বাংলারজমিন
হবিগঞ্জে এনা পরিবহন বন্ধের পাঁয়তারা, মাধবপুরে জিডি
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে
১৭ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবারহবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এনা পরিবহনের বাসে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে পরিবহনের শ্রমিক ও যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। আর ভাঙচুর করার ফলে পরিবহনটির মালিকপক্ষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সমপ্রতি পরিবহনের পক্ষে মাধবপুর থানা, বি-বাড়িয়ার বিজয়নগর থানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লিখিত ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
মাধবপুরের আন্দিউড়া হাইওয়ে ইন হোটেল কাউন্টারের ম্যানেজার আবু সৈয়দ বাবুল গত ৩রা মার্চ মাধবপুর থানায় একটি জিডি করেন। এতে উল্লেখ করেন এনা পরিবহন দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীদের সুবিধা এবং সর্বদা সাধারণ জনগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রদান করে আসছে। এ ছাড়া এ পরিবহন নিয়মিত সরকারকে ভ্যাট, ট্যাক্স প্রদান করে আসছে। এতে এ পরিবহনটি দেশে রাজস্ব খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গত ২৫ ও ২৬শে মার্চ মাধবপুর থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আন্দিউড়া, শাহপুর, বেজুড়া, কসবাহাটি, বেলঘর, রতনপুর আল-আমিন হোটেলের পাশে বাদশা গেট, মানিকপুর নামক স্থানে ৬টি বাসের সামনের গ্লাসে পাথর ও ইটের টুকরা দ্বারা ঢিল মারা হয়। এতে পরিবহনগুলোর গ্লাস ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়, তেমনি পরিবহনের চালক, শ্রমিক ও যাত্রীরা আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। আর পরিবহনগুলো ভেঙে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এর ফলে এনা পরিবহনের স্টাফ, চালক, যাত্রী নিরাপত্তাহীনে ভুগছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করা হয়। এদিকে এনা ট্রান্সপোর্ট লি. এর বাসে হামলা ভাঙচুরের ব্যাপারে পরিবহনটি জেনারেল ম্যানেজার সৈয়দ আতিকুল ইসলাম, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্র্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে লিখিতভাবে এ বিষয়গুলো অবগত করেছেন। গত ৫/৬ মাস ধরে একটি কুচক্রী মহল এনা গাড়ি পরিচালনা বন্ধ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে এবং পরিবহনের চালক ও শ্রমিকদের হুমকি দিচ্ছেন। শুধু হুমকিই নয়, রাতের আঁধারে গাড়িগুলো ঢিল মেরে ভাঙচুর করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০/৮০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এনা পরিবহনের চুক্তি থাকার পরও মহাখালী অফিস ও এসি কাউন্টার দখল করে নিয়েছে বিলাস পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিলাস পরিবহন আমাদের সিলেট রোডে গাড়ি পরিচালনা করতে দেবে না বলেও হুমকি দিচ্ছে। এনা পরিবহন বন্ধ হলে সিলেট রোডের প্রায় দুই হাজার শ্রমিক মানববেতর জীবনযাপন করবেন। এনা পরিবহনটি রক্ষায় তিনি সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।