জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সিদ্ধান্ত নেবে দেশ কোন দিকে এগুবে: জাহিদ

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপি’র ৩১ দফা যেটি বিএনপি’র সংস্কারের ধারাবাহিক কর্মসূচির একটি অংশ। আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ দ্রুত সময়ের মধ্যে পেতে চান। সেই জন্যই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে জনগণের অধিকার ফেরত দেয়া। এজন্য অতি দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করে জনগণকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ করে দেয়া। জনগণ যাকে খুশি তাকে ইচ্ছামতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণ ও দেশ কোনদিকে এগুবে। বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের একটি অভিজাত কনভেনশন হলে জেলা বিএনপি’র বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই নিজের দলের কথা, স্বার্থের কথা চিন্তা করে নাই। বিএনপি সব সময় চিন্তা করেছে দেশের কথা। দেশের মানুষের কথা। জনগণ ও সংস্কারের কথা। বিএনপি মানুষের পাশে থাকে। এই দল মানুষকে ফেলে পালিয়ে যায় না। বিএনপি নেত্রী প্রলোভন, অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রস্তাবনা আসার পরও শত বাধা বিপত্তির মুখেও বাংলাদেশে থেকেছেন। নিজের অসুস্থতাকে গ্রহণ করেছেন। কিন্তু কোনো ধরনের নতি স্বীকার করেননি। আপস করেননি। কাজেই সেই দল হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। ডা. জাহিদ বলেন, আজকে নারী শিক্ষায় অগ্রগতি বলেন, নারীদের ক্ষমতায়ন বলেন- প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান হচ্ছে বিএনপি’র। জনগণ ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে দেখেই সংসদে প্রস্তাব পাস করে সংবিধানে ইন করপোরেট করা হয়েছিল। যার কারণে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি পরবর্তীতে ৯৬’এ আরেকটি নির্বাচন হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা সংবিধানে সন্নিবেশিত করে।
জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), আলহাজ জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ), কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, মিফতাহ সিদ্দিকী, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম. নাসের রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন- বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী, জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ভিপি মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।