প্রথম পাতা
‘ড. ইউনূস তো সুযোগ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন না’
স্টাফ রিপোর্টার
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, শনিবার
ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠন করতে সুযোগ করে দেয়ার ক্ষমতা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাখেন না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস সুযোগ করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন যদি তিনি ক্ষমতাকে অপব্যবহার করেন। তাছাড়া কী সুযোগ করে দেবেন বলেও প্রশ্ন রাখেন মান্না। তিনি বলেন, প্রটোকল দেবেন, তাদের পুলিশ প্রটেকশন দেবেন, তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেবেন? কি সুযোগ দেবেন? রাজনীতি করলে বেরিয়ে আসবেন। জনগণ যাদের সমর্থন দেবে, তারা ক্ষমতায় যাবেন এবং তাদের মতো করে দেশ গড়বেন। কেউ তো বাধা দেয়নি। সবাই স্বাগত জানিয়েছে।
‘ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘ছাত্ররা দল গঠন করবে’- এ লক্ষ্যে তারা দেশ জুড়ে লোকজনকে সংগঠিত করছে’- এ প্রসঙ্গে মাহমুদুর রহমান মান্না মানবজমিনকে বলেন, আমি এটা স্বাগত জানাবো। যেকোনো একটি দলকে সমর্থনও করতে পারি, কিন্তু তিনি ক্ষমতাকে ব্যবহার করে করতে পারেন কিনা? যে ছাত্ররা রাজনৈতিক দল করার কথা বলছেন, প্রকারান্তরে এরা তো ক্ষমতা ব্যবহার করছেন। আমি দাবি করেছিলাম যে, আপনারা যদি দল করেন তাহলে ছেড়ে দেন, ক্ষমতায় থাকবেন না। যেহেতু আপনারা রাজনীতি শুরু করেছেন, কথাবার্তা বলছেন।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার দেখলাম এক উপদেষ্টা বলেছেন, এটা অনেক ভাববার বিষয়। যদি ভাববার বিষয় হয় তাহলে কথাবার্তাগুলোও ভেবে বলেন। প্রধান উপদেষ্টা, উনি দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ‘তিনি সরাসরি বলছেন, ছাত্ররা এত বড় অভ্যুত্থান করলো, তাদের তো পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা ইত্যাদি থাকতেই পারে।’ এটা শুধু তাদের আকাঙ্ক্ষা হবে কেন? সবার আকাঙ্ক্ষা আছে। তারপরও তাদের বিশেষ আকাঙ্ক্ষা আছে। এখন তারা সরাসরি রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে এটা করতে যাচ্ছেন। উনি সেটা সমর্থন করছেন। তার মানে এটা রাজনীতি সমর্থন করলেন তো?
মান্না আরও বলেন, ছাত্ররা মিলেই দল করবে, ছাত্রদের তো একটাই গ্রুপ না। আরও অনেক ছাত্র সংগঠন আছে। তাদের দল যদি তারা গড়ে তুলতে চায়? তাদেরকেও তিনি সুযোগ দেবেন? এটা বলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস মহা একটা ভুল কাজ করেছেন, আমি মনে করি। উনি ক্ষমতায় থেকে, ক্ষমতার সর্বোচ্চ শিখরে থেকে, এটা বলতে পারেন না- আমি তাদের সুযোগ করে দিতে চাই। তাহলে তো ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতায় যারা আছেন তাদের সুযোগ করে দেবেন। এটা ঠিক হয় নাই। আমি মনে করি, তাদের যদি ভেতরে ভেতরে থাকে যে কিংস পার্টি করে তারা দেশ বদলাবেন, ওই ভাবে দেশ বদলাবে না।