুত বলিয়া সবাই বুঝতে পারে।বরং বর্তমান বিদেশ নীতির করনে ভারতের স্বার্থে আঘাত লাগছে এটা পরিস্কার এবং দাদাবাবুরা টেনশনে পড়েছে এতে কোন সন্দেহ নাই।
যখনই দেখবেন ইন্ডিয়া নেগেটিভ কথা বলছে তখনই বুঝতে হবে বাংলাদেশ ঠিক জায়গাতেই আছে। আর বর্তমান ইউনুস সরকার সঠিক কাজটাই করছেন। একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমার তো সবকিছু ভালই লাগছে। ইন্ডিয়ার কাছে থেকে উপদেশ চেয়েছে। গায়ে মানে না আপনে মোড়ল
আহারে আমাদের জন্য কত চিন্তা
আহারে বেচারা সাউথ ব্লক। কি মায়া বাংলাদেশের জন্য? নিজের চরকায় তেল দাও। বাংলাদেশ নিয়া চিন্তা করার দরকার নাই। বাংলাদেশের জন্য এক ডঃ ইউনূস এই যথেষ্ট। Younus inn. Modi out from global leadership. ধন্যবাদ।
ভারত যখন বাংলাদেশের পদক্ষেপকে ভুল বলছে, তাহলে বাংলাদেশ ঠিক পথেই আছে। পেছনে ফেরার কোনো কারন নেই। এখন শুধু অগ্রযাত্রা ইন শা আল্লাহ।
যে দেশের মানুষ এখনোও রেল লাইনে বাথরুম সারে তারা আমাদের ব্যাপারে মাথা ঘামায়!
100% Right
নাক না গোলালে খুশি বেশী।
এর মানে আমাদের অর্থনীতি ঠিক রাস্তায় আছে,
ভারতের কি সমস্যা!!! আমরা কি করবো না করবো, তাদের মাথা নষ্ট কিসের??? তাদের দেশের মুসলমানদের মৌলিক অধিকার নেই কেন???
দেশ সঠিক সময়ে সঠিক পথেই এগোতে চাইছে
একটা কথা মাথায় আসেনা, আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত স্বাধীনভাবে নিব তাতে লাভ হবে কি ক্ষতি হবে তাতে সাউথ ব্লকের বাপের কি ? কিম্বা মোদীর বাপেরই বা কি ?? আমরা কাওন দেশের সাথে সম্পর্ক করবো আর কাকে ত্যাগ করবো সেটাকি ভারত বলে দিবে ??? ইন্ডিয়া তুমি নিজের চরকায় তেল দাও। বাংলাদেশ আর তোমার দাস নয়। বাংলাদেশ আর কোনদিন তোমাদের দাস হবেনা। মাইন্ড ইট.................................
বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের অহেতুক চিন্তা না করাই ভালো, বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য বাংলাদেশেই অনেক যোগ্য ব্যক্তি আছেন।
এর মানে আমাদের অর্থনীতি ঠিক রাস্তায় আছে, যেহেতু আনন্দবাজার লিখেছে
ফালতু বিশ্লেষণ।
নিজের চরকায় তেল মারো। তোমাদের তখনই জ্বালা ধরে যখন বাংলাদেশ সঠিক পথে এগিয়ে যায়।
নিজের চরকায় তৈল দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।ভারতের দক্ষিণ ব্লকের তথাকথিত পন্ডিতদের বলবো একটু নিজেদের ক্ষতির হিসেব টা আপনার অতিশয় গোমুখ্যু লোকজনকে জানান।বাংলাদেশ নিয়ে ভাববার মত মগজ আপনাদের নেই।বাংলাদেশ এখন গ্লোবাল প্লেয়ার।
নিজের চরকায় তেল দাও ইন্ডিয়া! বাংলাদেশের কিসে ক্ষতি হইলো না হইলো সেটা দেখা তোমাদের ডিউটি না। তোমরা তোমাদের toxic রিজিওনাল দাদাগীরি থেকে যতদিন না পর্যন্ত বের হয়ে আসবা, ততদিন প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে ঠিক সেরকম ব্যবহারই পাবা যেরকম তোমরা তোমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে ব্যবহার করছো।
আহারে আমাদের জন্য কত চিন্তা!
These are our Internal Issues,Do,nt interfere our internal issues.
যেচে এসে কথা বলার চেয়ে ভারত বরং তাদের ত্রুটি আর ভন্ডনীতির দিকে মনযোগ দিক।