বিশ্বজমিন
চাচার সঙ্গে প্রেমের জের
বিয়ের ৪৫ দিন পর স্বামীকে গুলি করে হত্যা
মানবজমিন ডেস্ক
(৯ ঘন্টা আগে) ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০২ অপরাহ্ন

বিয়ের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় স্বামী প্রিয়াংশুকে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন বিহারের এক নববধূ গুনজা দেবী। পুলিশের দাবি, নিজ চাচা জীবন সিংহের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে স্বামী প্রিয়াংশুকে (২৫) হত্যা করতে ভাড়াটে খুনি নিয়োগ করেন গুনজা দেবী। এ ঘটনা ঘটেছে বিহারের আওরঙ্গাবাদ জেলার নবীনগর থানা এলাকায়। সম্প্রতি মেঘালয়ের আলোচিত ‘হানিমুন হত্যা’ মামলার মতোই শিউরে ওঠার মতো একই রকম এই ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, গুনজা দেবী ও ৫৫ বছর বয়সী চাচা জীবন সিংহের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরিবারের আপত্তিতে তারা একে অপরকে বিয়ে করতে পারেনি। পরে দেবীর পরিবার জোর করে তাকে প্রিয়াংশুর সঙ্গে বিয়ে দেয়। তিনি বারওয়ান গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ সুপার আমরিশ রাহুল জানান, ২৫ জুন প্রিয়াংশু বোনের বাড়ি থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিলেন। নবীনগর স্টেশনে পৌঁছে তিনি স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং বাড়িতে পৌঁছানোর জন্য বাইকসহ কাউকে পাঠাতে বলেন। কিন্তু স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথেই দুই অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে গুলি করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর গুনজা দেবী গ্রাম ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এতে প্রিয়াংশুর পরিবারের সন্দেহ হয়। পুলিশ পরে দেবীর মোবাইল কল রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখতে পায়, তিনি চাচা জীবন সিংহের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন। এমনকি জীবন সিংহও ওই ভাড়াটে খুনিদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছেন। ঘটনা তদন্তে বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত গুনজা দেবী ও দুই ভাড়াটে খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে চাচা জীবন সিংহ পলাতক। তাকে ধরার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে।
মেঘালয়ের হানিমুন হত্যার প্রতিচ্ছবি
এই নির্মম ঘটনার সঙ্গে মেঘালয়ের রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডের মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে স্ত্রী সোনম ও তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা মিলে হানিমুন ট্রিপে গিয়ে স্বামীকে হত্যা করে। তাদের সঙ্গেও তিনজন ভাড়াটে খুনি ছিল। সে মামলার সব আসামিকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে।
পাঠকের মতামত
এ ধরণের ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা উচিত ঐ মেয়েটির বাবা-মাকে। তাদের ভুলের জন্য আজ একটি ছেলের মৃত্যু হলো। এখানে রোগ সারিয়ে তোলার চাইতে রোগ যাতে আরা বেড়ে যাই সে ঔষধ দেওয়া হয়েছে তাই সঙ্গত কারণেই ফলাফল খারাপের দিকে গেছে।