বিশ্বজমিন
ইরানের অভিজাত বাহিনীর মারাত্মক ক্ষতি করেছে ইসরাইল
মানবজমিন ডেস্ক
(২ সপ্তাহ আগে) ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ১:৫৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:২৪ পূর্বাহ্ন

বিশ্লেষকরা মনে করেন, এবারের হামলায় ইরানের অভিজাত বাহিনীর অভূতপূর্ব ক্ষতি করেছে ইসরাইল। বিবিসির বিশ্লেষক সেবাস্তিয়ান উশার তার এক লেখায় বলেছেন, গত বছরের হামলা এবারের তুলনায় এত তীব্র ও বিস্তৃত ছিল না। নভেম্বরে লেবাননের হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে যে কৌশল নিয়েছিল এবার ইরানের বিরুদ্ধেও ইসরাইল তেমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইসরাইল এবার কেবল তেহরানের ক্ষপণাস্ত্র ঘাঁটিতে আঘাত হানেনি, বরং তারা ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নেতৃত্ব নির্মুল করারও সক্ষমতা দেখিয়েছে। যেটা তারা হিজবুল্লাহর ক্ষেত্রেও করেছিল। তারা সশস্ত্র ওই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করার কৌশলটির টেকসই ফল পেয়েছে। কেননা এরপর ইসরাইলে পাল্টা হামলার সাহস দেখায়নি হিজবুল্লাহ।
তেহরানে হামলার ফুটেজে দেখা গেছে নির্দিষ্ট কিছু স্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে তেল আবিব। যেভাবে তারা বৈরুতের দিক্ষণাঞ্চলে হামলা চালিয়েছিল। সেই হামলাতেই হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। তবে ইরানে এত বড় মাপের কাউকে যে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখনও অক্ষত রয়েছেন।
তবে ইরানের সামরিক প্রধান, শক্তিশালী বিপ্লবী গার্ডের কমান্ডার ও দেশটির একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীকে একটি অভিযানের প্রথম ধাপেই নিহত করা কোনো ছোটখাট বিষয় নয়। এর মধ্যে এই হামলা কিছুদিন অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের এলিট গার্ডের অভূতপূর্ব ক্ষতি সাধন করা। গত বছরের হামলার যে জবাব দিয়েছিল ইরান, এবারের পরিস্থিতিতে সেটা আরও শক্তিশালী হতে পারে। তবে এটা তেহরানের জন্য সহজ নয়। কেননা এতে তারা নিজেদের জন্য আরও কঠিন বিপদ ডেকে আনতে পারে। সম্ভবত নেতানিয়াহু এমনটিই চান।
পাঠকের মতামত
ইরান এর বড় বড় অহংকার শোনা যায় শুধু হুংকার কাজের নামে ঠনঠন প্রথম আঘাতেই সেনাপ্রধানদেরকে হারাইয়া বইসা রইছে