বাংলারজমিন
আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুদক
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবারদলিলে তথ্য গোপন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি, রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যাচাইসহ সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে নানা অনিয়মের সত্যতা পান। গতকাল দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে একটি দল আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা আবাসিক স্থাপনাকে বাগান দেখিয়ে দলিলের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে সত্যতা পায়। এছাড়াও বিভিন্ন ফি হিসেবে নকলনবিশদের অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদক প্রমাণ হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করে নিয়ে গেছে। অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আশুলিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিস আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল। এর ধারাবাহিকতায় কিছু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজকে সকাল থেকে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় আমরা সাব- রেজিস্ট্রার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। এখানে কারা কাজ করছে, কীভাবে কাজ করছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করি। এখানে দালালের দৌরাত্ম্য আছে কিনা, নকলনবিশরা কীভাবে কাজ করে সবকিছু খতিয়ে দেখার পর আমরা গত দুই-তিনদিনে যেসব দলিল সম্পাদন হয়েছে সেগুলো যাচাই করি।
তিনি বলেন, দলিল যাচাই করতে গিয়ে আমরা অনেকগুলো অনিয়ম পেয়েছি। একটি দলিলে আবাসিক ভবন থাকা সত্ত্বেও সেটিকে গোপন করে দলিল করা হয়েছে। যেখানে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়াও আমরা সেবাগ্রহীতাদের থেকে নকলনবিশরা নানাভাবে অতিরিক্ত ফি ধরে টাকা আদায় করছে। এগুলোর বিষয়ে আমরা সাব-রেজিস্ট্রারকে সতর্ক করেছি এবং আমরা দুর্নীতির যে সকল রেকর্ডপত্র পেয়েছি এগুলোর আলোকে কমিশন বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দেবো। কমিশন আমাদের যে ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি দেবে আমরা সেই ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।