বাংলারজমিন
কক্সবাজারে র্যাবের ইউনিফর্মসহ যুবক আটক
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার থেকে
১ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবাররোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ থেকে মো. হাফিজ উল্লাহ নামে এক যুবককে অপহরণ ও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় জড়িত কুখ্যাত ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের একে একে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫। এই ঘটনায় র্যাবের ইউনিফর্ম, ফেইক আইডি, দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও হ্যান্ডকাপ উদ্ধার হয়েছে। গত ১১ জুন রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও এনায়েত উল্লাহর সহায়তায় বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন, সন্ত্রাসী ফারুক ও শিকদার র্যাব পরিচয়ে হাফিজ উল্লাহকে তার ঘর থেকে ডেকে রঙ্গিখালীর গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। পরে তার পরিবারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। র্যাব-১৫ অপহরণের খবর পেয়ে ১৩ জুন রঙ্গিখালীতে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন আফ্রিদি ও আব্দুল গফুরকে আটক করে। এরপর ১৪ জুন মূল অভিযুক্ত বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন মুন্সিকে মরিচ্যা বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার স্বীকারোক্তি মতে, ১৫ জুন র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করা হয়। অভিযানকালে একটি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড গুলি, র্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীতে ২৭ জুন কুখ্যাত ডাকাত শিকদার এবং ২৯ জুন অপহরণে জড়িত উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পশ্চিম মরিচ্যা এলাকার বাসিন্দা আবদুল শুক্কুরের ছেলে সন্ত্রাসী ফারুককে। এসময় তার বাড়ি থেকে ৪টি র্যাবের ইউনিফর্ম, ১টি র্যাবের ফেইক আইডি কার্ড, ১টি হ্যান্ডকাপ, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা গুলি, ১১ রাউন্ড খালি কার্টিজ ও ১টি ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন মিরপুর শাহ আলী মার্কেট থেকে র্যাবের পোশাক তৈরি করিয়েছিল, যার প্রতি সেটে খরচ হয়েছে ২৫০-৫০০ টাকা। র্যাব-১৫ জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পোশাক অনুমতি ছাড়া তৈরি ও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। সংশ্লিষ্ট টেইলার্স ও প্রস্তুতকারীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, আইন অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাব আরও জানায়, এ ঘটনায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন, কুখ্যাত ডাকাত শাহআলমসহ আরও কয়েকজন এখনো পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদিকে, সাধারণ মানুষের দাবি, এই ভয়ঙ্কর চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে কেউ আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটনের সাহস না পায়।