বিশ্বজমিন
অসুস' অনশনরত ববির ৬ শিক্ষার্থী, দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেট
ববি প্রতিনিধি
১৪ মে ২০২৫, বুধবারবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের একদফা দাবীতে অনশনে বসা ১২ শিক্ষার্থীদের ৬ শিক্ষার্থী অসুস' হয়ে পড়েছেন। গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তারা অসুস' হয়ে পড়েন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজীন হোসেন। দাবি আদায়ে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মহাসড়ক অবরোধ করে দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
মেডিকেল অফিসার ডা. মো. তানজীন হোসেন বলেন, বর্তমানে তীব্র গরম থাকায় শরীরে পানিশুন্যতার কারণে ৫ জনকে আইভি স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এক শিক্ষার্থীর জ্বর হওয়ায় তাকে মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়েছে। ব্যবস'াপনা বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম নামের একজন গুরুতর অসুস' হয়ে পড়লে তাকে শেরে বাংলা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে, অবরোধে ব্যাপক জানজটের সৃষ্টি হয়েছে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে। ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনতার। আমরণ অনশনে প্রায় ১৭ ঘন্টা পার হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং উর্ধ্বতন কোন কর্তৃপক্ষের সাড়া না আসায় মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ।
আন্দোলনরত মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা আসলে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাইনি। কিন' দীর্ঘ এক মাস আন্দোলন করলেও প্রশাসন আমাদের সঙ্গে কোনোপ্রকার যোগাযোগ করেনি। তারা এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি। তাই আমরা রাস্তা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সুজয় শুভ জানান, আমাদের দাবি না মেনে নেয়ায় আমরা দক্ষিণবঙ্গ ব্লকেড করতে বাধ্য হয়েছি। ৬ জনের মতো শিক্ষার্থী গরমে অসুস' হয়ে পড়েছে। সময় যতটা বাড়বে তত শিক্ষার্থীর অসুস'তার সংখ্যা ও বাড়বে। আমরা চাই খুব দ্রুত আমাদের দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস'া করা হোক।
অনশনরত এনামুল হক জনান, আমরা দীর্ঘদিন উপাচার্যের পদত্যাগের অথবা অপসারণের জন্য দাবি জানিয়ে আসছি। কিন', যথাযথ কোন কতৃপক্ষ এখন অবধি আমাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা এই স্বৈরাচার উপাচার্যের অপসারণ করিয়ে ছাড়বো। আন্দোলনে সংহতি জানানো দুর্যোগ ব্যবস'াপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজ আশরাফুল হক জানান, আমরা শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে উনার ব্যক্তিগত সহকারি জানান শিক্ষা উপদেষ্টা ব্যস্ত রয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোন সাড়া পাইনি। সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান সনিকে মুঠোফোনে ফোন করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি।