অনলাইন
ছাত্রদল নেতা রেজার সংবাদ সম্মেলন
প্রাক্তন স্ত্রী শিখা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচারণা চালাচ্ছে
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ২৩ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ৯:৩০ অপরাহ্ন

প্রাক্তন স্ত্রী নাসরিন ইসলাম শিখার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানোর অভিযোগ করেছেন সরকারি বাঙলা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ফয়সাল রেজা। তিনি বলেছেন, গত ২১শে এপ্রিল শিখা আমার নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। যা মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমি মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই এবং দলীয় রাজনৈতিক সম্মান ক্ষুণ্ন হয়। যার ফলস্বরুপ, দল থেকে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এমতাবস্থায়, আমি সুষ্ঠু বিচার ও তদন্তের দ্বারা ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করছি। বুধবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ফায়সাল রেজা বলেন, ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে নাসরিন ইসলাম (শিখা) এর সাথে আমার পরিচয় হয়। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর সাথে আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রায় ৪ মাস পরে জানতে পারি সে বিবাহিত। শিখার স্বামী ও দুইটি সন্তান রয়েছে। যা সে আমাকে গত চার মাসে কখনোই বলেনি। আরও জানতে পারি যে, মহিদুল নামে একজন ব্যক্তির সাথে তাঁর ইতিমধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং পরবর্তীতে তাঁদের বিয়েও হয়েছিলো। আরও জানতে পারি- সে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে তাঁদের বিয়ে করে, কিছুদিন পর তাঁদের হতে ডিভোর্সের মাধ্যমে অর্থ আদায় করে থাকেন। একই ঘটনা আমার সাথে ঘটতে যাচ্ছে যা আমি বুঝতে পারি। তাঁরই প্রেক্ষিতে আমি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে তাঁর থেকে দূরে সরে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখনই সে আমাকে বিভিন্ন উপায়ে হেনস্তা করার চেষ্টা করে এবং আওয়ামী লীগ, পুলিশ ও ডিবি পুলিশের এর মাধ্যমে আমাকে টাকা চেয়ে হুমকি দিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, আমি নিরুপায় হয়ে টাকার বিনিময়, সামাজিক হেনস্তা হতে রক্ষা পেতে ৭ লক্ষ টাকার বিনিময় সমঝোতা করতে বাধ্য হই। যার প্রমাণ স্বরুপ ১০০ (একশত) টাকার ০৩ (তিন)টি স্টাম্পে অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে ৩০/১১/২০২৩ তারিখে সমঝোতা করি এবং সমঝোতার ভিত্তিতে আমি নাসরিন ইসলাম (শিখা)-কে ১২/১২/২০২৩ তারিখে চেক প্রদান করতে ঢাকা পল্টনের ইসলাম টাওয়ারের একটি অফিসে যাওয়া মাত্রই সেখানে আমাকে আটক করা হয় এবং সেখানে থাকা আওয়ামী লীগের কিছু ব্যক্তি ও প্রশাসনের কিছু ব্যক্তি পরিচয়ে আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে এবং আমার কাছে থাকা চেকটি ছিনিয়ে নেয় ও উক্ত স্থানে জোরপূর্বক নাসরিন ইসলাম (শিখা) এর সাথে আমাকে বিয়ে দেয়। ওই সময় তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যেমে ভিডিও ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে কিছুদিন আমি আর তার সাথে যোগাযোগ করিনি। যার কারণে নাসরিন ইসলাম (শিখা) আমার এলাকার বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে যোগাযোগ করে আমার পরিবারকে মামলার হুমকি প্রদান করে। যার ফলস্বরূপে সামাজিক সম্মানের ভয়ে তার সাথে আবারও সমঝোতা করতে বাধ্য হই এবং তার সাথে পুনরায় যোগাযোগ করি তার কিছু দিন পর থেকে শিখা টাকার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করে এবং পাশাপাশি সে অসামাজিক কার্যক্রম চালিয়ে যায়, যা আমি বুঝতে পারি এবং এরপর আমি তাকে কোর্টের মাধ্যেমে ডিভোর্স প্রদান করতে বাধ্য হই। সংবাদ সম্মেলনে রেজা বলেন, শিখা একজন সেনা কর্মকর্তার কাছে আমার বিরুদ্ধে কিছু মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত হয়। পরবর্তীতে আমি তার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমাকে শিখাকে পুনরায় ফিরিয়ে নেওয়ার কথা এবং বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমঝোতা করার জন্য আমার ডিভোর্সটি উঠিয়ে নিতে বলেন এবং আমি সেনা কর্মকর্তার কথাটি রাখি এবং সেই সেনা কর্মকর্তা সমস্যা সমাধানের জন্য ১ (এক) মাস সময় নেন। পরবর্তীতে সমঝোতা না হওয়ার কারণে সেনা কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ঢাকার পল্লবী কাজী অফিসে পারিবারিকভাবে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময় সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়।