বাংলারজমিন
মাধবপুরে চার মাসে গ্রেপ্তার ৫২
মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
১৬ মে ২০২৫, শুক্রবারহবিগঞ্জের মাধবপুরে চলতি বছরের প্রথম চার মাসে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে ৫২ মাদক ব্যাবসায়ী। উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। এসব ঘটনায় মাধবপুর থানায় মামলা হয়েছে ৩৩ টি।
জানা যায়, চলতি বছর জানুয়ারি মাস থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাধবপুর থানার পুলিশ মোট ৩০৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১৪২ পিস ইয়াবা, ৭৭ বোতল ফেন্সিডিল ও ২৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় গাঁজা উদ্ধার হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে মাদক উদ্ধারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যায়।উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের মেম্বার নূরুল হাসান তপু জানান, আমাদের এলাকার ছাতিয়াইন রেলওয়ে স্টেশনের পূর্ব পাশে চা বাগানে আগে প্রতিদিন মাদকের আসর বসতো, এখন পুলিশের কঠোর অবস্থানের কারণে এই এলাকাসহ নোয়াপাড়া ইউনিয়ন মোটামুটি মাদকমুক্ত হয়েছে। তেলিয়াপাড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত সভাপতি খোকন তাঁতি জানান, আগে আমাদের বাগানে মাদকসেবিদের গাড়ি ও মোটরসাইকেলের যন্ত্রনায় আমরা অতিষ্ঠ ছিলাম। কিছুদিন আগে মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর উদ্যোগে একটি উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে পুলিশ ও বিজিবি স্থানীয় জনসাধারণের সহযোগিতায় মাদক নির্মূলের জন্য কাজ করেছেন। এখন মাদকসেবিদের তৎপরতা অনেক কমে এসেছে।
শাজাহানপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, পুলিশ ও বিজিবি’র তৎপরতার কারণে বর্তমানে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকসেবিদের আনাগোনা অনেক কমেছে। তবে ফাঁড়ি রাস্তাগুলোতে তৎপরতা আরও বাড়ানো দরকার। চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ জানান, ৫ আগষ্টের পরে পুলিশ ও বিজিবি’র নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে আমাদের এলাকায় মাদকের উপদ্রব খুব বেড়ে গিয়েছিল। তবে গত কয়েকমাসে মাধবপুর থানার ওসি’র উদ্যোগে কয়েকটি উঠান বৈঠক হয়েছে এবং পুলিশ ও বিজিবি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ফলে গত কয়েকমাসে মাদকের উৎপাত অনেক কমেছে।
মাধবপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর মাদক নির্মূলকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় সব ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ২০টিরও অধিক স্পটে উঠান বৈঠক করেছি। প্রত্যেকটি উঠান বৈঠকে আমি স্থানীয় জনসাধারণের কাছে আমার মোবাইল ফোন নাম্বার দিয়ে এসেছি। যে কোন বিষয়ে বা তথ্য দেয়ার জন্য তারা যেন সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমি যতদিন এখানে আছি কোন মাদক ব্যাবসায়ীকে শান্তিতে থাকতে দিব না। তারা মাদক ব্যাবসা ছেড়ে দিবে, নাহয় এলাকা ছেড়ে দিবে।