বিশ্বজমিন
পুনেতে ধর্ষণের অভিযোগ নাটকীয় মোড়
মানবজমিন ডেস্ক
(২০ ঘন্টা আগে) ৫ জুলাই ২০২৫, শনিবার, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

পুনের একটি বহুতল ভবনে ধর্ষণের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী এক আইটি পেশাজীবীর মামলাকে ঘিরে নাটকীয় মোড় নিয়েছে। প্রথমে তিনি দাবি করেছিলেন, এক কুরিয়ার ডেলিভারি এজেন্ট তার বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন এনডিটিভি বলছে, তবে তদন্তে উঠে এসেছে, অভিযোগকারী নারী নিজের এক বন্ধুর বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে— এই অভিযোগ ‘রাগের বশে’ আনা হয়েছিল। পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, ওই নারী নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তার ভাষ্য অনুযায়ী, তিনি বলেন, সেইদিন শারীরিক সম্পর্কের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না, কিন্তু তার বন্ধু জোর করে সম্পর্ক স্থাপন করে। এ ঘটনায় রাগ করে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত পুরুষ ও নারী প্রথমে একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে পরিচিত হন এবং পরে বন্ধুতে পরিণত হন। তারা একাধিকবার ওই নারীর বাসায় সাক্ষাৎ করেছেন এবং বুধবারও দেখা করার পরিকল্পনা ছিল। প্রথমে পুলিশের কাছে ওই নারী বলেন, কুরিয়ার ডেলিভারি কর্মীর ছদ্মবেশে এক ব্যক্তি তার কন্ডোয়া এলাকার ফ্ল্যাটে ঢুকে তাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এছাড়া অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি নারীর মোবাইল ব্যবহার করে একটি সেলফি তোলে— যাতে নারীর পিঠ এবং অভিযুক্তের মুখের একটি অংশ দেখা যায়। হুমকি দিয়ে একটি বার্তা লিখে যায়— যদি সে পুলিশে অভিযোগ করে, তবে তার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে। কিন্তু পরে পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করলে দেখা যায়, তিনি একজন উচ্চশিক্ষিত পেশাজীবী এবং দুই পরিবারই একে অপরকে চেনে। পুলিশ আরও নিশ্চিত করে, আসলে সেই সেলফিটি নারী নিজেই তুলেছিলেন এবং পরে তা সম্পাদনা করে হুমকির বার্তাটি টাইপ করেছিলেন। সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্ত পুরুষ প্রায়ই তার বিভিন্ন পণ্যের কুরিয়ার নারীর বাসায় পাঠাতেন এবং যখন তার পরিবার বাড়িতে থাকত না, তখন তিনি সেখানে যেতেন। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমাজে নারীর অধিকার, আইন অপব্যবহার, এবং প্রকৃত ধর্ষণের মামলার গুরুত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের এই ব্যাখ্যা যদি সত্য হয়, তবে এটি এমন এক উদাহরণ যেখানে আইনকে ব্যক্তিগত রাগ বা প্রতিশোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সম্পূর্ণ সত্যতা আদালতের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মিথ্যা অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযোগকারী নারীর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।