বিশ্বজমিন
স্বামীকে হত্যা করতে দুই লাখ রুপিতে খুনি ভাড়া করে প্রগতি
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৫ মার্চ ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৪৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন

বিয়ের মাত্র দুই সপ্তাহ পরে ভারতের উত্তর প্রদেশের এক নারী তার স্বামীকে খুন করতে খুনিকে ভাড়া করে। ২২ বছর বয়সী ওই যুবতীর নাম প্রগতি যাদব। তার স্বামীর নাম দিলিপ (২৫)। বিয়ের আগে চার বছর ধরে অনুরাগ যাদব নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেম ছিল প্রগতির। তার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি পিতামাতা। তারা জোর করে প্রগতিকে ৫ই মার্চ বিয়ে দিয়ে দেন দিলিপের সঙ্গে। ঘটনার শুরু এখানেই। বিয়ের পর দিলিপকে হত্যার পরিকল্পনা সাজাতে থাকে প্রগতি।
তারই এক পর্যায়ে ১৯শে মার্চ একটি খেতের ভিতর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারাত্মক আহত দিলিপকে উদ্ধার করে পুলিশ। দ্রুততার সঙ্গে বিধুনায় একটি কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। কিন্তু অবস্থার অবনতি হতেই থাকে। এরপর তাকে নেয়া হয় সাইফাই হাসপাতালে। সেখান থেকে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে। কোথাও সুখবর মিলছিল না। তাই ২০শে মার্চ আউরাইয়াতে একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় ২৫ বছর বয়সী দিলিপকে। এর একদিন পরেই তিনি সেখানে মারা যান। এ ঘটনার পর দিলিপের ভাই সাহার পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে দেখা গেছে, বিয়ে হয়ে যাওয়ার কারণে প্রগতি ও প্রেমিক অনুরাগ দেখাসাক্ষাৎ করতে পারে না। ফলে পথের কাঁটাকে সরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। দিলিপকে হত্যা করার জন্য রামাজি চৌধুরী নামে এক খুনিকে ভাড়া করে। কাজ শেষ করে দেয়ার জন্য তাকে দেয় দুই লাখ রুপি।
কর্মকর্তারা বলেন, দায়িত্ব বুঝে নেয় রামাজি। কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে সে একটি মোটরসাইকেলে করে দিলিপকে নিয়ে যায় একটি মাঠের ভিতর। সেখানে পৌঁছার পর তারা দিলিপকে প্রহার করতে শুরু করে। এরপর গুলি করে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ব্যবহার করে তিন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের। উদ্ধার করে দুটি পিস্তল, চার রাউন্ড কার্ট্রিজ, একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইল ফোন, একটি পার্স, আধার কার্ড এবং তিন হাজার রুপি। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
পাঠকের মতামত
ডাইনি মহিলা প্রগতি । তার ও তার প্রেমিক এর কি সাজা হবে জানি না । তবে মৃত্যুদণ্ড ও তাদের জন্য কম সাজা । তার পিতা ও অভিভাবক গণের ও সাজা হওয়া উচিত । জেনেশুনে মেয়ে কে বিয়ে দিয়ে একটি তরুণ কে খুন করানোর জন্য ।