বিশ্বজমিন
ট্রাম্পের বিল আটকে যাওয়ার পর তা রক্ষার চেষ্টা স্পিকারের
মানবজমিন ডেস্ক
(১০ ঘন্টা আগে) ৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’ কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে আটকে যাওয়ার পর রিপাবলিকান দলীয় স্পিকার মাইক জনসন মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন বিলটিকে বাঁচাতে। এই সমস্যার বড় কারণ হলো অধিবেশন চলাকালীন অনেক আইনপ্রণেতা কংগ্রেস ভবনেই ছিলেন না। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ফক্স নিউজের শন হ্যানিটির সঙ্গে বুধবার রাতে আলাপে স্পিকার জনসন বলেন, (আইন প্রণেতাদের কেউ) একজন পারিবারিক অনুষ্ঠানে ছিলেন। কয়েকজন এখন পথে। তারা ফিরছেন। তিনি আশ্বাস দেন, এই বিধানে ভোট যতক্ষণ দরকার, ততক্ষণ খোলা রাখা হবে- যাতে আইনপ্রণেতারা প্রশ্ন করতে পারেন। উল্লেখ্য, এই বিলটি নিয়ে রিপাবলিকানদের মধ্যে তীব্র বিভাজন দেখা গেছে। ভোট বাঁচাতে তারা সর্বোচ্চ তিনটি ‘না’ ভোট সহ্য করার সক্ষমতা রাখে। কিন্তু ইতিমধ্যে চারজন রিপাবলিকান এই বিলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন।
ওদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইলন মাস্ক ঘোষণা দিয়েছেন এই বিল পাস করলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। তার নাম হবে আমেরিকান পার্টি। সত্যি তিনি এমন দল গঠন করলে তাতে আকৃষ্ট হবেন কারা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, ইলন মাস্ক রিপাবলিকান। তিনি ট্রাম্পকে নির্বাচনে যে শারীরিক, মানসিক এবং সর্বোপরি আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন তাতে তার প্রতি রিপাবলিকান শিবিরের বহু মানুষ আকৃষ্ট। ফলে তিনি দল গঠন করলে তাতে রিপাবলিকান দলেরই ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এমন অবস্থায় ফক্স নিউজকে স্পিকার জনসন বলেন, আমার মনে হয়, ওরা (ওই চারজন) আলোচনা করতে প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, এর মধ্যে তিনজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে, আর চতুর্থ জনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। পেনসিলভানিয়ার কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক এই চারজনের একজন। তিনি ভোট দেওয়ার পর কক্ষ ত্যাগ করেন। পরে এনবিসি নিউজকে বলেন, প্রত্যেকেই জনগণের জন্য এই এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, আমরা সেটার জন্য সব সুযোগ দিতে চাই। এই বিল নিয়ে রিপাবলিকানদের ভেতর দ্বিধা দেখা দিলেও ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে চাপ বেড়েই চলেছে। হোয়াইট হাউসের ভেতরেও আলোচনার উত্তাপ বাড়ছে। কারণ এটি তার প্রশাসনের অন্যতম বড় অভ্যন্তরীণ নীতি-সংক্রান্ত প্রস্তাব। বিলটি ব্যর্থ হলে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক ও কর সংস্কার এজেন্ডার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা। এখন দেখার বিষয়, স্পিকার জনসনের প্রচেষ্টা এই বিলকে ভোটে জিতিয়ে আনতে পারে কিনা।