বিনোদন
সরকারের প্রতি শিল্পীদের পক্ষ থেকে ১০ প্রস্তাবনা
স্টাফ রিপোর্টার
২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে ‘থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা’র আয়োজনে গত ১৮ই এপ্রিল বিকালে ‘সংস্কৃতি খাতে বাজেট পর্যালোচনা ও প্রস্তাবনা’- শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে সংস্কৃতি খাতে বাজেট বৃদ্ধি এবং এর কার্যকর ব্যবহারের জন্য নানা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। ‘থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা’ আয়োজিত এই সেমিনারে দেশের সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন আজাদ আবুল কালাম সভাপতি, থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা, পরিচালনা করেন অপু শহীদ, সেক্রেটারি ইভেন্ট, থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা এবং ধারণাপত্র পাঠ করেন তৌফিকুল ইসলাম ইমন, সেক্রেটারি অর্গানাইজেশন, থিয়েটার আর্টিস্টস এসোসিয়েশন অব ঢাকা। সেমিনারে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় বাজেটের দীর্ঘদিনের অবহেলা, বাজেট বরাদ্দের অপ্রতুলতা, সাংস্কৃতিক পরিকাঠামোর দুর্বলতা এবং প্রান্তিক শিল্পীদের অবস্থা তুলে ধরা হয়। বক্তারা জাতীয় বাজেটে সাংস্কৃতিক খাতের জন্য স্বতন্ত্র বরাদ্দ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিকেন্দ্রীকরণ এবং স্থায়ী ফান্ড ও ভাতা কাঠামোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন- নাট্যজন, আবৃত্তিশিল্পী, সংগীত ও নৃত্যশিল্পী, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সহ নানা শ্রেণি-পেশার সংস্কৃতি অনুরাগী। সেমিনার শেষে একটি যৌথ প্রস্তাবনা পত্র গ্রহণ করা হয়, যা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এখানে ১০টি প্রস্তাবনা দেয়া হয়। যেমন, ডিজিটাল আর্কাইভ ও ভার্চ্যুয়াল প্রদর্শনীর অবকাঠামো নির্মাণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আর্থিক সহায়তা, লোকসংস্কৃতি ও নৃ-গোষ্ঠী সংস্কৃতির গবেষণাগার ও প্রতিষ্ঠান গঠন, বাংলা একাডেমি, শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির আধুনিকায়ন, দক্ষ জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, সংস্কৃতিসেবীদের জন্য পেনশন সুবিধা চালু, বিদেশে সংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম বাড়ানো, শিল্পী ও সংগঠনের অনুদান বাড়িয়ে কার্যকর বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ, সংস্কৃতি খাতকে রেভিনিউ বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সরঞ্জাম রক্ষণাবেক্ষণ ও অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ।