বাংলারজমিন
পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবি গ্রেপ্তার ৫
স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী থেকে
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবারনোয়াখালী জেলার কবিরহাট উপজেলায় এক কিশোরকে আটকে রেখে পুলিশ-সেনাবাহিনী পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল দুপুরের দিকে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মহি উদ্দিনের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (২৫), একই ওয়ার্ডের মো. মনিরুল ইসলাম ওরফে আকাশ (২১), একই ইউনিয়নের মো. পারভেজ হোসেন (৩০), অহিদুল ইসলাম (২৪) ও বাটইয়া ইউনিয়নের রশিদ দর্জি বাড়ির মো. ইউনুস হোসেন রাজু (২২)। জানা যায়, সোমবার উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. তাফসিরুল ইসলাম ওরফে রাফসানকে (১৯) দুপুর আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আটক করে রাখে গ্রেপ্তার আসামিরা। আসামিরা ভিকটিমকে মাদকসহ আটক করে বলে দাবি করে। এরপর আটক কিশোরের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর থেকে কল করে প্রথমে ডিবি ও পরে সেনাবাহিনী পরিচয় দিয়ে তার বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তার ছেলেকে মারধরের হুমকি দেয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দাবিকৃত টাকা বাটইয়া ইউনিয়নের কৃঞ্চারটেক মসজিদের সামনে রাখার জন্য বলে। ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা তাদের জন্য ৭০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রশাসনের লোক আছে বলে স্থান পরিবর্তন করতে থাকে চাঁদাবাজরা। পরবর্তীতে ভিকটিমকে মাইজদী নিয়ে ডিবি পুলিশকে বুঝিয়ে দিয়েছি বলে জানায়। এতে রাফসানের বাবার তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। পরে তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। একইসঙ্গে তিনি সেনাবাহিনী ও পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোবাইলের কল রেকর্ড শুনে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরের বাবা মো. সফি উল্যাহ (৬০) বাদী হয়ে কবিরহাট থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে অজ্ঞাত আসামি করা হয় আরও ৩-৪ জনকে।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মন্জুর আহমদ ঘটনার সত্যতা মানবজমিনকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এ ঘটনায় চাঁদাবাজি আইনে মামলা নেয়া হয়েছে। ওই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। পলাতক রাকিব নামে অপর আসামিকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।