বাংলারজমিন
বন্দরে মুকুলকে পিটিয়ে বিবস্ত্রের ঘটনায় মামলা, বজলুকে গ্রেপ্তার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবারহরিপুর মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদার ও সাবেক বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে পিটিয়ে বিবস্র করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় ডন বজলুকে প্রধান আসামি করে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত রোববার রাতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মোস্তাকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামি ডন বজলু সহ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে গতকাল সোমবার বিকালে মদনপুর এলাকায় ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুই ঘণ্টাব্যাপী হাজার হাজার নেতাকর্মী মহাসড়কে অবস্থানের ফলে প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের নির্দেশে উপস্থিত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডন বজলুকে গ্রেপ্তারের আশ্বাসে মহাসড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল সবুর সেন্টু, যুগ্ম আহবায়ক ফকরুল ইসলাম মজনু, এড. বিল্লাল হোসেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির নেতা এড. আনিছুর রহমান আনিস, জেলা তারেক জিয়া পরিষদ আহবায়ক শিশির আহম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ টিটু প্রমূখ। এছাড়াও উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন ও নাসিক ৯ ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপির শতশত নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন পেশার সাধারণ মানুষ উপস্থিত থাকায় আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলটি প্রতিবাদ সমাবেশের পরিনত হয়েছে।
উল্লেখ্য, নাসিক ২৭ নং ওয়ার্ড হরিপুর এলাকায় অবস্থিত ৪১২ মেগাওয়াট হরিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঠিকাদারি বিরোধের জের ধরে গত রোববার দুপুরে মুকুলকে গাড়ি থেকে টেন হেঁচড়ে নামিয়ে পিটিয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ায় মুহুর্তে মধ্যে দেশ বিদেশে ছড়িয়ে পড়লে রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করেছে বন্দর উপজেলা ও থানা বিএনপির নেতৃত্বাধীন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা।
সূত্র মতে, ১৫ লাখ চাঁদা না পেয়ে সোনারগাঁও উপজেলার বিএনপির সহ সভাপতি বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু বাহিনী সন্ত্রাসীরা উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলকে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ফেসবুকে ভাইরাল একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় একটি কালো প্রাইভেটকার থামানোর সঙ্গে সঙ্গে ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী গাড়িটি ঘিরে ফেলে তার মুকুলকে গাড়ি থেকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে জামাকাপড় ছিঁড়ে বিবস্র করা হয়। এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
মামলার এজাহারভূক্ত আসামীরা হলো নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার কুতুবপুর এলাকার মৃত মতিউর রহমান মিয়ার বজলুর রহমান ওরফে ডন বজলু (৫৫) একই এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে রাসেল(৪৪) আলী আক্কাস মিয়ার ছেলে কামাল ওরফে কেরা কামাল (৪৪) ফজলুর রহমানের ছেলে গোলজার (৪৮) কাশেম মিয়ার ছেলে নাদিম (৩৮) মৃত আবুল বাশারের ছেলে আব্দুল করিম নোমান (৩৫) মৃত আক্তার হোসেনের ছেলে আকাশ (২৫) মৃত সিরাজ উদ্দিন মিয়ার ২ ছেলে সেলিম (৪৫) ও শামীম (৪২) মৃত মগবুল হোসেনের ছেলে শাহাজালাল (৪০) মৃত ছালিম উদ্দিন মিয়ার ছেলে হযরত আলী (৫৬) রফিক মিয়ার ছেলে রাজ মিয়া (৫৫) সাদেক আলী ছেলে সাইদুর ওরফে সাইফুল (৪৪) মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে হানিফ (৪২) ফজলুর রহমানের ছেলে আক্তার (৪৫) মিছির আলী ছেলে ইসমাঈল (৫৮) বশির উদ্দিন মিয়ার ছেলে খালেক (৫৮) ও একই এলাকার আলী আক্কাস (৩৬)সহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন।