খেলা
বাংলাদেশকে পেলেই যেন জ্বলে ওঠেন কুশল
স্পোর্টস ডেস্ক
৯ জুলাই ২০২৫, বুধবার
টেস্ট, ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট যেটাই হোক প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ হলেই যেন ব্যাট একটু বেশিই চওড়া হয়ে ওঠে কুশল মেন্ডিসের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যেক ফরম্যাটেই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন টাইগারদের বিপক্ষে। গতকাল পাল্লেকেলেতে আরও একবার জ্বলে ওঠেন এই লঙ্কান ব্যাটার। বাকিরা খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও কুশলের ব্যাট থেকে আসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি।
পাল্লেকেল্লেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে গতকাল টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই উইকেটে আসেন কুশল মেন্ডিস। আগের ম্যাচে মাত্র ১৯ বলে ফিফটি করে বাংলাদেশের বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান তিনি। গতকাল প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ঠিক সেখান থেকেই আবার শুরু করেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ১০০ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর চারিথ আসালঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়েন কুশল মেন্ডিস। দুই অভিজ্ঞ ব্যাটারের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। একপ্রাপ্ত আগলে রেখে ৫৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন কুশল মেন্ডিস। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করা মেন্ডিসের কারণে কখনোই শ্রীলঙ্কার স্কোরবোর্ডে চাপ তৈরী হয়নি। ৯৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন কুশল। ওয়ানডেতে এটি তার ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়। ২০১৭ সালে ডাম্বুলায় আগের সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তিনি। একই দিনে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২ হাজার রান পূর্ণ করেছেন কুশল মেন্ডিস। বাকি তিনজন হলেন্ত কুমার সাঙ্গাকারা (৩০৯০), ব্রেন্ডন টেলর (২৮৭৩) ও হ্যামিল্টন মাসাকাদজা (২৪৪৯)। সবমিলিয়ে শেষ পর্যন্ত ১১৪ বলে ১৮ চারে ১২৪ রান করেন কুশল। কেনো বাংলাদেশ তার প্রিয় প্রতিপক্ষ সেটা পরিসংখ্যান দেখলে আরও স্পষ্ট হয়। টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৪ ফিফটিতে করেছেন ৮৪১ রান। ওয়ানডেতে ২২ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি আর ৫ ফিফটিতে ৮০৯ আর টি-টোয়েন্টিতে ৯ ম্যাচেই ৪৪২ রান। প্রত্যেক ফরম্যাটেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই সবচেয়ে বেশি রান করেছেন তিনি।