বিশ্বজমিন
পাকিস্তানে এমপক্স সন্দেহে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা তিন ব্যক্তি হাসপাতালে
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
পাকিস্তানের একটি বিমানবন্দরে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা তিন যাত্রীর শরীরে এমপক্স রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অনলাইন জিওনিউজ। এতে বলা হয়, রোববার পাকিস্তানের জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করাচিগামী একটি বিমান থেকে ওই তিন যাত্রীকে ছোঁয়াচে রোগ এমপক্সে আক্রান্তের সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র বলছে, এ তিন যাত্রী মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে পাকিস্তানে ফিরছিলেন। বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, তিন যাত্রীকে সিন্ধু সরকারের সংক্রামক রোগ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাদের নিঃসঙ্গ ওয়ার্ডে রাখা হবে। এ পর্যন্ত পাকিস্তানে ছয়জন এমপক্স রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের সবাই খাইবার পাখতুনখোয়ার বাসিন্দা। এমপক্স এমন একটি ভাইরাস যা ফ্লুর মতো উপসর্গ এবং পুঁজ-ভরা ক্ষত সৃষ্টি করে এবং সাধারণত হালকা হলেও এই রোগ মরণঘাতী। রয়টার্স জানিয়েছে, শিশু, গর্ভবতী মহিলা এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সকলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। আগস্টে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই রোগের সাম্প্রতিক প্রাদুর্ভাবের নতুন ভেরিয়েন্ট চিহ্নিত করার পর বৈশ্বিকভাবে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে কঙ্গোতে ২৭ হাজার মানুষের শরীরে এই রোগ শনাক্ত করা হয় যাদের ১,১০০ জনের বেশি রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত এবং নিহত হওয়ার বেশির ভাগই শিশু। মূলত আফ্রিকাতে এ রোগটির প্রাদুর্ভাব বেশি। এশিয়ায় প্রথম থাইল্যান্ডে এই রোগটি শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা। আগস্টে দেশটিতে আফ্রিকা থেকে আসা ৬৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে এই রোগ শনাক্ত করা হয়। এমপক্স একধরণের ছোঁয়াচে রোগ। সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, সরাসরি সংস্পর্শ কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি এসে কথা বলা বা শ্বাস নেয়ার মতো ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে এটি একজনের থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসটি ফাটা চামড়া, শ্বাসতন্ত্র বা চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। ভাইরাসে দূষিত হয়েছে এমন জিনিস যেমন বিছানা, পোশাক এবং তোয়ালে স্পর্শের মাধ্যমেও এটি ছড়াতে পারে। বানর, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনো প্রাণী যদি এতে সংক্রমিত হয় আর কেউ যদি ওই সংক্রমিত প্রাণীর সঙ্গে বেশি কাছাকাছি আসে তবে তিনি এতে আক্রান্ত হতে পারেন। এমপক্সের আরেকটি নাম হচ্ছে মাঙ্কিপক্স।