বাংলারজমিন
শ্রীমঙ্গলে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে বালু বিক্রির অভিযোগ
শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবারমৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ইউপির ৭নং ওয়ার্ড সদস্য হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রামবাসী গত ২৫শে ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে আশিদ্রোন ইউনিয়নের জিলাদপুর মৌজায় প্রবাহিত বিলাশ নদী থেকে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, ওই ইউপি সদস্যের নেতৃৃত্বে জামসী গ্রামের রাসেল মিয়া, মুজিব মিয়ার একটি সিন্ডিকেট বিগত ২০১৭ সাল থেকে নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি ও সিলিকা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে বিভিন্নস্থানে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। এতে নদীর পশ্চিমাংশে কৃষিজমি, মাছের পুকুর ভাঙনের মুখে পড়ে কৃষকরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছে।
স্থানীরা অভিযোগ করেছেন, বালু মাটি পরিবহনে ভারী ট্রাক চলাচল করায় গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তা-ঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে এলজিইডির পাকা রাস্তা, বিলাশ নদীর উপর নির্মিত সরকারি ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে। এই ব্রিজের নিচে মাটি সরে যেকোনো সময় তা ধসে পড়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসী।
জিলাদপুর গ্রামের বিলাশ নদীর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আশপাশের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী ও ইউপি সদস্য হাবিবুর প্রভাব খাটিয়ে ২০১৭ সাল থেকে নদী থেকে পলি মাটি ও সিলিকা বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারে না।
এ বিষয়ে হাবিবুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সবাই নিজে বাঁচার জন্য আমার নাম বলছে। তিনি বলেন, এটি লাংলাছড়া লাইনের অংশ। সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত রবিন ও ইউপি সদস্য মুরাদ ও মাখন মিয়া এই লাইনে ডাক পেয়েছে, তাদের দায়িত্বে এখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে বলে তিনি জানান।’ সিন্দুরখাঁন ইউপি চেয়ারম্যান ইয়াছিন আরাফাত বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।