দেশ বিদেশ
যুক্তি থাকলে পরিষ্কার করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন
স্টাফ রিপোর্টার
২ জুন ২০২৫, সোমবার
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা বলেছি, নির্বাচন ডিসেম্বরে হলে নির্বাচন কমিশনের সুবিধা, সরকারেরও সুবিধা, জনগণেরও সুবিধা। সেটা আমরা যুক্তি দেখিয়েছি। যদি অন্য কোনো যুক্তি থাকে সরকার পরিষ্কার করুক, করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুক। সেটা ছিল তাদের (অন্তর্বর্তীকালীন সরকার) দায়িত্ব। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ‘প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মোশাররফ বলেন, নির্বাচন যত বিলম্ব হবে পতিত স্বৈরাচার তারা ষড়যন্ত্র করবে। ডিসেম্বরে নির্বাচন প্রয়োজন। আপনারা যে বলছেন, জুনে নির্বাচন দেবেন। এর আগে দিলে কী হয়? ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি মাসে, এরপরে ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা, এই রোজাকে তো আমরা পিছিয়ে দিতে পারবো না, এই রোজা ও ঈদ নিয়ে দুই মাস চলে যায়, ফেব্রুয়ারি-মার্চ। তারপরে আসবে এপ্রিল-মে এসএসসি ও এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষা, এগুলো পেছানোর সুযোগ নেই। এসব পাবলিক পরীক্ষায় যেসব স্কুল-কলেজে সেন্টার হয় সেগুলোতে কিন্তু ভোটের সেন্টার হয়। তিনি বলেন, সরকার এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন করতেই পারবেন না। আর জুন মাসে পুরোপুরি বর্ষাকাল চলে আসে। এবার তো দেখলাম মে মাসে কী পরিমাণ বৃষ্টি এবং সারা দেশে বর্ষা অবস্থা। জুন মাস নির্বাচন সম্ভব না। তাই আমরা মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব এবং আমরা দাবি করেছি যে, আপনি (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস) ডিসেম্বরের মধ্যে যেদিন সুইটেবল মনে করেন, সেদিনটি আপনারা ঘোষণা করেন। মোশাররফ হোসেন বলেন, এখন যদি প্রশ্ন উঠে যে, আপনার (প্রধান উপদেষ্টা) উপরে যেখানে আমাদের এতবড় বিশ্বাস, আপনি কেন বাংলাদেশের জনগণকে বা বিদেশের নাগরিককে ভুল পথে পরিচালিত করবেন। কেনই বা আমাদের মধ্যে একটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন। আমরা এখনো আশা করি যে, তিনি একথা উপলব্ধি করবেন, উপদেষ্টারা যারা অতিরিক্ত কথা বলে তাদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিতর্কিত, আমরা সেটাও দাবি করেছি, বিতর্কিত উপদেষ্টারা তাদেরকে বাদ দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে যদি একটি ছোট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করে, তাদের পক্ষেই সেই জাতীয় নির্বাচনটা অনুষ্ঠান করা সুন্দর হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা বৈঠক ডেকেছেন। আমরা যাবো। গেলেও আমরা কি বলবো? আমরা তো আগেই সংস্কার কর্মসূচি দিয়ে রেখেছি, অনেক সংস্কার কর্মসূচিই তাদের প্রস্তাবের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, মিনিমাম সকল দল একমত হবে, সেটাকে ঐকমত্য ঘোষণা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া উচিত। বাংলাদেশে যে সংকট-আলোচনা, এটা কিন্তু নির্বাচনকে নিয়ে। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের আ ন হ আখতার হোসেন, সাংবাদিক নেতা একেএম মহসিন, রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।