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, গণতান্ত্রিক সৌধ নির্মাণের অনেক পথ আছে। যেটার সবচেয়ে বেশি সুযোগ ড. ইউনূসের আছে। সেটা রাজনৈতিকভাবে। একটা সুস্থ রাজনীতি গড়ে ওঠার মাধ্যমেই তা হতে পারে এবং একটা গণতান্ত্রিক কাঠামো গড়ে তোলার ওপর সেটা নির্ভর করে। সেটা না করে এগুলো করলে গণতন্ত্র ধ্বংস করবে এবং দেশের অগ্রগতিও ধ্বংস করবে।
পাঠকের মতামত
১৯৭১ সালে মান্না ভাই ছিলেন ২৪ বছরের টগবগে তরুণ। মান্না ভাই, মুক্তিযুদ্ধের সময় কোন গর্তে লুকিয়ে ছিলেন? আজ হেড়ে গলায় দেশ প্রেমের গান শোনাচ্ছেন। তখন কি পাকিস্তান প্রেম ছিল? ভারতের দালালি ছেড়ে দেন।
মান্না ভাই এর সাথে সহমত পোষণ করছি ।
২০২৪ এর অভ্যুত্থান যেমন একদম খাটি ছাত্র জনতার সম্মিলিত ত্যাগের ফসল, তেমনই এখন যে ৫/৭ টা সমন্বয়ক নাম ধারীর কথা শুনছি তারাও একদম খাটি মতলববাজ।
জিয়াউর রহমানের ক্ষমতার ধান্দাটা ছিল সততা, গনতন্ত্র ও জনকল্যানের জন্য। সে রকম ধান্দা হলে ছাত্রদের সকল প্রচেস্টা জনগন মেনে নেবে। তা না হলে গণহত্যাকারী ও গুমকারী, লুটপাটকারী হাসিনার মত জনগণ ছাত্রদেরকে তাড়া করে দেশছাড়া করবে।
খমতায় নতুন ফ্যাসিসট তৈরি করতে, মান্নারা পাগল হয়ে গেছে, এটাই তার বয়ানে বুঝতে পারলাম
এই সরকার কোন নিরেপেক্ষ তত্তাবধায়ক সরকার নয়। এরা গনঅভ্যুত্থানে বিপ্লবী সরকার, এদের অবশ্যই রাজনৈতিক ভাবেই এগোতে হবে। ছাত্র জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিশাল ত্যাগ, রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে কখনই নিরেপেক্ষ সরকার হয় না, হবে না, হতে পারে না। পতিত বর্বর খুনি লুটেরা স্বৈরাচারের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এরা অন্যথা হবার কোন সুযোগ নেই। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে শহিদ জিয়াউর রহমান কি ক্ষমতায় থেকে দল গঠন করেন নাই? করতে হয়েছিল। আর এখন তো গন বিপ্লব, এখন তো পুরো রাষ্ট্র নিয়ে কাজ করতে হবে।
কিছু লোক আছে যারা ৭১ বাদ দিয়ে ২৪ শের চেতনাকে লালন করে যা জমায়েতের রাজনৈতিক চরিত্র। আমার মনে হয় এরা জামায়াত তথা রাজাকারদের বি টিম।
মান্না ভাই, আপনারা ক্ষমতা পেতে,ক্ষমতা উপভোগ করার বাসনা মেটাতে দেশে বারোটা বাজিয়ে আজকে এসব কথা বলছেন??? আজকে পাকিস্তানি জঙ্গি ভাবধারার গোষ্ঠী পুরো দেশটাকে গ্রাস করেছে,আপনি কি মনে করেন আপনি/আপনারা এদের হাতে নিরাপদ? দেশ নিরাপদ????
রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ ব্যাপারে জোর প্রতিবাদ করা। যে রক্ষক সেই যদি ভক্ষক হয় নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে কে?
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার যে সুনাম ছিল তিনি এখানে এসে তা খয়ালেন। কারণ গুরাগারাদের এতো মূল্যায়ন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সুনাম ক্ষূণ্য করছে।
মান্না ভাইয়ের বক্তব্য 100% right.
