খেলা
মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্য, তামিমকে জয় উৎসর্গ হৃদয়ের
স্পোর্টস রিপোর্টার
৭ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
১৭৪ রান তাড়ায় ৬৪ রানে নেই ৪ উইকেট। এরপর অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েন মেহেদী হাসান মিরাজ। হৃদয় আগে ফিরলেও দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন মিরাজ। ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাজে লাগবে। আর মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় এই জয় উৎসর্গ করেছেন দলটির অসুস্থ ওপেনার তামিম ইকবালকে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের নবম রাউন্ডে গতকাল প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা শামীমের ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের পরও ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক। ১২০ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় মোহামেডান।৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা। সমান ম্যাচে পাঁচ জয়ে পাঁচ নম্বরে প্রাইম ব্যাংক।
বল হাতে ১ উইকেটের পর ব্যাটিংয়ে অপরাজিত ৬৭ রানের ইনিংস খেলেন মিরাজ। এছাড়া হৃদয়ের ব্যাট থেকে ৫৫ বলে ৫৭ রান। ম্যাচ শেষে মিরাজ নিজের ইনিংস নিয়ে বলেন, ‘আজকের ইনিংস খুবই ভালো লেগেছে। আমাদের দ্রুত ৪ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। খুব কঠিন হয়ে গিয়েছিল। একটা জুটির দরকার ছিল। এরকম টাফ সিচুয়েশনের ম্যাচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক আসবে। এখান থেকে যদি আমরা শিখে যেতে পারি সেট অনেক কাজে আসবে। প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের জন্যই এরকম ম্যাচ ইম্পর্টেন্ট।’ উইকেট নিয়ে এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘উইকেট সকালে ময়েশ্চার ছিল। এবাদত ভালো বল করেছে। সময় যত গড়িয়েছে তত উইকেট ভালো হয়েছে। আর ল স্কোরিং ম্যাচ সব সময় একটু টাফ হয়। কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে এটা ব্যাটসম্যানের জন্য মেন্টাল সাপোর্ট লাগে। কখনো মারতে হয়, কখনো দেখে ও বুঝে শট সিলেক্ট করতে হয়। এটা খুব জরুরি।’ রান তাড়ায় ৬৪ রানেই ৪ উইকেট হারায় মোহামেডান। এরপর পঞ্চম উইকেটে জুটি ৯১ রানের জুটি গড়েন হৃদয় ও মিরাজ। ৫২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর টিকতে পারেননি হৃদয়। পরে আরিফুল ইসলামের সঙ্গে মিলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজ।
এর আগে মাত্র ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে রিশাদ হোসেনকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন শামীম। মাত্র ৩২ বলে ফিফটি করেন তিনি। চলতি লীগে সাত ইনিংসে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। ১০ চারের সঙ্গে ইনিংসে ছক্কা ছিল ৪টি। মোহামেডানের হয়ে ৫ রানে ৪ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ইবাদতের শিকার ২৭ রানে ৩ উইকেট।
জয়ে ফিরলো গুলশান
শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৬ রান। কামরুল ইসলাম রাব্বির প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন ইলিয়াস সানি। পরের দুই বলে আসে দুটি সিঙ্গল। এরপর তিন বলে চার রানের সমীকরণে ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে দেন নিহাদউজ্জামান। দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল গুলশান। ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও এক পরিত্যক্ত ম্যাচসহ ১১ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে উঠল তারা। সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পাওয়া ধানমন্ডির অবস্থান অষ্টম।