বিশ্বজমিন
মুম্বইয়ে শিক্ষিকার যৌন লালসার শিকার ছাত্র
মানবজমিন ডেস্ক
(১১ ঘন্টা আগে) ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৯:৩৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:১৫ পূর্বাহ্ন

প্রতীকী ছবি
এবার মুম্বইয়ের ৪০ বছর বয়সী এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অপরিণত বয়সী এক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষিকা ১৬ বছর বয়সী ওই ছাত্রকে যৌনতায় উদ্দীপ্ত করে করে তাকে নিয়ে গিয়েছেন মুম্বইয়ের বিভিন্ন স্থানে। এমনকি ৫ তারকা হোটেলেও তাকে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক ক্ষুধা মিটিয়েছেন। এ সময় তাকে মদ পান করিয়েছেন। সেবন করিয়েছেন অবসাদবিরোধী পিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন হিন্দুস্তান টাইমস। অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই ছাত্রের সঙ্গে এক বছরের বেশি এমন সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ৈর অভিজাত একটি হাইস্কুলে। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ছাত্রটির পরিবারের সদস্যরা আকস্মিক তার আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করে। এরপর তারা তার বিষয়ে অনুসন্ধান চালায়। তারই এক পর্যায়ে বেরিয়ে আসে মূল তথ্য। তারা তদন্ত করে অভিযোগে বলে, ওই শিক্ষিকা বিবাহিতা। তার ছেলেমেয়ে আছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ওই স্কুলের বার্ষিক এক অনুষ্ঠানে ড্যান্স গ্রুপের নাচের সময় ছাত্রটির সঙ্গে ওই শিক্ষিকার বেশ কয়েকবার মিটিং হয়। এ সময় তিনি ছাত্রটির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। এর এক মাসের মধ্যে প্রথমবার ওই ছাত্রকে শয্যাসঙ্গী করেন।
প্রথম দিকে ছাত্রটি অনিচ্ছা প্রকাশ করে। সে শিক্ষিকাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। তারপরও ওই শিক্ষার্থীর মেয়ে বন্ধকে দিয়ে টোপ ফেলে। সম্পর্ক মেনে নিতে বলে। ওই মেয়েবন্ধু তাকে বলে, আজকাল বয়স্ক নারী এবং টিনেজ বালকদের মধ্যে সম্পর্ক একটি সাধারণ বিষয়। এমনি করে ওই মেয়েবন্ধু শিক্ষার্থী বালককে বুঝাতে সক্ষম হয়। এ কারণে ওই মেয়েবন্ধুকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে। মেয়েবন্ধু এত বেশি উদ্বুদ্ধ করে যে, এক পর্যায়ে ছাত্রটি সিদ্ধান্ত নেয় ওই শিক্ষিকার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। ফলে শিক্ষিকা তাকে তার সিদান গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যান জনবিচ্ছিন্ন একটি স্থানে। সেখানে নিয়ে ওই ছাত্রকে জোর করে নগ্ন করে ফেলেন এবং তাকে অবমাননা করেন। এর অল্প পরেই অভিযুক্ত শিক্ষিকা ওই শিক্ষার্থীকে ব্যয়বহুল হোটেলে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। সেখানে নিয়ে তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেন। এতে শিক্ষার্থীর মধ্যে চরম মাত্রায় উদ্বেগ দেখা দেয়। এ কথা জানার পর তিনি তাকে উদ্বেগ বিনাশকারী পিল সেবন করান। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অনেক সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের আগে ওই শিক্ষার্থীকে মদ পান করাতেন শিক্ষিকা। প্রথম দিকে পরিবার বিষয়টি জানার পর নীরবতা অবলম্বন করে। তারা মনে করে ছেলেটি স্কুল থেকে পাস করে বেরিয়ে আসুক। তারপর শিক্ষিকা একা হয়ে পড়বেন। কিন্তু অভিযুক্ত শিক্ষিকা গৃহকর্মীর মাধ্যমে ওই ছাত্রের সঙ্গে আবার যোগাযোগ স্থাপন করেন। তাকে আবার সাক্ষাৎ করতে বলেন। এ সময় পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ দায়ের করে।
পাঠকের মতামত
বুঝতে হবে এটা মোদির ইন্ডিয়া। এখানে সব কিছুই হারামের উপর চলে।
শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে ছাত্রছাত্রীরা বাবামায়ের মর্যাদা দেন। মর্যাদাপ্রাপ্ত শিক্ষিকার অপকর্ম। নীতিনৈতিকতা তাহলে জলে ভেসে যাচ্ছে? শিক্ষিকার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রাপ্য।