বিশ্বজমিন
শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রী
মানবজমিন ডেস্ক
(৮ ঘন্টা আগে) ৮ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯:৪২ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৩:৪৬ অপরাহ্ন

শিক্ষকের হাতে যৌন নির্যাতনের ফলে আসামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে সে জুনে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে তার রক্ষা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার ৬ই জুলাই সে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা ঘটেছে আসামের তিনসুকিয়া জেলায়। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। শিক্ষকের হাতে যৌন নির্যাতনের ফলে মেয়েটি কি অবস্থার ভিতর দিয়ে যাচ্ছিল তা চার পৃষ্ঠার একটি নোটে লিখে গেছে। ওই নোটটি দেখতে পেয়েছেন সাংবাদিকরা। এতে সে অভিযোগ করেছে, অন্য তিন শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষককে সুরক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এই ঘটনা আসামজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
জুনে প্রথম যখন সে আত্মহত্যার উদ্যোগ নেয়, তারপর তার পরিবার থানায় একটি এফআইআর করে। তাতে বলা হয়, মে মাসে প্রথমবার ভিকু ছেত্রি নামে একজন শিক্ষক নবম শ্রেণির ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন চালায়। ২৬শে মে ওই শিক্ষক কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তা ক্লাসের পর স্কুলের কিচেনে পান করায় ওই ছাত্রীকে। ততক্ষণে অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুল থেকে চলে গিয়েছে। এরপরই ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন চালায় ওই শিক্ষক। ফলে সে ৩রা জুন আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে চিকিৎসা করিয়ে তার অবস্থা স্থিতিশীল করে। এতে তার জীবন রক্ষা হয়। এরপর তার পরিবার ধোল্লা পুলিশ স্টেশনে এফআইআর করে। শিশুর বিরুদ্ধে যৌনতার অপরাধ বিষয়ক একটি আইনে এই অভিযোগ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ১১ই জুন শিক্ষক ভিকু ছেত্রিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে ৬ই জুলাই দ্বিতীয়বারে চেষ্টায় আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী। এরপর রোববার তার ভাই আরেকটি এফআইআর করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে অনেক সামাজিক সংগঠন।