আহা ক্ষমতা
মান্না সাহেবের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ একমত। সর্বজন শ্রদ্ধেয় জনাব প্রধান উপদেষ্টা ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয় নিয়ে বক্তব্য দিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছেন। ছাত্রদের রাজনৈতিক দল গঠণ নিয়ে উনার বক্তব্য দেওয়া মোটেও ঠিক হয়নি। আশা করি উনি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে জাতিকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিবেন। ধন্যবাদ।
এত সুফি আর আল্লাহর ওলী তো বাংলাদেশে নাই। ক্ষমতা কে না খাটায়। ক্ষমতা না খাটালে তো কিছুই হয় না। ভাল কিছু করতে হলে যদি ক্ষমতা খাটান দরকার হয় তাতে দোষের কী? চব্বিশের চেতনা আমাদের কোন রাজনৈতিক দল বা নেতা ধারন করছেন ? সবাইতো ক্ষমতা দেন বলে জিকির তুলছে।
সেনাবাহিনী প্রধান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও ভোট ছাড়াই প্রেসিডেন্ট পদে থেকে জেনারেল জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রথম কিংস পার্টি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গঠন করে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
জনাব মান্না ভাই প্লিজ আয়নাতে নিজের চেহারাটা একটু দেখে নিজ ও দলের মূল্যায়ন করুন। আপনারা কি কখনো ভাবেন কতটুকু জন সমর্থন আপনাদের আছে?? সুন্দর সুন্দর রাজনৈতিক বক্তব্যে দিয়ে ভোটের মাঠে জনসমর্থন আদৌ পাবেন কি না? দীর্ঘদিন রাজনীতি করে আইন সভায় একবারও তো প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ হয়নি। কেন হয়নি আমার মতে রুট লেভেল এ আপনাদের যাতায়াত নেই। শুধু ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতি। যা গণ মানুষের কল্যাণভিত্তিক নয় হয়তোবা। যা মানুষের কল্যাণে
এই সাক্ষাৎকারের পর উনাকে নিরপেক্ষ ভাবার যোক্তিকতা কি আছে?
মান্না সাহেব তো হেব্বি বলেছেন!
প্রধান উপদেষ্টা কি বৈষম্য মূলক আচরণের দিকে হাঁটা শুরু করেছেন ?
উপকার করলে বাঘে ধরে। বিপ্লবী ছাত্র জনতার এমন অবস্থা। যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাঁদের নিয়ে কোন কথা নেই, রাজনীতি নিয়ে কথা,গদি নিয়ে কথা। যে অবস্থা তাতে আবার যদি ফ্যাসিস্ট সরকারের জন্ম হয় তাহলে আর কোন ছাত্র জনতা নিজের জীবন উৎসর্গ করে বিপ্লব ঘটাবে না।
ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি একটি পত্রিকায় যে ভাবে ছাত্রদের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে কথা বলেছেন, তাতে তাঁর নিরপেক্ষতা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে! সামনে অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছি! প্রায় চার মাস আগে এই পত্রিকায় একটি মন্তব্যে বলেছিলাম, রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ১/১১ এর সরকারের মতো লেজেগোবরে অবস্থা সৃষ্টি করে কাংখিত গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে!
তার উচিত পদত্যাগ করা তার মত লোক নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবেনা
সংস্কার বাহানা মাত্র , তারা যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা ধরে রাখার প্ল্যান করছে. এদের ভুলেই হাসিনা আবার প্রাণ পাবে.
ইউনুস সাহেব ২০০৮ র খায়েশ ২০২৫এ পূরন করতেছে,সেদিনের নাগরিক শক্তি আজকের নাগরিক কমিটি,শুধু মুখ্খা বদলাইছে চরিএ বদলায়নি
মান্না ভাই, আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। অন্তবর্তী সরকার গঠনের শুরু থেকেই একধরনের ঘনিষ্ঠতা, আত্তীকরণ ভাব ছিল, এখন মনে হয় তা প্রকাশ হলো। তবে ডুবে ডুবে জল খাওয়ার এই বিষয়টি দুঃখজনক ও প্রতারণামূলক।
মান্না ভাই, এই প্রশ্ন কি জিয়াউর রাহমান কে করতে পারতেন